টিয়েন্স ব্যবসা কেন করব?

১। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য

২। ব্যবসায়ের জন্য

টিয়েন্স কিভাবে শুরু করব?

১। ওয়েবসাইটের কন্ট্যাক্ট ফর্ম/ফোন/ওয়াটসএপ মেসেজ দিন আমাদের প্রতিনিধি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

২। আপনার এন,আই,ডি/জন্মসনদ/মোবাইল নাম্বার/ব্যাংক হিসাব নাম্বার দিন।

৩। নিচের তালিকা থেকে পন্য বাছাই করতে আমাদের প্রতিনিধি/কন্সালটেন্ট এর সহযোগীতা নিয়ে পন্য ব্যবহার করুন।

৪। পন্য ভাল লাগলে আপনার পরিচিত ব্যক্তিদের আমাদের স্বাস্থ্য সেবা এবং আয় বৃদ্ধিতে সহযোগীতা করুন।

এবার আসুন দেখি ব্যবসা করতে কি লাগেঃ

বিষয়প্রচলিত ব্যবসাটিয়েন্স ব্যবসা
পুঁজি/বিনিয়োগবেশি লাগেঅনেক কম
জামানতঅগ্রীম জমা লাগেপ্রয়োজন নাই
পন্যবেশি লাগেসীমিত আকারে লাগে
অভিজ্ঞতাপ্রয়োজনজরুরী নয়
সময়প্রতিদিন ৮-১২ ঘন্টাপ্রতিদিন ১-২ ঘন্টা
ব্যবসায়ের ক্ষেত্রনির্দিষ্ট কিছু এলাকাসারাদেশ/পৃথিবী
বেতন/শ্রমের মূল্যমালিক দেয়কোম্পানী দেয়

প্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ

আমাদের জীবন আয়-ব্যয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আয় বেশি হলে এবং ব্যয় কম হলে আমরা সফল, বিষয়টা এরকম না। এর মধ্যে আরও ২টা বিষয় আছে তা হল সঞ্চয় ও বিনিয়োগ। সঞ্চয় করেও উন্নতি হয় তবে কোন কাজে অর্থ বিনিয়োগের মত নয়।

বিনিয়োগেও নানা সমস্যা আছে, যেমনঃ বিনিয়োগকৃত টাকার পরিমান কম, অংশীদারী বিনিয়োগে টাকা হারানোর ভয়, অভিজ্ঞতার অভাব, সময়ের অভাব, ঝুঁকি নিতে ভয়, লোকে কি বলবে ইত্যাদি। “টিয়েন্স” কোম্পানীর সাথে ব্যবসা শুরু করে এবং “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক” সংগঠনের সহযোগীতায় উপরোক্ত সকল সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

আপনি এই কাজটি একা একা করতে পারবেন তবে নূন্যতম ৫ জন মিলে করলে সর্বাধিক সুবিধা পাবেন।  

যে সমস্যাগুলোর কারনে আমরা কোন কিছু শুরু করতে পারি না।

  • বিনিয়োগকৃত টাকার পরিমান কম কিন্তু অংশীদারী বিনিয়োগে টাকা হারানোর ভয় আছেঃ ব্যবসা করতে হলে পুঁজি বা বিনিয়োগ তো লাগবেই, একা করেন বা যৌথভাবে। বাংলাদেশে একটা চা-পানের দোকান দিলেও ২০-৫০ হাজার টাকা লাগে। বড় ব্যবসায়ের ডেকোরেশনের চেয়ে কম টাকায় টিয়েন্স ব্যবসা করা যায়। টিয়েন্স অত্যন্ত আধুনিক এবং যুগোপযোগী ব্যবসা। এই ব্যবসা একা করা যায় আবার যৌথভাবে করলেও টাকা হারানোর ভয় নাই কারন নিজের টাকা বা পন্য নিজের কাছেই থাকে এবং এক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার মুনাফা বা লাভ পাওয়া যায়। মুনাফা বা লাভের অংশ তুলে নিতেও কারো কাছে যেতে হয় না কারন যৌথভাবে কাজ করলেও কোম্পানী যার যার টাকা নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেয়।
  • অভিজ্ঞতার অভাবঃ মানুষ পৃথিবীতে কোন কিছু শিখে আসে না এসেই শিখে। আমরা ব্যবসা শেখার জন্য অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা ধাপে ধাপে ফ্রি ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে থাকি। আপনার ইচ্ছা থাকলে আমাদের সংগঠন আপনাকে বিভিন্ন প্রকার বই, অডিও, ভিডিও, মেসেঞ্জার বা সরাসরি বসে ব্যবসা বিষয়ে প্রশিক্ষন দিবে। আপনি শিখতে চান কিনা এটাই আসল বিষয়।
  • সময়ের অভাবঃ সময়ের অভাব বলে কিছু নাই সবই বাহানা। সবার জন্যই ২৪ ঘন্টা। আর সময়কেই কাজে লাগিয়ে কেউ ভিক্ষা করে কেউ কোটি টাকা দান করে। আপনি অন্যের দিকে হাত পেতে থাকবেন নাকি দানবীর হবেন তা আপনার সময়কে ব্যবহারের উপরই নির্ভর করে। ফেসবুক চালানো, বাজে আড্ড, লুডু খেলা ইত্যাদি কাজে সময় ব্যয় না করে আমাদের সাথে প্রতিদিন মাত্র ১-২ ঘন্টা কাজ করুন, ১ বছর পর নিজেই অবাক হবেন। আমার কথা মিথ্যা প্রমান করার জন্য হলেও কাজ করুন।
  • ঝুঁকি নিতে ভয়ঃ বর্তমান সময়ে বেঁচে থাকাটাই একটা ঝুঁকি। নানবিধ সমস্যা আমাদের আছে এর মধ্যেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দূর্ঘটনা, চুরি, ছিনতাই, মহামারী, সামাজিক অবক্ষয় ইত্যাদি আমাদের চারপাশে, এর থেকে মুক্তি পেতে আমাদের কিছু করতে হবে। জীবন একটা যুদ্ধক্ষেত্র, এখানে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেই বাঁচতে হয়। যুদ্ধক্ষেত্র মানেই মৃত্যুঝুঁকি। জন্ম যেহেতু হয়েছে মৃত্যু হবেই। এখান থেকে পিছিয়ে আসা মানে কাপুরুষের মৃত্যু, সামনে এগিয়ে যাওয়া মানে বীরের মৃত্যু। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি ধরনের মৃত্যু চান।
  • লোকে কি বলবেঃ আপনাকে নিয়ে লোকে আসলে কিছুই ভাবে না নিজেরাই ভাবি। আপনাকে নিয়ে চিন্তা করার সময় তার নাই। বিশ্বাস হয় না? বিপদে পড়ে দেখেন, অসুস্থ্য হলে, পঙ্গু হলে কতজনকে পাশে পান দেখুন। আর সবচেয়ে বড় কথা তারা কি আপনাকে টাকা দেয়, আপনার বাজার করে দেয়, দেয় না। সমালোচনা ছিল, আছে, থাকবে। তারা সব দলে আছে। কাজে ফেল মারলে বলবে, বলেছিলাম না পারবা না। আবার পারলে বলবে, বাঘের বাচ্চা, বলেছিলাম পারবে। লোকের কাজ সমালোচনা করা আর আপনার কাজ হল “কাজ করা”। মনে রাখবেন, মন্তব্য করে কখনো গন্তব্য ঠেকানো যায় না।

 

চলুন মনের শক্তি বাড়িয়ে নেই

১।”আমি পারবো না”-> আপনি কতবার চেষ্টা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে আপনি পারবেন না?

২।”আমার দ্বারা সম্ভব নয়”-> কে আপনাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে আপনার দ্বারা সম্ভব নয়?

৩।”সব শেষ হয়ে গেছে”-> আপনি শুরুটা কোথাই দেখলেন যে শেষ বলছেন?

৪।”অনেক সময় চলে গেছে”-> কোন ঘড়ির কাটা জানান দিচ্ছে যে সময় চলে গেছে?

৫।”আমার কোনও সাহায্যকারী নেই”-> সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত,কার এত সময় আছে যিনি আপনাকে সাহায্য করবে?

৬।”আমি অনেক কষ্টে আছি”-> একজন মানুষের নাম বলুন যিনি বলেছেন আমি আরামের ভেতর থেকে সফল হয়েছি!

৭।”অনেক টাকার দরকার”-> টাকা হাতেই জন্মগ্রহণ করেছে এমন একজনের নাম বলুন ! নিজের টাকা নিজের চেষ্টাতেই অর্জন করে নিতে হয়- পরের টাকাই সাহায্য হতে পারে,কিন্তু বড় হওয়া যাই না!

৮।”আমার চেহারা খারাপ”-> চেহারা না হলে বড় হওয়া যাবে না- এমন নিশ্চয়তা কোথাই পেলেন?

৯।”আমার কপালই খারাপ”-> কোন আয়নাই দেখেছেন? সেখানে কপালে কি লেখা আছে তা কি পড়তে পেরেছেন?

১০। “আমি হতাশাই ভুগছি”->হতাশা থেকে কতবার বেরোতে চেয়েছেন?

নিজের হাতেই নিজেকে গড়েছেন এখন আবার নিজেকেই বলছেন “কেন এমন হল !”

কেন আপনার মনের মতো করে সব কিছু হয়নি তা কি কখনও ভেবেছেন? যদি ভেবে থাকেন তাহলে এটাও নিশ্চিত বুঝতে পারবেন “নিজের হাতেই নিজেকেই আবার গড়তে হবে- নতুন করে- নতুন ভাবে।

তাহলে আবার শুরু থেকেই শুরু করুন।

বিগত দিনের ভুলগুলোকে শুধরিয়ে!!!

চলুন, শুরু করা যাক, নতুনভাবে পথচলা�

” Better Tiens, Better Life “

আমরা সফল ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য ট্রেডিশনাল চাইনিজ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে বেছে নিয়েছি। আমাদের “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক” সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আত্ববিশ্বাসের সাথে কাজ করে যান, সফলতা সময়ের ব্যপার মাত্র।

Sohojatri Network

Learn, Do, Teach