fbpx

প্রভিডেন্ট ফান্ড পেনশন বীমা (18)

প্রভিডেন্ট ফান্ড পেনশন বীমা – পলিসি – ১৮

অবসরকালীণ বয়স: ৬০ বৎসর

Description

প্রভিডেন্ট ফান্ড পেনশন বীমা – পলিসি – ১৮

পলিসির মেয়াদ:

প্রভিডেন্ট ফান্ড একপ্রকার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা তহবিল যেখানে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ সঞ্চয় করেন এবং চাকরীদাতা এই সঞ্চয়ের সাথে নিজে আর একটি অংশ প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানের প্রোভিডেন্ট ফান্ডের নিয়ম মোতাবেক চাকরী শেষে অথবা চাকরী স্থান্তরের সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুবিধা পেয়ে থাকেন। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর অবসর সুবিধার প্রভিডেন্ট ফান্ড বীমা পরিকল্প তেমনি একটি পরিকল্প যেখানে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ইন্স্যুরেন্স নীতিমালার সমন্বয়ে সোনালী লাইফ এই তহবিল পরিচালনা করে থাকে । ফলে চাকরীদাতা কোম্পানীর যেমন তহবিল পরিচালনার ঝামেলা থাকে না তেমনি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত হিসাবে জীবনের ঝুঁকির জন্য বীমা কভারেজ পেয়ে থাকেন।

পরিকল্পের সাধারণ তথ্যাবলীঃ

বীমা গ্রাহকঃ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী বীমা গ্রাহক হবেন।

বীমা গ্রাহকের সংখ্যাঃ ন্যূনতম ৫ জন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বীমা শুরুতে বয়সঃ ১৮-৫৪ বৎসর।

অবসরকালীন বয়সঃ অবসরকালীণ বয়স হবে ৬০ বৎসর।

বীমার মেয়াদঃ বীমার মেয়াদ হবে সর্বোনিম্ন ৬ বছর এবং সর্বোচ্চ ৪২ বছর।

সহযোগী বীমাঃ অতিরিক্ত প্রিমিয়াম প্রদান সাপেক্ষে মূল বীমার সাথে সহযোগী বীমা গ্রহণ করা যায়।

বীমা অংক বা ঝুঁকি কভারেজঃ বীমা শুরুর তারিখে বয়স ১৮-৪৮ বছর হলে ৫ বছরের বেসিক বা মোট বেতনের সমপরিমান ঝুঁকি কভারেজ পাবেন এবং ৪৯ বছর বা তদুর্ধের বয়সের ক্ষেত্রে 3 বছরের বেসিক বা মোট বেতনের সমপরিমান ঝুঁকি কভারেজ পাবেন। অর্থাৎ প্রোভিডেন্ট ফান্ড বেসিক বেতনের অংশ না মোট বেতনের অংশের তার ভিত্তিতে বীমা অংক নির্ণীত হবে।

প্রিমিয়ামঃ প্রিমিয়াম মাসিক পদ্ধতিতে প্রদেয়। বেতনের ন্যূনতম ১0% প্রিমিয়াম হিসাবে গণ্য হবে।

মালিক পক্ষের সুবিধা সমূহঃ

• ঝামেলা বিহীন প্রোভিডেন্ট ফান্ড ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বীমা সুবিধা প্রদান।

• অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থাপনার সুযোগ।

• প্রভিডেন্ট ফান্ডের বাধ্যতামূলক সরকারী বিধিমালা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিপালন করা যায়।

• প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুগত্য বৃদ্ধি পায়।

• চাকরী ত্যাগের সময় মালিক পক্ষের উপর পাওনা পরিশোধের কোন চাপ থাকে না।

• ইন্স্যুরেন্স ও প্রভিডেন্ট ফান্ড বিধিমালা দ্বারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সুবিধা সমূহঃ

• প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বতন্ত্র বীমাগ্রাহক হবেন।

• অতিরিক্ত ফি ছাড়াই মৃত্যু ঝুঁকির কভারেজ পাওয়া যায়।

• সঞ্চয়কৃত বিনিয়োগের উপর প্রতিযোগিতামূলক বাজার ভিত্তিক লাভ পাওয়া যায়।

• প্রতি আর্থিক বছরে সর্বাধিক কর ছাড়ের সুবিধা আছে।

• একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তার অবসরের সময় বা তদ্পূর্বে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নিয়ম মোতাবেক ফান্ডের তহবিল স্থানন্তর/ সমর্পণ করতে পারবেন।

• প্রভিডেন্ট ফান্ডের সাথে ব্যক্তিগত বিনিয়োগও যুক্ত করা যায়।

• একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মৃত্যুতে তার পরিবার লাভসহ মোট তহবিল বা বীমা অংক এর মধ্যে যেটি বেশী সেটি পাবেন।

• একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরকালে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ লভ্যাংশসহ মোট সঞ্চয় ফেরৎ পাবেন।

বীমার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ

• প্রভিডেন্ট ফান্ড সম্পর্কে চাকরীদাতা কোম্পানীর অনুসৃত প্রশাসনিক নীতিমালার অনুলিপি।

• প্রভিডেন্ট ফান্ড নীতিমালা অনুমোদন সম্পর্কে উক্ত কোম্পানীর বোর্ড সভার সারাংশ।

• চাকরীদাতা কোম্পানী ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তিপত্রের অনুলিপি।

• প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক সোনালী লাইফের প্রস্তাবপত্র পূরণ ও স্বাক্ষর করে তার সাথে সংযুক্ত নিজের ও নমিনীর ছবি, গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নমিনীর জাতীয় পরিচয়পত্র/অনলাইন জন্মসনদ, চাকরীদাতা কোম্পানীর পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল রিপোর্টসমূহ।

• চাকরীদাতা কোম্পানী কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধের জন্য সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের অনুকূলে ইস্যুকৃত চেক।

• যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা।

মেয়াদ থাকাকালীন:

মেয়াদান্তে গ্রাহককে ফান্ড ভ্যালুর সমপরিমাণ অর্থ ফেরৎ দেয়া হবে।

বীমার মেয়াদের মধ্যে গ্রাহকের মৃত্যু হলে:

মেয়াদের মধ্যে বীমা গ্রাহকের মৃত্যুতে নমিনিকে ফান্ড ভ্যালু অথবা বীমা অংক এর মধ্যে যেটি বড় সেটি প্রদান করা হবে। এর সাথে অতিরিক্ত সঞ্চয় যোগ হয়ে থাকলে তাও অর্জিত লভ্যাংশসহ ফেরত দেয়া হবে।

বিশেষ সুবিধা:

বিনিয়োগ সুবিধাঃ একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য প্রিমিয়ামের অতিরিক্ত যে কোনো পরিমাণ অর্থ যে কোনো সময়ে এই ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন। অতিরিক্ত বিনিয়োগের অর্থ মেয়াদান্তে কিংবা বীমাবৃতের অকাল প্রয়ানে অর্জিত লভ্যাংশসহ ফেরত দেয়া হবে। সমর্পণ বা স্থানান্তরঃ কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী পদত্যাগ / বরখাস্তের পরে নিয়োগকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে এইচআর পলিসি অনুযায়ী মোট উক্ত সময় পযন্ত অর্জিত ফান্ড ভ্যালু ফেরৎ পাবেন।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “প্রভিডেন্ট ফান্ড পেনশন বীমা (18)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *