Lesson=1…সবাইকে স্বাগত !

ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার পরিচালিত “নিজের বলার মত একটা গল্প” ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে ৯০ দিন ব্যাপি এই কোর্স। যা তিনি অনলাইনে ফ্রি করান। আমি এখানে ট্রেনিং এর লিখিত ভার্সন শেয়ার করছি। আমি ১৩ তম ব্যাচের (৫৯২৩৪) একজন শিক্ষার্থী ছিলাম এবং ফেসবুক গ্রুপের সাথে সংযুক্ত থেকে ব্যবসায়ীক কলাকৌশল শিখছি। বর্তমানে আমি একটি পাবলিক গ্রুপ করেছি স্যারের কার্যক্রম গুলো আরো বেশি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। আমার গ্রুপ হচ্ছে, “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক“। এই গ্রুপে আপনার কোন প্রশ্ন বা কোন তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, কিভাবে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হয় তা শিখিয়েছেন টানা ৯০ দিন ধরে এক একটি ব্যাচে। তিনি শুধু উদ্যোক্তা হবার সকল কলা-কৌশল শিখাননি, শিখিয়েছেন কিভাবে একজন ভালোমানুষ হয়ে বুক ফুলিয়ে বাঁচে থাকতে হয়, কিভাবে সমাজের জন্য ও দেশের জন্য কাজ করতে হয় এবং সফল হতে হলে দরকার মা-বাবার দোয়া প্রয়োজন। যে কোন বয়সে যে উদ্যোক্তা হওয়া যায় ও ব্যবসা শুরু করা যায় – এটা প্রমাণ করেছে এই ফাউন্ডেশন। যারা স্বপ্ন দেখেন নিজে কিছু একটা করতে চান, পরিশ্রম করতে চান, যাদের কোন তাড়াহুড়া নাই ও নিজের জীবনটাকে বদলে চান – আমরা শুধুমাত্র তাদেরকে নিয়ে কাজ করছি। তারা তাদের প্রোডাক্ট এখানে ডিসপ্লে করছে, বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, একে অন্যের ক্রেতা/বিক্রেতা হচ্ছে, একে অন্যের বিজনেস পার্টনার হচ্ছেন, হচ্ছেন বন্ধু। খুব সহজেই তাঁদের সেল বেড়ে যাচ্ছে “সাপ্তাহিক অনলাইন হাট” এর মাধ্যমে। চলছে ব্যাপক নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম। উদ্যোক্তা তৈরির ৯০ দিনের কোর্সে যা যা থাকছে ঃ ১। যারা স্বপ্ন দেখেন নিজে কিছু একটা করতে চান, পরিশ্রম করতে চান, যাদের কোন তাড়াহুড়া নাই ও নিজের জীবনটাকে বদলে চান – আমরা শুধুমাত্র তাদেরকে নিয়ে কাজ করছি। ২। আমাদের সাথে কাজ শেখার জন্য সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হল – আপনি একজন ভালোমানুষ। ৩। পুরো কার্যক্রমটা হচ্ছে অনলইনে প্রতিদিন – ৬৪ জেলা ও ৫০ টি দেশ থেকে প্রবাসীরা সহ সবাই অনলাইনে অংশ গ্রহণ করছে। ৪। প্রতিদিন ১ টা করে পোস্ট বা ভিডিও বা নির্দেশনা বা হোমওয়ার্ক দেয়া হচ্ছে আমাদের ক্লোজড গ্রুপ ও পেইজে এবং ইউটিউবে – ৪০০ টা কন্টেন্ট প্রতি ব্যাচে। ৫। এটি হল ৯০ দিনের অনলাইনে ও সরাসরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। ৬। ফেসবুক লাইভে সপ্তাহে ২ দিন করে সেশান করা হচ্ছে Utv Live থেকে। ৭। পুরো প্রকল্পটি করা হচ্ছে “বিনা ফি” তে অর্থাৎ প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে কোন টাকা দেয়া লাগছে না – যেহেতু এটা আমার সামাজিক কাজের অংশ। সবার জীবনে বলার মত একটা গল্প থাকা দরকার।

Lesson=2…যা যা শেখানো হবে আগামী ৯০ দিনে

যা যা শেখানো হবে আগামী ৯০ দিনের প্রতিটি ব্যাচে বিনামূল্যে অর্থাৎ কোন ফী ছাড়া? ১। উদ্যোক্তা হবার মানসিক প্রস্তুতি ও অনুপ্রেরণা ২। স্বপ্ন দেখানো এবং স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হয় প্রতিটি ধাপে তা শিখানো হয় ৩। কিভাবে বিজনেস শুরু করবেন? কি কি স্কিলস লাগবে? ৪। কোম্পানি ফরমেশান কিভাবে করবেন? কি কি লিগ্যাল ডকুমেন্ট লাগবে? ৫। বিজনেস আইডিয়া কিভাবে নিবেন? ৬। খুব অল্প পুঁজিতে কিভাবে বিজনেস শুরু করা যায়? ৭। আপনার মুলধন কিভাবে এবং কোথা থেকে জোগাড় করবেন? ৮। স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন…… কিভাবে লেগে থাকতে হয় কোন কাজে? ৯। কিনবেন/উৎপাদন কিভাবে করবেন, বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ, বিক্রয় করবেন কোথায়? কাস্টমার কারা? ১০। মার্কেটিং প্ল্যান এবং নেটওয়ার্কিং ১১। মূল্যবোধ বৃদ্ধি, শেয়ারিং ও কেয়ারিং ১২। জীবনের সফলতার প্রয়োজন ৪ “স” – সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সম্পদ, ১৩। সবার আগে “একজন ভালোমানুষ” হতে হবে ১৪। ৯০ দিন ধরে বিজনেস শেখা, পার্টনার পাবার সুযোগ, ব্যবসা করা, কেনাবেচার সুযোগ, এবং ভালোমানুষি চর্চা ১৫। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো “সাপ্তাহিক অনলাইন হাট” – উদ্যোক্তাদের সেলস বাড়াতে সহায়তা করা। ১৬। ৬৪ জেলায় ও ৫০ টি দেশে প্রতি মাসে অনলাইন ও অফলাইন মিটআপ ১৭। ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষে “ক্রস বর্ডার মিটআপ” ১৮। বিক্রয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে “ক্রেতা-বিক্রেতা মিটআপ হাট” ১৯। সেশান চর্চা ক্লাস ২০। সামাজিক ও মানবিক কাজ ও ভলান্টিয়ারিং শেখা ও চর্চা এছাড়াও অনলাইনে যে ১৪টি স্কিলস শেখানো হবে বিনামূল্যে ঃ ১। বিজনেস চালানোর দক্ষতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও বিজনেস শুরু করার পর যে যে সমস্যার সম্মুখীন হন উদ্যোক্তারা – এই সকল বিষয়ে পরামর্শ ২। মার্কেটিং এবং নেটওয়ার্কিং – সেলস স্কিলস ৩। লিডারশীপ স্কিলস ৪। কথা বলার জড়তা কাটানো, প্রেজেন্টেশান স্কিলস ৫। কমিউনিকেশান স্কিলস ৬। ইমোশানাল ইন্টিলিজেন্স স্কিলস ৭। বেসিক আইটি ট্রেনিং ও ই-কমার্সে বিজনেস করার ট্রেনিং – আইসিটি দক্ষতা ৮। ইংরেজিতে কথা বলা, বোঝা ও লিখার দক্ষতা ৯। উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ বেসিক অ্যাকাউন্টিং স্কিলস ১০। মেয়েদের বিভিন্ন হাতের কাজের প্রশিক্ষণ ১১। কৃষি উদ্যোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ১২। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর প্রশিক্ষণ ১৩। এক্সপোর্ট ও ইম্পোরট বিষয়ে প্রশিক্ষণ ১৪। শুদ্ধ ভাবে পবিত্র কোরআন শেখার প্রশিক্ষণ

Lesson=3…আমাদের প্রথম শিক্ষা

আমাদের প্রথম শিক্ষা হচ্ছে – এই প্লাটফর্মে যারা আছেন, সবাই আপনারা একে অন্যকে শ্রদ্ধা করবেন, সম্মান করবেন। সম্মান করতে বড় ছোট লাগে না। আমি আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। সবাই একই রকম হবে এটা ভাববার কোন কারণ নাই। প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা, পরিবেশ আলাদা, চিন্তা ভাবনা আলাদা। আমি সবাইকে এক ছাতার নীচে নিয়ে আসতে চাই, বানাতে চাই লাখো লাখো তরুণদের একটা পরিবার। আপনাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব ও বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেব। কারো ভালো দেখলে প্রশংসা করবেন, কারণ পরের ভালোটা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। মনে রাখবেন আপনার ব্যবহার প্যাটার্নের উপর আপনার ভবিষ্যৎ কোম্পানির কাস্টমার বাড়বে বা কমবে। সুতরাং প্র্যাকটিসটা এখন থেকেই শুরু হউক। একদিন আপনারাই একজন আরেকজনের কাছে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করবেন, যা এখনই করছেন অনেকেই, সেল করছেন এখানে লাখ লাখ টাকা। সারা দুনিয়ার বিজনেস চলে নেটওয়ার্কের উপর। এই লাখো লাখো তরুণদের প্লাটফর্মটা আপনাদের বিজনেসের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। আপনারা সবাই সবাইকে ভাল ভাবে চিনবেন, জানবেন, বন্ধুত্ব হবে, আপনাদের প্রোডাক্ট শোকেস করবেন এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে। সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ও ৫০টি দেশ এই নেটওয়ার্কের ভিতর থাকবে। আপনাদের জন্য প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সেল বাড়ানো সহজ হবে। আপনার গল্পের ভীত এখান থেকেই।

Lesson=4…“চাকরী করবো না, চাকরী দেবো”

“চাকরী করবো না, চাকরী দেবো” – এটা একটা অনুপ্রেরণামূলক শ্লোগান। এখানে কোন দম্ভ বা অহংকার নেই। নেই কোন ক্লেশ, যারা চাকরী করছেন তাঁদের প্রতি। আমাদের স্কুল কলেজের কোন ছাত্র ছাত্রীদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তুমি জীবনে কি হতে চাও? সবার কিছু কমন উত্তর – ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকতা অথবা বিসিএস। কেউ বলে না যে তিনি উদ্যোক্তা হতে চান! পরিবার থেকেও তেমন ভাবে উৎসাহিত করা হয় না। সব বাবা-মা ই চান তার সন্তানের নিরাপদ জীবন! “চাকরী করবো না, চাকরী দেবো” এই শ্লোগানটা দিয়ে কারো কারো মনে স্বপ্নের আলো জ্বালিয়ে দেয়া সম্ভব। কেউ কেউ হয়ত চাকরী করছেন, কিন্তু তার এমন কিছু পটেনশিয়ালিটি আছে, যে তিনি আরও বেশী কিছু করতে পারেন, সৃষ্টি করতে পারেন একটি কোম্পানি এবং করতে পারেন অনেক মানুষের কর্মসংস্থান। হয়তো বা কেউ কোনদিন তাকে সেই স্বপ্ন দেখায়নি বা সাহসটি দেননি। আর চাকরীই বা পাবে কোথায়? দেশে লাখো লাখো বেকার তরুণ! প্রতি বছর লাখো শিক্ষার্থী পাশ করে বের হচ্ছে কিন্তু অল্প ক’জন ছাড়া তাঁদের বেশিরভাগ তরুণদের জন্য কোন চাকরী নেই। তাই বলে তাঁরা বসে থাকবে? বেকার থাকবে? তাঁদেরকে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখাতে হবে। পথ দেখাতে হবে সেই স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হয়! কেউ হয়তো বা চাকরী করছেন, কিন্তু তিনি চাইলেও যে একটা পার্টটাইম ব্যবসা করতে পারেন, এটা কোন দিন তাঁকে কেউ বলেনি। আমার অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যারা চাকরীর পাশাপাশি পার্ট টাইম ব্যবসা করে মাসে লাখ টাকা সেল করছেন এবং পরিবারের জন্য বাড়তি আয় করতে পারছেন। সেই রাস্তা আমি তাঁদের দেখিয়েছি। একটা সময় ছিল, যখন মানবজাতি সভ্য হয়ে ওঠেনি। বাড়িঘর-দালানকোঠা তখনও গড়ে ওঠেনি। আমরা বাস করতাম গুহায়। জীবনধারণের জন্য আমাদের ফলমূল সংগ্রহ ও শিকার করতে হত। আমরা পরনির্ভরশীল ছিলাম না, হবার সুযোগও ছিল না। তখন আমরা সবাই ছিলাম উদ্যোক্তা। সভ্যতা যত এগোতে থাকলো, আমাদের মধ্যকার উদ্যোক্তা কোয়ালিটি গুলো লোপ পেতে থাকলো। আমরা নিরাপদ জীবন বেছে নিলাম। আমরা অন্যের হয়ে কাজ করা শুরু করলাম। অন্যের স্বপ্ন পূরণে নিজেদের উৎসর্গ করতে থাকলাম। আমরা হয়ে গেলাম চাকুরিজীবী। আপনি, কি হতে চান? চাকুরীজীবী না উদ্যোক্তা? চাকরী করবো না, চাকরী দেবো – এ শ্লোগান নিয়ে আমাদের কাজ হবে আপনার মনে, স্বপ্নের আলো জ্বালিয়ে দেয়া। দেশে লাখ লাখ শিক্ষার্থী প্রতি বছর পাশ করে বের হচ্ছে, এত চাকরী কোথায় পাবে? মানুষ ক’দিন বাঁচে…কিন্তু বেঁচে থাকে তার কর্ম, হউক না ছোট কিছু…… ৫ টা বা ১০টা পরিবারের কর্মসংস্থানও যদি আপনি করতে পারেন, আপনি ভালো থাকবেন, ওই পরিবারগুলো ভালো থাকবে, দেশের জন্যও কিছু করা হল। এখানে সবাই হয়তো উদ্যোক্তা হবেন না বা হতে পারবেন না, কিন্তু যারা নিজের ভিতরে আলোটা একটু বড় দেখতে পাবেন এবং আপনার ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা স্বপ্নকে আমি জাগিয়ে তুলবো, যারা জেগে উঠবেন তাঁদেরকে আর কেউ আটকাতে পারবে না।

Lesson=5…প্রতিটা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ

আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা একদিন স্বপ্ন দেখবে বা Aim in Life লিখবে”আমি ডাক্তার হতে চাই, আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই, আমি শিক্ষকতা করতে চাই, আমি বিসিএস ক্যাডার হতে চাই এবং কেউ বলবে ও লিখবে আমি উদ্যোক্তা হতে চাই” – এই স্বপ্নটা আমি তাঁদের মধ্যে তৈরি করে দিতে চাই। প্রতিটা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একটা দিন আপনার জীবনে কোন কিছু যোগ করতে পারলেন না মানে আপনি ১ টা দিন হারিয়ে ফেললেন ও পিছিয়ে পরলেন। প্রতিটি দিন জীবনে কিছু না কিছু যোগ করতে হবে। এই ৯০ দিনে আমি প্রতিদিন আপনাদেরকে একটু একটু করে তৈরি করবো। আমি মনে করি এটা আপনাদের জন্য একটা বিশাল সুযোগ, কারণ আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে, আমার মূল্যবান সময় ব্যয় করে, আপনাদেরকে ভালোবেসে, আপনাদের জন্য ও দেশের জন্য কিছু একটা করতে চাই। এই কর্মশালা একটা মাইলস্টোন হয়ে থাকবে। আমরা সারা বাংলাদেশে এক্সাম্পল তৈরি করার মত তরুণ-তরুণীর একটা গ্রুপ তৈরি করতে চাই – যারা সারা জীবন একত্রে একটার পর একটা ভালো কাজ করবে এবং নিজেদের পায়ে শক্ত ভাবে দাঁড়িয়ে নিজেদের জীবন পাল্টে দিবে। এবং আপনারা ভালোমানুষ হিসাবে সমাজে সবার নজর কাড়বেন । আজ সারাদিন কি করলেন এই প্রশ্নটা প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে নিজেকে একবার প্রশ্ন করুন – দেখবেন আপনি পাল্টাতে শুরু করেছেন।

Lesson=6…৩ টা নাম বলেন যা আপনার পরিচয়কে বহন করে

প্রতিদিন নিজের সাথে কথা বলা… ৩ টা নাম বলেন যা আপনার পরিচয়কে বহন করে। যেমন আমিঃ ১। উদ্যোক্তা ২। শিক্ষক, মেন্টর ও স্পিকার ৩। একজন ভালোমানুষ ও ভলান্টিয়ার কারো হয়তো ৩ টা পরিচয় নাই, ২ টা আছে কিংবা ১ টা আছে, যেটা আছে ওইটাই লিখেন। আপনার যেটা নাই, তা লিখার দরকার নাই, নিজেকে বলেন। কারো যদি ৩ টার কম থাকে, আজ থেকে চেষ্টা শুরু হবে নিজের কমপক্ষে ৩ টা পরিচয় বানানো। নিজের সাথে নিজে প্রতিদিন কথা বলবেন – এটা আপনাদেরকে বলেই আমি থেমে যাই নি। কি কথা বলবেন নিজের সাথে? – এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি… আমি নিজে কি কি বলি তা নোট করেছি। তারপর আপনাদের প্রতিদিন টপিক দিচ্ছি, নিজের মনের ভিতরের কথা গুলো অবলীলায় বলার একটা জায়গায় তৈরি করে দিয়েছি… প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আয়নায় নিজেকে দেখবেন। আয়নায় যে আপনাকে দেখা যায়, তার চোখের দিকে তাকাবেন – তারপর নিজের সাথে কথা বলবেন। আপনার মনের ভিতরে কত ভালো ভালো কথা লুকিয়ে আছে, যা কোনদিন কাউকে বলেন নি…এখন এখানে বলবেন। জন্মগত ভাবে আপনি একজন ভালোমানুষ, কিন্তু সেটাকে চর্চা করার খুব কম সুযোগ পাওয়া যায় – যা আপনার প্লাটফর্ম “নিজের বলার মতো একটা গল্প” আপনাকে দিয়েছে।

Lesson=7…নিজেকে ভালোবাসা

“চাকরী করবো না, চাকরী দেবো” – এটা একটা অনুপ্রেরণামূলক শ্লোগান। এখানে কোন দম্ভ বা অহংকার নেই। নেই কোন ক্লেশ, যারা চাকরী করছেন তাঁদের প্রতি। নিজেকে ভালোবাসার প্রথম পরিচয় হচ্ছে নিজের নামকে ভালবাসা। নিজের পরিচয়কে ভালবাসা, নিজের কাজকে ভালোবাসা। নিজের পরিচয় দিবেন বুক ফুলিয়ে। নিজের ফেসবুক ও ইমেইল আইডিও নিজের একটা আইডেনটিটি। আজই নিজের নামের নিজের জন্মদিন বা প্রিয় কোন সংখ্যা যোগ করে একটা ইমেইল অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন, যা সারাজীবন আপনার বিজনেস ও অন্যান্য কাজে লাগবে। আর কেউ কেউ ফেসবুক আইডি নিজের নামে না করে বিচিত্র কিছু নাম ব্যবহার করেন! আপনার ফেসবুক আইডি “নীলাকাশ বা অবুঝমন” হতে পারে না। নিজের প্রোফাইল পিকচারে দুর্বোধ্য কোন ছবি থাকা উচিৎ না, যা আপনাকে বা আপনার কাজকে রিপ্রেজেন্ট করে না। মনে রাখবেন, আপনার ফেসবুকের পোস্ট আপনার রুচি, ব্যক্তিত্ব ও মানসিকতার পরিচয় দেয়। নিজের ভাল কাজ গুলো ফেসবুকে দিন। এটাকে বলে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং, যা আপনাকে বিজনেসে ভাল করতে সাহায্য করবে। যে নিজেকে ভালবাসে না, সে পৃথিবীর কাউকে ভালবাসতে পারে না।

Lesson=8…উদ্যোক্তা হবার জন্য যে অভ্যাস গুলো নিজের মধ্যে তৈরি করতে হবে

বদলে যাবার জন্যে এবং উদ্যোক্তা হবার জন্য যে অভ্যাস গুলো নিজের মধ্যে তৈরি করতে হবে: ১. ৯ টা – ৫ টা ভুলে যেতে হবে। কাজ হবে যতক্ষণ জেগে থাকবেন ততক্ষণ, অন্তত ক্যারিয়ারের শুরুর ৫-৭ টা বছর। ২. ৫-৭ টা বছর উজার করে দিতে হবে ভালো লাগার কাজটার প্রতি ৩. এই রকম ভাববার কোন কারণ নাই যে সব আইডিয়া সফল হবে, লেগে থাকতে হবে ৪. কোন অভিযোগ বা বাহানা খোঁজা যাবে না, সমাধান খুঁজতে হবে ৫. কোন কাজটা করতে বেশী ভালো লাগে, এটা ঠিক করতে হবে ৬. গতানুগতিক নয় একটু ব্যতিক্রমি কিছু করতে হবে ৭. একই সঙ্গে ২ বা ৩ টা কাজ (চাকরী বা ব্যবসা) করা যায়, এটা মাথায় নিতে হবে ৮. প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট দৌড়ান ৯. বার বার নিজেকে বলুন আমি পারবো ১০. নিজেকে চালানোর নিয়ন্ত্রন নিজের হাতে নিয়ে নিন ১১. সপ্তাহে কারো অন্তত একটা উপকার করুন ১২. সময় নষ্ট করা যাবে না কারণ সময় একদিন আর আপনাকে সময় দিবে না ১৩। এবং শুরু করতে হবে…… ACTION

Lesson=9…“নিজের বলার মত একটা গল্প” হবে আপনাদের একটা পরিবার

“নিজের বলার মত একটা গল্প” হবে আপনাদের একটা পরিবার। আপনাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব ও নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেব। এই গ্রুপটা আমি আপনাদের বিজনেসের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। আপনারা শুনলে অবাক হবেন আমাদের এই প্লাটফর্মের পুরনো সদস্যদের কারো কারো তাঁদের প্রতি মাসের বিক্রয়ের ২০% থেকে ৯০% পর্যন্ত সেল শুধু এই গ্রুপ থেকে হয়। কারণ আমাদের আছে লাখো লাখো ক্রেতা। আপনারা সবাই সবাইকে ভাল ভাবে চিনবেন, জানবেন, বন্ধুত্ব হবে – তার জন্য একটু সময় নিন। হুট করে বন্ধুত্ব হয় না, বন্ধুত্বের জন্য দরকার বিশ্বাস ও একই উদ্দেশ্য, সততা ও মন মানসিকতা – যা আপনাদের আছে এবং এটা আরও কার্যকর ভাবে বৃদ্ধি পাবে। আর সম্পর্কের ভিত্তি হবে উইন উইন। আপনাদের প্রোডাক্ট শোকেস/ডিসপ্লে করবেন এই গ্রুপের মাধ্যমে এবং সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ও ৫০টি দেশ এই নেটওয়ার্কের ভিতর থাকবে। আপনাদের জন্য প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সেল বাড়ানো সহজ হবে। আপনারাই প্রত্যেকেই প্রত্যেকের ক্রেতা ও বিক্রেতা হবেন ইনশাল্লাহ। ধৈর্য ধরে প্রতিটি পোস্ট, লাইভ, ভিডিও ও হোমওয়ার্ক করেন – আমি সবগুলো বিষয় কাভার করবো। আমরা সবাই মিলে আগে শিখি, তারপর আপনি বিজনেস করে এগিয়ে যাবেন। আমিও আপনাদের সবার সেই গল্প শোনার জন্য অপেক্ষা করছি, একটু সময় লাগলে না হয় লাগুক। ৯০ দিন ধরে শেখা, পার্টনার পাবার সুযোগ, ব্যবসা করা, কেনাবেচার সুযোগ, ভলান্টিয়ারিং, সামাজিক কাজ এবং ভালোমানুষি চর্চা সব একসাথে একই প্লাটফর্মে, এরকম সুযোগ আমাদের দেশে আর কোথাও নেই ! তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, ইনশাল্লাহ আগামী ৯০ দিন পর আপনাদের সবার নিজের প্রতি বিশ্বাস, সাহস ও স্বপ্ন ভিন্ন মাত্রা পাবে এবং শুরু হবে বদলে যাওয়া একজন আপনি।

Lesson=10…নিজেকে এই প্রশ্ন গুলো করেন – প্রতিদিন

নিজেকে এই প্রশ্ন গুলো করেন – প্রতিদিনঃ প্রতিদিন কত ঘণ্টা ফেইচবুক চালান? কতক্ষণ ফোন এ কথা বলেন? কতক্ষণ টিভি দেখেন? কতক্ষণ আড্ডা দেন? কতক্ষন খেলাধুলা করেন? কতক্ষণ বই পড়েন? যাতায়াতে কতক্ষণ? কতক্ষণ ঘুমান? পড়াশুনা/অফিস কতক্ষণ করেন? হিসেব করলে দেখবেন, খুব সহজেই আপনি প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা সময় বের করতে পারবেন। এই ৪ ঘণ্টায় প্রতিদিন কিছু না কিছু পার্ট টাইম কাজের চেষ্টা করুন – শুরু করুন আপনার বিজনেসের প্রাথমিক মুলধন জমানো। এটা শুরু করা দরকার ছাত্র জীবন থেকেই। ছাত্র জীবন হচ্ছে রিস্ক নেয়ার সবচেয়ে উত্তম সময়। সংসার, সন্তান ও পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে এসে গেলে গেলে মানুষ রিস্ক নিতে একটু ভয় পায়! রিস্ক অবশ্যই নিবেন, তবে সেটা হতে হবে শিখে এবং ক্যালকুলেটিভ। দক্ষতা ছাড়া শুধু সার্টিফিকেট দ্বারা আগামীতে চাকরী বা ব্যবসা কিছুই করা যাবে না।

Lesson=11…আপনারা কে কে কথা বলার জড়তা কাটাতে চান

আপনারা কে কে কথা বলার জড়তা কাটাতে চান? কথা বলার জড়তা কাটাতে পারলেঃ ১। খুব সহজেই কারো সাথে পরিচিত হতে আগ্রহী হবেন, ২। খুব সহজেই কাউকে কোন কিছু বোঝাতে পারবেন ৩। আপনার প্রেজেন্টেশান স্কিল বাড়বে, যা আপনার সেলস বাড়াতে, লোণ নেয়ার জন্য, ইনভেস্টর নেয়ার জন্য ও লিডারশীপের জন্য ব্যাপক কাজে দিবে বিজনেসে । প্রথমেই আপনাকে আগে স্বীকার করতে হবে যে আপনার এখানে দুর্বলতা আছে এবং তা আপনি দূর করতে চান। ৩০ দিনের অনুশীলনঃ ভিডিও করার বিষয়ঃ প্রতিদিনের সেশান 1. আপনার পরিচয় ১ মিনিটে 2. প্রতিদিনের সেশানটা জোরে জোরে পড়তে হবে, আগে ৩-৪ বার পড়বেন, লাইভ/ভিডিও করার আগে 3. তারপর ওটা লাইভ করবেন গ্রুপে, প্রথমে পড়বেন দেখে দেখে তারপর ৩ মিনিটে ওটা নিয়ে আপনি কি বুঝেছেন তা বলবেন। 4. নিজে বার বার শুনবেন কোথায় কোথায় উচ্চারনে ভুল হল বা আরও ভালো করা উচিৎ 5. একটু কনফিডেন্স, একটু মুখে হাসি, মুখে একটু আলো রেখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন। 6. গ্রুপে আপনার বন্ধুরাও ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন, তবে সমালোচনা নয়, উৎসাহ দেয়া 7. লজ্জা এবং ভয় পুরোপুরি বাদ দিতে হবে, যে যা ইচ্ছে বলুক, নিজেকে বলুন – আমাকে পরিবর্তন করতে হবেই 8. ১ম থেকে সকল ব্যাচের সবাই এই ভিডিও বা লাইভ করতে পারবেন, নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য। 9. এভাবে টানা ৩০ দিন চলবে, একদিনও মিস করা যাবে না। 10. সেশানের বাইরে কোন টপিক নিয়ে ভিডিও বা লাইভ না করার জন্য অনুরুধ করা হল। যারা ইতিমধ্যে গত ব্যাচ গুলোতে এই কর্মশালা করেছে তাঁদের কথা বলার পরিবর্তন আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন, এবং এটা আপনাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা এটা ৩০ দিন টানা অনুশীলন করবেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আপনার কথা বলার জড়তা থাকবে না এবং এতোটাই বদলে যাবেন যে আপনি নিজেই নিজেকে চিনতে পারবে না।

Lesson=12…গ্র্যাজুয়েশানের ৪ বছরে নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন

গ্র্যাজুয়েশানের ৪ বছরে নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন, যাতে গ্র্যাজুয়েশান যেদিন শেষ হয় সেদিনই যেন আপনার চাকরী বা ব্যবসা রেডি থাকে! কিন্তু কিভাবে, পড়াশুনার পাশাপাশি কি কি করতে হবে আগামী ৪ বছর? ১। প্রথম বছর স্বপ্ন দেখবেন আপনি কি হতে চান এবং নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে চান, যেই অনুযায়ী আপনার প্রতিদিনের মেলা মেশার সার্কেল তৈরি করবেন। কলেজে বা ইউনিভার্সিটিতে যত সৃজনশীল ক্লাব ভলান্টিয়ারিং বা প্রোগ্রাম আছে সব কিছুতে যোগ দিবেন। ২। দ্বিতীয় বছর পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে বেসিক ৪ টা স্কিলস শিখে ফেলবেন ৩ মাস করে সময় নিয়ে – কথা বলার জড়তা কাটানো ও প্রেজেন্টেশান স্কিলস, – ইংরেজিতে কথা বলা, শোনা ও লিখার দক্ষতা, – বেসিক কম্পিউটার স্কিলস – মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইমেইল, ফেইসবুক পেইজ ম্যানটেইন ইত্যাদি – যে কোন একটা টেকনিক্যাল স্কিলস – ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স, ভিডিও এডিটিং, ফ্রিলান্সিং ইত্যাদি – শুরু করবেন নেটওয়ার্কিং প্রতিনিয়ত। – ভলান্টিয়ারিং চলবে… ৩। তৃতীয় বছর পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে ৩-৪ ঘণ্টা করে পার্টটাইম কাজ শুরু করবে, কত টাকা পেলেন ভাববেন না, কাজ শিখাটাকে সবার আগে দেখবেন। প্রতিদিন ২-৪ ঘণ্টা সময় বের করে একটা টিউশানি বা পার্ট টাইম জব (মার্কেটিং-সহযাত্রী নেটওয়ার্ক এর সাথে মানে আমাদের সাথে, রেস্টুরেন্ট, ডেলিভারি সার্ভিস ইত্যাদি)।শুরু করুন আজ থেকেই। এই টাকাটা সেইভ করুন এবং কিছু টাকা জমাবে মূলধন তৈরি করার জন্য। ৪। চতুর্থ বছরে যা যা করবেন – সারা বছর নানান দিবস থাকে, ঈদ, বৈশাখ, বাবা/মা দিবস, ভালোবাসা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস, পূজা, আমের সিজন ইত্যাদি দিবস ও সময়কে মাথায় রেখে আপনি ছোট ছোট পার্ট টাইম বিজনেস প্ল্যান করতে পারেন এবং ব্যবসার হাতে-খড়ি নিতে পারেন। তাতে আপনার বিজনেস শেখা যেমন হবে তেমনি কিছু লাভও আসবে। ভেবে দেখুন ৪ বছরে আপনার সিভি টা কত লম্বা হয়ে গেছে, আপনাকে কারো বলার সাধ্য আছে, যে আপনার কোন কাজের অভিজ্ঞতা নেই?!! আপনি অন্য যে কারো থেকে এগিয়ে থাকবেন। শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরী পাওয়া ও উদ্যোক্তা হবার দিন শেষ! আপনার গ্রেজুয়েশান শেষ করার আগেই আপনার চাকরী বা ব্যবসা রেডি থাকবে। আর আপনি ভাবছেন আপনার ৪ বছর তো আগেই শেষ হয়ে গেছে, অনেক কিছুই করা হয় নি, আজই শুরু করুন, দেরী করলে আরো দেরী হয়ে যাবে।

Lesson=13…আমাদের একটা জীবনের (গড় আয়ু ৭২ বছর ধরে)

২৩ টা বছর শুধু ঘুমিয়েই কাটাই, ৭ বছর খেতে চলে যায়, ৮ বছর বাথরুমে কাটাই আর ১০ বছর কাটে যানজটে কাজ (পড়াশুনা, চাকরী/ব্যবসা) আর বিনোদন ও অন্যান্য কাজের জন্য থাকে মাত্র ২৪ বছর !!! পৃথিবীর সব মানুষের জন্য ২৪ ঘণ্টায় ১ দিন, কেউ সময়কে কাজে লাগিয়ে সফল হন আবার কেউ সময় আছে ভেবে ভেবে পিছিয়ে পড়েন ব্যর্থ হন। একদিন সময় আর তাকে সময় দেয় না। কেউ ভাল বন্ধুদের সাথে মিশে স্বপ্নের দেখা পায়, আবার কেউ খারাপ বন্ধুদের সাথে মিশে স্বপ্ন হারায় ! …… প্রতিটি দিন খুবই মূল্যবান, কিছু না করে একটা দিন কাটিয়ে দিলেন তো পিছিয়ে পড়লেন।

Lesson=14…সফলতা হচ্ছে ৪ “স” – সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সম্পদ

এই ৪টি যখন একসাথে আপনার জীবনে চলমান থাকে তখন আপনি সফল। এই ৪টির ১টিও অনুপস্থিত মানে আপনি সফল নন। একটা মানুষের জীবনের সফলতার পিক আওয়ার হচ্ছে ২২-৫৫ বছর (কমবেশি হতে পারে), তাই এটা ভাবা উচিৎ নয় যে আপনি সবসময় সফল থাকবেন – এটা বাস্তবও নয়, সম্ভবও নয়। উপরে উঠলে নিচে নামতেই হবে, নিচে নামা মানে নেমে যাওয়া নয়, আবার উঠার জন্য বিশ্রাম নেয়া। সফলতা এনজয় করারও সময় দরকার। একজন প্রতিনিয়ত সফল মানুষ কখনো তার সফলতা এনজয় করতে পারে না। আপনার অনেক টাকা আছে কিন্তু কোনদিন কোন মানুষের জন্য কিছু করেননি বা করার সুযোগ হয়নি – এটাকে সফলতা বলে না। এটা দিয়ে আপনার জীবনে কোনদিন গল্প লেখা হবে না। মানুষের জন্য কিছু করার যে আনন্দ, তা অনেক টাকা রোজগার করেও পাওয়া যায় না! আপনার সুশিক্ষা আছে, সম্পদও আছে কিন্তু স্বাস্থ্য ভালো নেই, নিজের শরীরের যত্ন নেন না, আপনি কোনদিন সুখ পাবেন না। সুতরাং কাজ করতে হলে সব সময় শরীরের যত্ন নিতে হবে। ভুলে যেতে হবে ১ দিন মানে ২৪ ঘণ্টা নয় ২৩ ঘণ্টা, বাকী ১ ঘণ্টা ব্যায়ামের জন্য রাখতে হবে প্রতিদিন। আপনার শিক্ষা আছে কিন্তু সততার সঙ্গে আয় রোজগার করেন না, মানুষকে ঠকান, মানুষকে অসম্মান করেন, খুব সহজেই অসম্মান করেন, আপনি মানুষের সাথে ব্যবহার জানেন না, তবে বুঝতে হবে আপনার সুশিক্ষা ও পারিবারিক শিক্ষার অভাব আছে। শুধু শিক্ষা নয় দরকার সুশিক্ষা। আপনার হয় অর্থ সম্পদ অনেক আছে বা কম আছে কিন্তু সম্পদ রক্ষার চিন্তায় আপনি ঘুমুতে পারেন না, পরিবারের কাছে আপনি প্রিয় মানুষ নন, আপনি পরিবার বা সমাজের কাছে কোন আদর্শ তৈরি করতে পারেননি এবং পরিবারের যত্ন করেন না আপনি – যত টাকাই থাকুক আপনি সফল নন। তত টুকু সম্পদই আপনার থাকা উচিৎ যা আপনি ভোগ করতে পারেন ও মন থেকে মানুষকে সাহায্য করতে পারেন এবং মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন। জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে খুশি থাকা। আর একজন ভালমানুষই জীবনে বেশীর ভাগ সময় খুশী থাকতে পারে।

Lesson=15…বিজনেসের মূলধন বা ফান্ড কিভাবে জোগাড় করবেন

স্টার্টআপ ফান্ডিং আইডিয়া ১ – ডেইলি সেভিংস প্রতিদিন ১০০ বা ২০০ টাকা সেইভ করা কি খুব কঠিন কাজ? যারা পারেন আরও বেশী টাকা সেইভ করা শুরু করুন। কিভাবে সেভিংস করতে পারেনঃ ১। যারা সিগারেট খান, ছেড়ে দিন এটা আপনার জীবনে কোন কিছু যোগ করবে না বিয়োগ ছাড়া। ঐ টাকাটা সেইভ করুন। ২। আমরা জানি অনেকে প্রেম করে গিফট দিয়ে অনেক টাকা নষ্ট করেন, ৫ টা বছর পরিশ্রম করে নিজের ক্যারিয়ারটা একটা শক্ত অবস্থানে দাড় করান, জীবনে প্রেমের অভাব হবে না। প্রেম আপনাকে খুঁজবে। ঐ সময় ও টাকাটা সেইভ করুন। ৩। বন্ধুদের সাথে আড্ডার দরকার আছে, কিন্তু এমন বন্ধুদের সাথে মিশুন যারা আপনার মনের মত ও যারা আপনার জীবনে ভালো কিছু অ্যাড করতে পারবে। বন্ধু নির্বাচন ক্যারিয়ারে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। বন্ধুদের সাথে অকারনে আড্ডা দিয়ে খরচ না করে তা সেইভ করতে পারেন। আসলে আপনার প্রতিদিন মেলামেশার সার্কেলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনাকে আলোর পথ দেখাবে অথবা অন্ধকারে নিয়ে যেতে পারে। তারা আপনার বড় হবার ও ভালো হবার অনুপ্রেরণা হতে পারে অথবা আপনাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সুতরাং বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকুন। ৪। যতোটুকু দরকার ততটুকু বলুন, অকারনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে কথা না বলে, ঐ সময় ও অর্থটুকু সেইভ করুন। ৫। ছোট বড় সখের জিনিষটা এখনি না কিনে ক’বছর অপেক্ষা করুন আরও বড় কোন শখ পূরণ করার জন্য, বরং ঐ ফান্ড সেইভ করুন। ৬। বাংলাদেশে সারা বছর নানান দিবস থাকে, ঈদ, বৈশাখ, বাবা/মা দিবস, ভালোবাসা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস, পূজা, আমের সিজন ইত্যাদি দিবস ও সময়কে মাথায় রেখে আপনি ছোট ছোট বিজনেস প্ল্যান করতে পারেন এবং ব্যবসার হাতে-খড়ি নিতে পারেন। তাতে আপনার বিজনেস শেখা যেমন হবে তেমনি কিছু লাভও আসবে – যা আপনি সেইভ করতে পারেন। ৭। আগামী এক বছর প্রতিদিন ২-৪ ঘণ্টা সময় বের করে একটা টিউশানি বা পার্ট টাইম জব (মার্কেটিং-সহযাত্রী নেটওয়ার্ক এর সাথে মানে আমাদের সাথে, রেস্টুরেন্ট, ডেলিভারি সার্ভিস ইত্যাদি) শুরু করুন আজ থেকেই। এই টাকাটা সেইভ করুন। আমি নিশ্চিত ১ বছরে আপনি ছোট করে শুরু করার মত একটা মূলধন জমিয়ে ফেলতে পারবেন সহজেই। খুব ছোট কিছু শুরু করার জন্য এটা হতে পারে আপনার প্রাথমিক মুলধন। ব্যবসা শুরু করতে অনেক টাকা লাগে এই ধারণাটা ভুল! এই ছোট ছোট উদ্যোগ থেকে একদিন হবে অনেক বড় একটা প্রতিষ্ঠান। গল্পের শুরুটা এখান থেকেই শুরু…

Lesson=16…বিয়ের খরচের কিছু টাকা কমিয়ে স্টার্টআপ ফান্ডিং

কিছু কিছু নিয়ম তরুণদের ভেঙ্গে ফেলতে হবে… মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত পরিবারে শুধু নিয়ম রক্ষার স্বার্থে বিয়ের খরচের নামে তার কোমর ভেঙ্গে দেয়া হয় ক্যারিয়ারের শুরুতেই। কেন এক একটা বিয়েতে এত টাকা খরচ? লোক দেখানো? অন্যদের খুশী করার জন্য? লোণ নিয়ে অথবা এতদিনের সমস্ত সঞ্চয় বিলিয়ে দিয়ে বিয়ের এত আয়োজন কেন? বিয়ের ৩ মাস পর আপনার সংসারের মাসের খরচের টাকা মিটাতে যখন আপনি হিমশিম খান বা খাবেন, তখন ঐ আনন্দের লেশ মাত্র আপনাকে স্পর্শ করবে? আমি মোটেও বলছি না যে আপনি বিয়েতে খরচ করবেন না। কিন্ত যা হচ্ছে সবার মন রক্ষার্থে, তার তিন ভাগের একভাগ খরচ করেও বিয়েতে আনন্দ করা যায়। বরং ঐ টাকাটা আপনি নিজে বা আপনার বাবা-মাকে বলতে পারেন, বিয়েতে কম খরচ করে ঐ টাকাটা আপনাকে দিতে, যা আপনি আপনার নতুন বিজনেসের মুলধন হিসাবে কাজে লাগাতে পারেন। শুরু করতে পারেন নতুন একটা কিছু। যাদের অনেক টাকা আছে তাদেরকে কিছু বলছি না, তবে আপনিও ভাবতে পারেন, কিছুটা কম খরচ করে বাকী টাকাটা দিয়ে কোন অসহায় মানুষকে একটা ঘর করে দেয়া যায় কিনা বা একটা অসহায় বাবার মেয়েকে বিয়ের খরচ দিয়ে দেন। এটা করে আপনার বিয়েতে ২০০০ লোক খাওয়ানোর চেয়ে বেশী আনন্দ পাবেন। আপনি হয়ত বলবেন, বিয়ে তো মানুষ জীবনে একবারই করে! এটা মনে রাখার জন্য একটু আড়ম্বর হওয়া দরকার। বিয়ে বা হানিমুন একদিনের কোন বিষয় নয়। জীবনটা সেভাবে সাজানো উচিৎ যাতে সারাজীবন ভালো থাকা যায় ও একসাথে থাকা যায়। জানেন তো সংসারে অভাব থাকলে ভালবাসা জানালা দিয়ে পালায়। এটা আপনি আপনার হবু বউের সাথে ও আলাপ করতে পারেন। সে যদি আপনাকে ভালোবাসে, নিশ্চয়ই একমত হবে। আপনার ঐ একদিনের আড়ম্বর আপনাকে সারাজীবন ভালো থাকা থেকে বঞ্চিত করতে পারে। বিয়েতে কম খরচ করে ওটাকে আপনার বিজনেসের জন্য প্রাথমিক মুলধন হিসাবে নিয়ে, নিজের জন্য কিছু একটা শুরু করুন। ৫ বছর পর, প্রতি বছর আপনার ম্যারেজ ডে করুন, ঘুরতে যান, প্রতি মাসে হানিমুন করুন কারণ তত দিনে আপনি শক্ত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবেন। একদিনের জন্য যাকে সাজাতে চাচ্ছেন, এমন কিছু করুন যাতে তাঁকে প্রতিদিন যাতে সাজিয়ে রাখতে পারেন।

Lesson=17…উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প- ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার (ট্রেইনার হিসেবে গ্রীনিজ রেকর্ড প্রাপ্ত)

প্রত্যেক মানুষের জীবনে সাকসেসের পিছনে একটা টার্ননিং পয়েন্ট থাকে, একটা ছোট গল্প থাকে। আমার জন্ম যৌথ পরিবারে ফেনী জেলার ফুলগাজি উপজেলায়, যাকে বলে একেবারে গ্রামের ছেলে। এসএসসি পর্যন্ত গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া। তারপর উচ্চ শিক্ষার্থে ঢাকায় আগমন। ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনায় আমি ব্যাপক ফাঁকিবাজ ছিলাম। তবুও ব্যাপক শৃঙ্খলার মধ্যে কেটেছে আমাদের কিশোর জীবন। সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে থাকার দুঃস্বপ্ন কখনো দেখতাম না। তবে ফাইনাল পরীক্ষার পর কিছু স্বাধীনতা ভোগ করতাম। আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের গ্রামে কারেন্ট ছিল না, হারিকেন দিয়ে লেখাপড়া করতাম লজিং মাস্টার কাছে। এখনো মনে আছে রাতে বেলা কাচারি ঘরে হারিকেনের চিমনিতে মাথা লাগিয়ে, কপাল গরম করে স্যারকে বলতাম, দেখেন জ্বর এসেছে ছুটি দেন… টিচার কপালে হাত রেখেই ছুটি দিয়ে দিতেন। তবে ছুটি দেয়ার পর মাঝে মধ্যে মা-বাবার হাতে ধরা খেতাম। তবে যৌথ পরিবারে বেঁড়ে ওঠা আমাকে দিয়েছে অনেক কিছু। শেয়ারিং, কেয়ারিং, সহানুভূতি, পরে গিয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে পারা – এই সবই আমার যৌথ পরিবারের শিক্ষা। স্বাধীন জীবন পেয়ে স্কুলের পড়ালেখায় চরম ফাঁকিবাজ ছেলেটি আরও বেপরোয়া ফাঁকিবাজ হয়ে গেলো। পড়া লেখা আমার ভালো লাগে না। নাটক, সিনেমা, অভিনয়, গান, গীটার, উপস্থাপনা এগুলো বেশী ভালো লাগে। যা হবার তাই হল, এইচএসসি ফেল করে ফেললাম। চরম হতাশা নেমে আসলো আমার জীবনে। আমার সকল আত্মীয় স্বজন পরিবার পরিজন সবাই বলতে শুরু করলো “আমি শেষ, আমাকে দিয়ে জীবনে আর কিছুই হবে না”। সবাই আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পালিয়ে যাবার। এমন সময় আমার প্রিয় বাবা আমাকে সাহস দিলেন, বললেন “তোমার উপর আমার আস্থা আছে, আবার শুরু করো”। আমি যেন প্রাণ ফিরে ফেলাম। পরিবারের সবাইকে হতাশ করে দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার নাম্বারই পেলাম না এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি, চট্রগ্রাম ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গিরনগর ইউনিভার্সিটি এমন কি জগন্নাথ কলেজেও ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেলাম না। আবার আমাকে নিয়ে টিটকারি ও হাসির রোল, “আমি শেষ, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না” ততদিন আমি আমার জীবনটাকে চিনে ফেলেছি, খুঁজে পেয়েছি জীবনের মানে। কাউকে না জানিয়ে ভর্তি হলাম আবার তিতুমির কলেজে বি কম এ। এতদিন পড়ে আসা সাইন্স থেকে ইউটার্ন করে কমার্সে। আবার আমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা – “অনার্স পরারও যোগ্যতা হল না!!!” আমার বন্ধু-বান্ধবরাও আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। এর পর থেকে জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড কাজে লাগাতে থাকলাম। পড়া লেখা, টিউশনি, পার্ট টাইম কাজ সব একসাথে শুরু করলাম। বি কমে সেকেন্ড ডিভিশন পেয়ে সোজা চার্টার্ড একাউন্টেন্সি ভর্তি হলাম। ততদিনে সবাই দেখি আমার দিকে ঘুরে তাকাতে শুরু করলো। অথচ আমার জীবনে একসময় অনেকেই মনে করতো আমাকে দিয়ে কিছু হবে না! অনেক কষ্ট পেতাম, নিজেকে আয়নায় দেখে মনে হতো এটা তো আমি নই। তারপর মাস্টার্স ও সিএ পড়লাম, এরপর এমবিএ। ক্যারিয়ার শুরু করলাম হিসাব বিভাগে, ভালো লাগলো না, তারপর মার্কেটিং অবশেষে উদ্যোক্তা। গ্রামীণ সাইবারনেট আমার জীবনের প্রথম চাকুরী। চাকুরীর ৩ মাস বয়সে আমি বিয়ে করে ফেলি। গ্রামীণ সাইবারনেট এ চাকুরী না করলে ইন্টারনেট তথা তথ্য প্রযুক্তিটা ভালো করে শিখা হতো না বা প্রযুক্তির প্রতি একটা ভালবাসা তৈরি হতো না । গ্রামীণ সাইবারনেট এ আমি ছিলাম আকাউনটস ম্যানেজার হিসাবে। গ্রামীণ সাইবারনেটে জব না করলে অপটিম্যাক্স কমিউনিকেসান লিমিটেড হতো না । গ্রামীণ সাইবারনেট না ছাড়লেও অপটিম্যাক্স হতো না, তাহলে হয়তো গ্রামীণ সাইবারনেটেই বা অন্য কোথাও জব করা হতো । তারপর গেলাম গ্রামীণ শক্তিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে । গ্রামীণ শক্তিতে না গেলে অপটিম্যাক্স হতো না কারণ ওখানে গিয়ে স্বপ্ন সত্যি করার কাজ শুরু করি। তারপর আর থামতে হয় নি। তারপর শুরু হল অপটিম্যাক্স এর যাত্রা যা আমার ব্রেইন চাইল্ড। কিন্তু যাত্রাটা অতটা শুভ ছিল না। ১৮ মাস এর মাথায় কোম্পানি বন্ধ হবার উপক্রম হল। একই সময়ে অসুস্থ হয়ে আমার হাতের উপর মারা গেলেন আমার প্রিয় বাবা। চারিদিকে ঘোর অন্ধকার! লোভনীয় মাল্টি ন্যাশানাল কোম্পানির চাকরী চালিয়ে যাবো? নাকি চাকরী ছেড়ে শুধু ব্যবসায় মনোযোগ দিবো? নিজের সাথে বোঝাপড়া করে অনিশ্চয়তার জীবন হাতে নিয়ে চাকরী ছেড়ে দিলাম। তারপর যারপর নাই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ও অস্বাভাবিক পরিশ্রম করে ও মেধা খাঁটিয়ে আবার হাটি হাটি পা পা করে পরবর্তী ২-৫ বছরে ঘুরে দাঁড়ালাম। যে কোম্পানির বয়স এখন ১৮ বছর। মাঝখানে কিছুদিন সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এ জব করেছি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে । উদ্দেশ্য ছিল মাল্টিনেশানাল কোম্পানিতে জব এর স্বাদ নেয়া ও কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডের কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করা। এটা ছিল অপটিম্যাক্স এর শুরুর দিকে। তখন আমি সিঙ্গার বাংলাদেশ এ জব ও অপটিম্যাক্সের কাজ দুটাই একসাথে করতাম। প্রতিদিন গড়ে ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করতাম, এখনো তাই করি। সিঙ্গার বাংলাদেশের জবে আমার অভিজ্ঞতা অপটিম্যাক্সের গ্রোথ এ অনেক বেশী সাহায্য করেছে। জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছিলাম চাকরী করবো না, চাকরী সৃষ্টি করবো। জীবনে সফলতা মানে শুধু বাড়ি, গাড়ী ও টাকা নয়, সফলতা মানে সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সম্পদ আর একজন ভালোমানুষ। আজ আমি ২০০টি পরিবারের হাসি মুখ প্রতিদিন দেখতে পাই – এটাই আমার কাছে সফলতা। আমার উদ্যোগ গুলোর সর্বশেষ সংযোজন আলাদীন ডট কম, ইউটিভি এন্টারটেইনমেন্ট ডট কম, সেরা বাংলা৬৪ ও স্কিল আপ বাংলাদেশ। প্রযুক্তির মাধমে একটু অন্যরকম সেবা দেয়ার প্রত্যয়। আমার কাছে এখন নতুন কিছু করা মানে নিজের সাথে আরও কিছু মানুষকে স্বপ্ন দেখানো। নিজে স্বপ্ন দেখি ও তরুণদের স্বপ্ন দেখাই – এটা আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা যা আমি কোন প্রকার পারিশ্রমিক ছাড়া করি এবং অনেক সময় দিই। গত ৪ বছরে প্রায় ৫০০,০০০ জনেরও বেশী তরুণের মাঝে এই স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে পেরেছি – এটাই বিশাল প্রাপ্তি। তাঁদের মধ্যে ৬০,০০০ জন উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ী হয়ে এখন অন্যদেরকে চাকরী দিচ্ছে। এই স্বপ্ন এখন আরও অনেক বড় হয়েছে। আগামী ১ বছরে মোট ১ লাখ জন উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ী তৈরি করবো – তাঁরা একদিন ৫০০,০০০ মানুষের কর্ম সংস্থান তৈরি করবে এবং নেটওয়ার্ক তৈরি করবো ১০,০০,০০০ ভালোমানুষ ও পজিটিভ মানুষের। আর টিভি নিউজ প্রেজেনটেশান ও বিজনেস প্রোগ্রাম উপস্থাপনা, ওটাতো শখ করে করা। এসএসসি পাশ করেই চামেলি আমার জীবনে চলে আসে, আমাদের বিবাহ হয়। তারপর তার এইসএসসি, গ্রাজুয়েশান, মাস্টার্স, ফ্যাশান ডিজাইনিং, আবার এমবিএ করে আমার পাশে পাশে থেকেই। এখন সে একটা অফিসের সিইও আর এটিএন বাংলা টিভি নিউজ প্রেজেণটার। আমার বউ – চামেলি আমার জীবনে না এলে এবং ওর সহযোগিতা না পেলে আমার জীবনে কিছুই হতো না। জীবনের প্রায় সকল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণী পেলেও ক্যারিয়ার, পরিবার, আত্মীয় পরিজন ও বন্ধু বান্ধব ও নিজের কাছে প্রথম শ্রেণীতে থাকাটা কখনো হাত ছাড়া করিনি। সর্বোপরি আমার কাছে সফলতা মানে খুশি থাকা। এখন আপনাদের নিজের বলার মত একটা গল্পের জন্য লেগে থাকবো…

Lesson=18…পার্ট টাইম কাজ কি কি করা যেতে পারে? কোথায় করবেন?

১। পার্ট টাইম কাজ হিসাবে (মার্কেটিং-সহযাত্রী নেটওয়ার্ক এর সাথে মানে আমাদের সাথে, রেস্টুরেন্ট, ডেলিভারি সার্ভিস) ইত্যাদিতে চেষ্টা করতে পারেন। খুঁজতে হবে সবসময়। ২। ওয়েব ডিজাইনইং, Outsourcing/Freelancing এর কাজ শিখুন – ঘরে বসে আয়ের একটা সুযোগ তৈরি হবে। ৩। সারা বছর নানান দিবস থাকে, ঈদ, বৈশাখ, বাবা/মা দিবস, ভালোবাসা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস, পূজা, আমের সিজন ইত্যাদি দিবস ও সময়কে মাথায় রেখে আপনি ছোট ছোট পার্ট টাইম বিজনেস প্ল্যান করতে পারেন এবং ব্যবসার হাতে-খড়ি নিতে পারেন। তাতে আপনার বিজনেস শেখা যেমন হবে তেমনি কিছু লাভও আসবে। ৪। এমনকি কেউ টাকা না দিতে চাইলে ফ্রি তে হলেও কাজ করুন অন্তত ৬ মাস। অনেক স্কিলস শিখে যাবেন এবং বিজনেস আইডিয়া ও নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। আমি আমার জীবনে ৬ মাস ফ্রিতে কাজ করেছি একটা অফিসে, কাজ শেখার জন্য এবং আরো বেশ কিছু পার্ট টাইম কাজ করেছি। যার কারণে আমার প্রথম চাকরী পেতে ১ দিনও বসে থাকতে হয়নি। আমিও আমার বিজনেসের প্রাথমিক মুলধন জোগাড় করেছি পার্টটাইম কাজ করে।

Lesson=19…ভাগ্য, চমক, মিরাকল এগুলো আমরা সবাই পেতে চাই – সবার জীবনে

কোন কিছু না পেলে বা না পারলে আমরা ভাগ্যকে দোষ দেই – আপনি কিন্তু নিজেকে প্রশ্ন করেন না, কেন পারলেন না? কি কি কারণ ছিল তারও কোন বিশ্লেষণ নেই, দোষ শুধু ভাগ্যের। আবার যখন কোন কিছু পেয়ে যান, বলেন it’s miracle in my life – নিজের যোগ্যতার উপরও ভরসা নেই। স্মার্ট ওয়ার্ক আপনাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাবে কিন্তু কোন কোন চমক বদলে দেবে আপনার জীবন। আপনার কষ্ট দেখে আপনার মা-বাবা কতবার কেঁদেছেন, মনে আছে? মনে আছে আপনার ছোট্ট একটা খুশির খবর শুনে খুশিতে তারা কত ফোটা চোখের জল টপ টপ করে ফেলে দিয়েছেন? গ্রামের বাড়ি থেকে বেড়ানো শেষে বা যখন পড়াশুনা বা কাজের জন্য আবার চলে আসছেন, পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলেন বারবার হাত দিয়ে সেই বাব-মা অনবরত চোখ মুছছেন। এই চোখের পানির প্রতিটি ফোঁটায় লুকিয়ে আছে আপনার জন্য আজস্র দোয়া ও ভালোবাসা। মা ফোন করলে, অনেক সময় আমরা ব্যস্ত আছি পরে ফোন করো… কিসের এতো ব্যস্ততা, কার জন্য এই ব্যস্ততা ! আরে আপনি তো জানেনই না, মা আপনাকে ফোন করে কয়েক সেকেন্ডের জন্য থামিয়ে দিয়েছে, যার কারণে সেকেন্ডের ব্যাবধানে রাস্তায় আপনি বড় কোন এক্সিডেন্ট থেকে বেঁচে গেলেন, উপর থেকে ইটটা অল্পের জন্য আপনার মাথার উপর পরে নাই! আপনার জীবনে যদি কোন ভাগ্য, চমক, মিরাকেল ঘটে থাকে, তা ঘটেছে শুধুমাত্র মা-বাবার দোয়ার কারণে। সেই বাবা-মার জন্য আমরা কি বা করতে পারছি বা পেরেছি? এই প্রশ্ন নিজেকে করা দরকার। তারা চায় ভালোবাসা। কেউ কেউ চাইলেও পারছেন না কারণ চলে যে গেছেন অকালে বহু দূর না ফেরার দেশে। যাদের বাবা-মা এখনো জীবিত তারাই প্রকৃত ভাগ্যবান। মা-বাবার মুখের হাসিই আপনার জীবনের একমাত্র চমক।

Lesson=20…স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং “লেগে থাকুন”…… সাফল্য আসবেই – এটা জাহিদ স্যারের প্রিয় একটা শ্লোগান

অনেকের স্বপ্ন আছে কিন্তু ‘সাহস’ করতে পারেন না কারণ তিনি জানেন না কি করবেন ও কিভাবে করবেন। সেই জন্য তার ঐ বিষয়ে জানার জন্য প্রশিক্ষণ দরকার, যা আমরা টানা ৯০ দিনে প্রতিদিন শিখাচ্ছি। এই শিক্ষা তাঁকে কনফিডেন্স দিবে আর ঐ কনফিডেন্স তাঁকে সাহস যোগাবে। এখন সাহস তো হল কিন্তু ‘শুরু’ করতে পারেন না, কারণ লোকে কি বলবে যদি ফেল মারি। লোকে কিন্তু বলছে না, আপনি নিজেই ভাবছেন লোকে বলতে পারে। যদি বলেও লোকের সমস্ত কথার জবাব দেয়া যাবে কাজ করে সফল হয়ে… স্বপ্ন আছে, সাহস হলো, শুরুও করে দেন কিন্তু “লেগে থাকতে” পারে ন। এটা অনেকেরই সমস্যা! এটার একটাই ফর্মুলা জানা আছে আমার কাছে, যা আমি করিঃ “কাজের প্রেমে পড়তে হবে …… কাজটাকে ভালবাসতে হবে।” কাজটা করতে যেন আপনি ক্লান্ত না হন। কাজের প্রতি একটা ভালোলাগার চর্চা ও যত্ন করতে হবে। আপনার নিজেকে প্রমাণ করতে হবে যে, ঐ কাজটাতে সফল না হওয়া পর্যন্ত আপনি লেগে থাকবেন। স্বপ্নটা লালন করতে হবে সবসময়। একটা সময়ে এমনও আপনার মনে হতে পারে যে, এই কাজে আর সফল হওয়া সম্ভব নয়। তখন আবার নতুন কোন স্বপ্ন নিয়ে শুরু করবেন… কিন্তু স্বপ্ন দেখা বন্ধ করা যাবে না কখনো। এটা কখনো ভাববেন না যে ঐ সময়টা আপনার নষ্ট হয়েছে বা ঐ সময়টাতে আপনি অসফল হয়েছেন। মোটেই না, আপনি এর মধ্য দিয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। যেটা আপনার পরবর্তী প্রোজেক্ট দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করবে। হয় জিতবেন অথবা শিখবেন, হারবেন না কখনো, সুতরাং কখনো থেমে যাওয়া যাবে না।

Lesson=21…জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভালোমানুষ হওয়া

আপনার আশেপাশে মানুষ আপনাকে ভালো বলবে, ভালো জানবে – এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি জীবনে আর কি আছে! আপনার হয়তো অনেক সাফল্য অনেক, অনেক খ্যাতি আছে কিন্তু আপনি ভালো মানুষ নন বা আপনাকে কেউ ভালো বলে না – সব অর্জন বৃথা। সাফল্য এবং ভালোমানুষ হওয়া দুটো একসাথেই দরকার। ভালোমানুষ হঠাৎ হঠাৎ বা কখনো কখনো হওয়া যায় কিন্তু এটা ধরে রাখার জন্য অনেক ত্যাগ ও ধৈর্য প্রয়োজন যা অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। শুধুমাত্র ভালোমানুষরাই জীবনে বুক ফুলিয়ে চলতে পারে। এটা যদি এতো সহজ হতো তবে একটি খারাপ মানুষও খুঁজে পাওয়া যেত না। কিছু বলার বা করার আগে নিজের বিবেককে জিজ্ঞেস করতে হবে – এটা ভালো না মন্দ। নিজের মনের কাছে নিজেকে ভালমানুষ হতে হবে। ভালো মানুষদের সফলতা পেতে হয়ত একটু বেশী পরিশ্রম ও কষ্ট করতে হয় কিন্ত টিকে থাকে আমৃত্যু। সবচেয়ে বড় কথা তারা জীবনে সুখী হয়। আমাদের এই লাখো মানুষের পরিবারের প্রথম আইডেটিটি হবে আমরা প্রত্যেকে “একজন ভালোমানুষ”। প্রতিযোগিতা যদি করতে হয় তবে তা হবে, “কে কার থেকে বেশী ভাল? কে কার থেকে বেশী বিনয়ী?”। আপনার সফলতা কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

Lesson=22…ছোট ছোট সম্পর্ক গুলো একসময় জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে

ছোট ছোট সম্পর্ক গুলো একসময় জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে, যা হয়তো আপনি কোনদিন কল্পনাও করেননি। তার জন্য প্রয়োজন সততা ও লেগে থাকা, এটা শুধু অর্থনৈতিক সততা নয়, সম্পর্কের সততা ও কমিটমেন্ট। আজকাল বন্ধুত্ব বা প্রেমের সম্পর্ক সেখানেও স্বার্থ খোঁজে, স্বার্থ শেষ হলে কেটে পড়ে, প্রয়োজন ও স্বার্থ ছাড়া কেউ কারো সাথে নুন্যতম সম্পর্কও করে না – এটা ভুল পুরাটাই ভুল। স্বার্থের কোন সম্পর্ক বেশী দিন টিকে না। আমার জীবনে অনেক শত মানুষের সাথে ভালো পরিচয় ও সম্পর্ক আছে, যার সাথে স্বার্থের কোন সম্পর্ক নেই – হ্যাঁ একটা স্বার্থ আছে, তা হল ভালোলাগা। কোন কোন সম্পর্ক আপনাকে হয়তো নগদ কিছু দিবে না কিন্তু কোন একটা সময় এমন একটা সুযোগ সামনে নিয়ে আসবে যেটার জন্য নিজের সততার সম্পর্ক ছাড়া আর কিছুই করেননি বা চাননি। একটু ভাবুন, আপনি কাউকে কোন কাজ দিবেন বা চাকরীর জন্য রেফার করবেন বা কাউকে চাকরী দিবেন বা কাউকে বিজনেস পার্টনার করবেন এমনকি বিয়ে দিবেন/করবেন – আপনি কিন্তু আপনার পরিচিতদের মধ্যে সেই মানুষটাকেই খুঁজবেন যে সৎ, যার ব্যবহার ভালো, যে স্মার্ট ও যার কমিটমেন্টে কোন ভেজাল পান নাই। এটা কিন্তু একটা বিরাট যোগ্যতা – এটাকে ধারণ করুন আজীবন। এটাও একটা নেটওয়ার্কিং! আপনার স্বপ্ন পূরণে ও এগিয়ে যাবার প্রতিটি ধাপে এই সম্পর্কগুলো কাজে লাগবে।

Lesson=23…বিজনেস ফান্ডের জন্য যেভাবে এগুতে হবে

১। একটা প্রোজেক্ট প্রপোজাল বা বিজনেস প্ল্যান বানাতে হবে (এটা কিভাবে তৈরি করতে হবে তা আমি শিখাবো)। ২। এই প্রোজেক্ট প্রপোজাল আপনার পরিবার, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, বন্ধু বান্ধবদের বন্ধু বান্ধব, ও আপনার এতদিনের নেটওয়ার্ক – যাকে আপনার কাজে লাগবে তাদের কাছে আপনার আইডিয়া সেল করতে হবে ফান্ডের জন্য। ৩। আপনি যেহেতু সৎ ও আপনাকে বিশ্বাস করা যায়, আপনি পরিশ্রমী, আপনি কমিটমেন্ট যে কোন মূল্যে রাখেন এবং আপনার বিজনেস আইডিয়া ভালো, আপনাকে তারা টাকা দিবে পার্টনার হিসাবে বিজনেস করার জন্য। ৪। আপনি সেলসে ভালো, আপনার কোন বন্ধু বা আত্মীয় একাউন্টিং এ ভালো, অন্যজন লিডারশীপ/ম্যানেজমেন্ট ভালো, আরেকজন টেকনিক্যাল/ডিজিটাল সাইডে ভালো এবং পঞ্চম জনের কাছে ফান্ড আছে – আপনারা খুঁজে এই ৫ জন মিলে বিজনেস শুরু করতে পারেন। ৫। ছাত্র জীবন থেকেই টিউশানি করে বা পার্ট টাইম কাজ করে বিজনেসের প্রাথমিক পুঁজি সংগ্রহ করতে পারেন। ৬। যারা চাকরী করছেন তারা মাসে মাসে কিছু সেভিংস করে এবং ৫ বা ৭ টার পর অন্য কোন পার্ট টাইম কাজ করে মুলধন জোগাড় করতে পারেন। শুরু করুন।

Lesson=24…বাংলাদেশে স্টার্টআপে এখন সীমিত আকারে ফান্ডিং হচ্ছে

বাংলাদেশে স্টার্টআপে এখন সীমিত আকারে ফান্ডিং হচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু ফান্ডিং করা হয়। এ জন্য বেশ কিছু স্ক্রিনিং পর্যায় পার হতে হয়। কয়েকটি লিংকে গিয়ে জেনে আসতে পারেন এসব ফান্ডিং সম্পর্কে: ইনোভেশন সার্ভিস ফান্ড, ইনোভেশন ফান্ড আইসিটি ডিভিশন ফান্ড স্টার্টআপ বাংলাদেশ টেলকো ফান্ডিং আইপিডিসি উদ্ভাবনী আইডিয়া বা প্রকল্পগুলোকে সহযোগিতা করতে বা নিজেদের কাজে লাগাতে কিছু সাহায্য করে টেলকো গুলো। কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে নিজের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে পারেন। ফান্ডিং গুলোর নাম লিখে সার্চ দিলেই লিঙ্ক গুলো পাবেন। দেখুন ও পড়ুন, চোখ খুলে যাবে। চেষ্টা করলে ও লেগে থাকলে আপনারা কেউ কেউ এই ফান্ড পেয়ে যেতে পারেন। আমি চাই আমাদের গ্রুপের ছেলে মেয়েরা বাংলাদেশের সকল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করুক। আমি পাশে আছি আপনাদের তৈরি করার জন্য।

Lesson=25…কোটি টাকার মূলধন আছে আপনার কাছে – নিজের দিকে তাকান

নিজের জীবনে এই রকম একটা ইমেজ তৈরি করুন, আজ থেকেঃ ১। আপনি একজন বিশ্বাসী মানুষ, আপনি কাউকে ঠকাতে পারেন না ২। আপনি যে কোন কাজে ব্যাপক ভাবে লেগে থাকতে পারেন ৩। আপনি যে কোন মূল্যে আপনার দেয়া কথা রাখেন, ব্যাপক কমিটেড ৪। আপনি ভীষণ পরিশ্রমী, কাজ পাগল একজন মানুষ ও ব্যাপক শেখার আগ্রহ আছে আপনার ৫। আপনি সহজেই মানুষের সাথে মিশতে পারেন এবং নেটওয়ার্ক ম্যানটেইন করেন ৬। আপনি একজন পজিটিভ মানুষ ৭। আপনি একজন ভালোমানুষ এই গুন গুলো আপনাকে নিশ্চিতভাবে মুলধন যোগাতে সাহায্য করবে – যা আমাকে করেছে। শুধু ভালো আইডিয়া থাকলেই আপনার প্রোজেক্টে কেউ বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে না, সাথে উপরের ৭ টা কোয়ালিটিও আপনার লাগবে। আপনাকেই খুঁজছে – কোন এক বিনিয়োগকারী আপনার স্বপ্নের প্রোজেক্টে বিনিয়োগ করার জন্য।

Lesson=26…“নিজের বলার মতো একটা গল্প” প্লাটফর্ম হতে পারে আপনার বিনিয়োগকারী খুঁজে পাবার অন্যতম একটি মাধ্যম

“নিজের বলার মতো একটা গল্প” প্লাটফর্ম হতে পারে আপনার বিনিয়োগকারী খুঁজে পাবার অন্যতম একটি মাধ্যম, তবে তা হতে হবে সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে। কোন চালাকি করে নয় বা একদিনের জন্য কোন সম্পর্ক করে নয়। তাড়াহুড়ার কিছু নেই এবং নো শর্ট কাটস! আগে গ্রুপে সবার সাথে চেনা জানা করুন, সময় নিন, বিশ্বস্ততা অর্জন করুন তারপর বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। দেখবেন পার্টনার পেয়ে যাবেন বিনিয়োগ করার জন্য। ইতিমধ্যেই এই প্লাটফর্মে এর বেশ কিছু প্রমাণ আছে, অনেকেই আগে থেকে কেউ কাউকে কোনদিন চিনতেন না। এখন তারা বিজনেস পার্টনার। তবে ৫০-১০০ জন পার্টনার নিয়ে কোন বিজনেস করার প্ল্যান শুরুতেই আমি সমর্থন করিনা। আপনি আগে ৫ জন এমপ্লয়ী চালানোর লিডারশীপ ও দক্ষতা অর্জন করুন এবং অন্তত ৫ বছরের বিজনেস করার অভিজ্ঞতা অর্জন করুন, তারপর ৫ জন পার্টনার কেন, পারলে ১৫-২০ জনকে নিয়ে করুন, তারা যদি আপনার প্রোফাইল দেখে বিনিয়োগ করতে চায়, করবে। তবে এ ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া মানেই ভুল। আগে সম্পর্ক তৈরি করুন, ৬-১২ মাস মেলামেশা ও উঠা বসা করুন, তারপর পার্টনারশিপ করুন। ১০-১৫ জনের বেশী কোন পার্টনারশিপ আমরা এখন এলাউ করবো না। যাকে টাকা দিবেন তার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কি আগে জেনে নিন। ৫০০০/১০,০০০/২৫,০০০ টাকা করে নিয়ে ৫০ জন বা ১০০ জনকে একত্র করে ফান্ড কালেকশান করে কোন বিজনেস করার চিন্তা এই প্লাটফর্মে নিষিদ্ধ। পার্টনার নেয়ার ক্ষেত্রে আপনি আরেকটা আইডিয়া নিয়েও কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ৫ জন বিনিয়োগকারী একত্রে বিজনেস করতে চান, চেষ্টা করবেন ৫ জন যেন একটা অফিসের ৫ ধরনের কাজে এক্সপার্ট হয় বা ভালো জানে। যেমন কেউ হয়তো মার্কেটিং ভালো জানে, কেউ হিসাব ভালো বোঝে, কেউ প্রশাসন ভালো চালাতে জানে, কেউ টেকনিক্যাল কাজটা ভাল জানে এবং অন্য জন সেলসে দুর্দান্ত। এতে ঐ ডিপার্টমেন্ট গুলো চালানোর জন্য আপনাকে কোন লোক চাকুরীতে নিতে হবে না, আপনি নিজেই কাজ করতে পারবেন, এতে পুরো বিজনেসে আপনার সক্রিয় থাকার সুযোগ হবে। আপনার আইডিয়া সেল করেও বিনিয়োগকারী নিতে পারেন। অনেকের টাকা আছে কিন্তু আপনার মতো আইডিয়া নেই বা সেটা বাস্তবায়ন করার সময় বা সামর্থ্য নেই, হয়তো তিনি আপনাকেই খুঁজছেন ! আর এই প্লাটফর্মে আপনার পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করার সুযোগ তো থাকছেই। শেখা, পার্টনার পাবার সুযোগ, ব্যবসা করা এবং কেনাবেচার সুযোগ সব একসাথে একই প্লাটফর্মে, এরকম সুযোগ আমাদের দেশে আর কোথাও নেই !

Lesson=27…বিজনেস আইডিয়া কিভাবে পাবেন-১ (টিয়েন্স স্বাস্থ্যপন্য এর মার্কেটিং টিম সহযাত্রী নেটওয়ার্ক – আপনার রেডিমেট বিজনেস প্লাটফর্ম)

১। আপনার চারপাশে, দূরে বা কাছে অসংখ্য ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত, চোখ রাখুন ঐ ঘটনা থেকে কোন বিজনেস আইডিয়া পাওয়া যায় কিনা। ২। যে কোন সমস্যা থেকে আইডিয়া খুঁজে নিন, যাতে ঐ সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আপনি কোন না কোন বিজনেস আইডিয়া বের হতে পারে – কেউ দেখছে সমস্যা আর আপনি খুঁজবেন সেখানে “সম্ভাবনা” ৩। এমন কোন বিজনেস আইডিয়া যা মানুষের কাজকে সহজ করে দেয় বা তাঁদের লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন আসে। ৪। আপনার কোন সখ থেকে হতে পারে দারুণ কোন বিজনেস আইডিয়া ৫। আপনার এলাকায় সবচেয়ে বেশী উৎপাদিত হয় কোন পণ্যটি? সেটাকে নিয়ে প্ল্যান করা। যাতে ঐ পণ্যটি সারা দেশের ৬৪ জেলায় ও সারা পৃথিবীতে পৌঁছে দেয়া যায়। ৬। আপনার জেলার সবচেয়ে বিখ্যাত কোন পণ্য বা এমন কোন যা এখনো বিখ্যাত হয়নি কিন্তু আপনি চাইলে তা সারা বাংলাদেশে ও বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে বিখ্যাত করতে পারেন – এমন পণ্য নিয়ে বিজনেস আইডিয়া। ৭। অন্যরা ব্যাবহার বা ভোগ করছে অথচ আপনার এলাকায় এখনো শুরু হয়নি সেটা কোন পণ্য বা সেবা? তা নিয়ে প্ল্যান করতে পারেন। ৮। বাজারে আছে কিন্তু আপনারটা একটু হলেও ব্যতিক্রম ও সহজ লভ্য করে আইডিয়া বের করা। ৯। দেশী (ও পারলে বিদেশী) মেলায় অংশ গ্রহণ করুন, কোন না কোন বিজনেস আইডিয়া পাবেনই। আপনার মধ্যে ভাবনা শুরু হবে…

Lesson=28…বিজনেস আইডিয়া কিভাবে পাবেন-২ (টিয়েন্স স্বাস্থ্যপন্য এর মার্কেটিং টিম সহযাত্রী নেটওয়ার্ক – আপনার রেডিমেট বিজনেস প্লাটফর্ম)

বাংলাদেশে ২০ কোটি মানুষ – বিশাল বাজার আপনি যদি একটু চিন্তা করেন, ২০ কোটি থেকে মাত্র ৫০,০০০ বা ১ লাখ মানুষকে কোন কিছুঃ ১। খাওয়াবেন ২। পরাবেন ৩। কোন কিছু ব্যাবহার করাবেন যা কিছুই দেখবেন শুধু তাকাবেন না, একটু গভীর ভাবে দেখবেন ও ভাববেন – এটা কিভাবে তৈরি হল, কোথায় পাওয়া যায়? এটার কাঁচামাল কি? কাস্টমার কারা? কিভাবে ও কোথায় সেল করবো? কিভাবে সহজ করে আরও বেশী মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়? এই প্রশ্ন গুলো নিজেকে প্রতিনিয়ত চিন্তা করতে হবে – পেয়ে যাবেন আপনার স্বপ্নের আইডিয়া। সেটাই খুঁজে নিতে হবে, যেটা হবে আপনার ভালবাসা ও ভালোলাগার কাজ, যা করতে আপনি কখনই ক্লান্ত হবেন না।

Lesson=29…বিজনেস আইডিয়া ৩ (টিয়েন্স স্বাস্থ্যপন্য এর মার্কেটিং টিম সহযাত্রী নেটওয়ার্ক – আপনার রেডিমেট বিজনেস প্লাটফর্ম)

প্রত্যেক জেলায় কিছু কিছু পণ্য বা সেবা আছে যা খুবই বিখ্যাত। যেমন টাঙ্গাইলের শাড়ি, বগুড়ার দই, চাদপুরের ইলিশ, দিনাজপুরের চাল ইত্যাদি। কোন কোন জেলায় ২-৪ টা জিনিষও বিখ্যাত হতে পারে বা ভালো হলে আপনারা বিখ্যাত বানাতে পারেন। ৭ দিন সময় নিন, যার যার জেলায় যান বা ৪-৫ জনের মাধ্যমে খোঁজ নিন এবং একটা সার্ভে করুন – কার জেলায় কি কি পণ্য বা সেবা বিখ্যাত বা কোন ভালো পণ্যকে বিখ্যাত বানাতে পারেন? আপনার জেলায় কোনটি ও কি কি পণ্য? বা যেটি ভালো পণ্য এখনো বিখ্যাত নয় কিন্তু বিখ্যাত করা সম্ভব – খুঁজে দেখুন। আপনার অন্য বিজনেস আইডিয়ার পাশাপাশি এই আইডিয়াটা সাথে নিয়েও আপনার জেলার যে কোনো ১ টা বা ২-৪ টা প্রোডাক্ট নিয়ে একটা বিজনেস দাড় করাতে পারেন। ছোট করে হোক – তবে শুরু হউক। এই পণ্য গুলো সারা দেশে আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। সেই আইডিয়া নিয়ে আমরা ব্রেইন স্টরমিং করতে পারেন। ৬৪ জেলার বিখ্যাত জিনিষঃ ০১। কুমিল্লা (Comilla)- রসমালাই ০২। বগুড়া (Bogra)- দই ০৩। চাঁদপুর (Chandpur) – ইলিশ ০৪। খুলনা (Khulna)- গলদা চিংড়ি ০৫। টাঙ্গাইল (Tangail)- চমচম ০৬। নাটোর (Natore) কাঁচাগোল্লা ০৭। চট্রগ্রাম (Chittagong) – শুটকি ০৮। ময়মনসিংহ (Mymensingh)- সরিষার তেল ০৯। পাবনা (Pabna কাল জিরা ১০।বাগেরহাট (Bagerhat চিংড়ি, মধু ১১। বান্দরবন (Bandarban)- হিল জুস ১২। বরগুনা – (Barguna) আমড়া ১৩। বরিশাল (Barisal)- মহিষের দুধের দই, নারিকেল ১৪। ভোলা (Bhola)- ১৫। ব্রাহ্মণবাড়িয়া (Brahmnbaria)- ছানামুখী, পেড়া সন্দেশ ১৬। চাঁপাইনবাবগঞ্জ (Chapai nawabganj)- আম ১৭। চুয়াডাঙ্গা (Chuadanga)- পান, ভুট্টা ১৮। কক্সবাজার (Cox Bazar)- মিষ্টিপান, বাকরখানি, ১৯। ঢাকা (Dhaka)- হাজীর/নান্নার বিরিয়ানী ২০। দিনাজপুর (Dinajpur) – লিচু, চিড়া, কাটারিভোগ চাল ২১। ফরিদপুর (Faridpur)- খেজুরের গুড় ২২। ফেনী (Feni)- মহিশের দুধের ঘি, খন্ডলের মিষ্টি ২৩। গাইবান্ধা (Gaibandha) – রসমঞ্জরী ২৪। গাজীপুর (Gazipur) – কাঁঠাল, পেয়ারা ২৫। গোপালগঞ্জ (Gopalganj)- ২৬। হবিগঞ্জ (Habiganj)- ২৭। জামালপুর (Jamalpur) – ছানার পোলাও, ছানার পায়েস ২৮। যশোর (Jessore)- খই ২৯। ঝালকাঠী (Jhalokati)- লবন, আটা ৩০। ঝিনাইদাহ (Jhenaidah)- হরি ও ম্যানেজারের ধান ৩১। জয়পুরহাট (Joypurhat)- আলু, কচুরলতি ৩২। খাগড়াছড়ি (Khagrachhari)- হলুদ ৩৩। কিশোরগঞ্জ ( Kishoreganj)- বালিশ মিষ্টি, নকশি পিঠা ৩৪। কুড়িগ্রাম (Kurigram) – দুধ পিঠা ৩৫। কুষ্টিয়া (Kushtia) – তিলের খাজা ৩৬। লক্ষ্মীপুর (Lakshmipur)- সুপারি, নারীকেল, সুপারী, সয়াবিন – ৩৭। লালমনিরহাট (Lalmonirhat)- ৩৮। মাদারীপুর (Madaripur খেজুর গুড়, রসগোল্লা ) ৩৯। মাগুরা (Magura – রসমালাই খেজুর গুড় ৪০। মানিকগঞ্জ (Manikganj)- )- মিষ্টি সাবিত্রি, রসকদম্ব ৪১। মেহেরপুর (Meherpur ম্যানেজার স্টোরের চ্যাপ্টা রসগোল্লা, চোংগা পোড়া (বাস পিঠা) ৪২। মৌলভীবাজার (Moulvibazar)- “ভাগ্যকুলের মিষ্টি ম্যনেজার স্টোরের রসগোল্লা” ৪৩। মুন্সীগঞ্জ (Munshiganj)- ৪৪। নড়াইল (Narail)- পেড়ো সন্দেশ, খেজুর গুড়, খেজুর রস ৪৫। নারায়ণগঞ্জ (Narayanganj) – ৪৬। নরসিংদী (Narsingdi) – সাগর কলা, লটকন ৪৭ নওগাঁ (Nauogaon)- প্যারা সন্দেশ, চাল ৪৮। নেত্রকোনা (Netrokona)- বালিশ মিষ্টি ৪৯। নীলফামারী (Nilphamari)- ডোমারের সন্দেশ ৫০। নোয়াখালী (Noakhali)- নারকেল নাড়ু়, ম্যাড়া পিঠা ৫১ পঞ্চগড় (Panchagarh)- সিদল, পেলকাশাক, হারাদিঘির অর্গানিক মিস্টি ৫২। পটুয়াখালী (Patuakhali) – ৫৩। পিরোজপুর (Pirojpur) – পেয়ারা, ডাব, আমড়া ৫৪।রাজবাড়ী (Rajbari) – চমচম, খেজুরের গুড় ৫৫। রাজশাহী (Rajshahi)- আম, তিলের খাজা, বিরেন’দার সিংগারা, রাজভোগ ৫৬। রাঙ্গামাটি (Rangamati)- আনারস, কাঠাল, কলা, জুম রেস্তোরার বাশেঁর তৈরি খাবার ৫৭। রংপুর (Rangpur)- আখ (ইক্ষু) ৫৮। সাতক্ষীরা (Satkhira)- সন্দেশ , বাগদা চিংড়ি ৫৯। শরীয়তপুর -(Shariatpur) ৬০। শেরপুর (Sherpur)- ছানার পায়েস, ছানার চপ ৬১। সিরাজগঞ্জ (Sirajganj)- পানিতোয়া, ধানসিড়িঁর দই ৬২। সুনামগঞ্জ (Sunamganj)- ৬৩। সিলেট (Sylhet)- সাতকড়ার আচার, কমলালেবু, পাঁলেয়ার চা, ৬৪। ঠাকুরগাঁও(Thakurgaon) – সূর্য্যপুরী আম এর বাইরে আপনার জানা আরও কোন পণ্য থাকলে কমেন্টে লিখতে পারেন জেলার নাম লিখে।

Lesson=30…সহজ ও সোজা ভাবনা প্রতিদিন

আপনাকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে মানে নিশ্চিত ভাবে আপনি কিছু করছেন যা আলোচনা করার মত। হিংসা, জিদ, অহংকার, সমালোচনা (দরকার নাই তবুও) মানুষকে প্রতিদিন ছোট করে, কিছুই দেয়না। বরং ওই সময়টা নিজের বিনোদন ও সৃজনশীল কাজে লাগানো যেতে পারে। আরেকজনের ভালো দেখে খুশী হতে অসুবিধা কি? একদিন আপনার ভালো কিছু দেখলে তিনিও খুশী হবেন। খুশী হতে না পারলে চুপ করে থাকুন, নিজেকে সেই জায়গায় এগিয়ে নিয়ে যান। কেউ হিংসা করেছে তো, আপনার উপকার করেছে। কারণ সে হিংসা করতে করতে সময় নষ্ট করবে, আর আপনি কাজ করতে করতে এগিয়ে যাবেন। কারো উপকার করতে যদি নাও পারেন, ক্ষতি বা বদনাম করার কি প্রয়োজন! প্রাপ্তিটা কি? এটা একটা অসুখ – এটা মেনে নিলে, এ রোগ থেকে মুক্তির উপায় পাওয়া যাবে। নেগেটিভিটি শুধুই নেগেটিভের জন্ম দেয়। আপনি যত নেগেটিভ ভাববেন তত বেশী নেগেটিভ জিনিস আপনার সামনে এসে দাঁড়াবে বার বার। আপনার মন খারাপ করে দেবে ও কাজের গতি কমাবে। জীবনে বড়, সফল ও সুখী হবার জন্য পজিটিভিটির কোন বিকল্প নাই। যত পজিটিভ থাকবেন, তত স্পোর্টি হবেন এবং তত কাজের গত বাড়বে এবং নিজেকে ফুরফুরে মনে হবে। আজকের জন্য বেঁচে থাকার অভ্যাস করুন। গতকাল আর কখনোই ফিরে আসবে না। আর আজকের দিনটা দারুণ হলে আগামীকালটাও রঙিন হবে।

Lesson=31…কিভাবে বিজনেস শুরু করবো বা কি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাজ শুরু করবো (টিয়েন্স স্বাস্থ্যপন্য এর মার্কেটিং টিম সহযাত্রী নেটওয়ার্ক – আপনার রেডিমেট বিজনেস প্লাটফর্ম)

আমার উত্তর একটাই অর্থাৎ একটাই ফর্মুলা “প্রেম করা শুরু করেন”। আইডিয়ার সাথে প্রেম, ব্যবসার সাথে প্রেম এবং কাজের সাথে প্রেম! বিজনেসকে প্রেমিকার বা প্রেমিকের মতো ভালবাসতে হবে। কোন মেয়ে কে ইম্প্রেস করার জন্য কি কি না করেন আপনারা, কত রকমের ফর্মুলা বের করেন তাকে ইম্প্রেস করার জন্য। বৃষ্টিতে ভিজেন, রোদের মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন, এরকমও বলে ফেলেন – পাহাড় থেকে লাফ দিবো, সাগর পাড়ি দিবো। সবচেয়ে সুন্দর ড্রেস টা পরেন, দামী দামী গিফট দেন, প্রেম করার সময় কেউ ঘড়ি দেখা বা সময় দেখা পছন্দ করেন না, পারলে ২৪ ঘণ্টাই প্রিয় মানুষের সাথে থাকেন। মেয়েরাও একই রকম ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকেন। এই আবেগ, এই ভালোবাসা, এই প্রেম, এই লেগে থাকা, এই উচ্ছ্বাস, এই, খুশী এবং এই কষ্ট আপনি আপনার ভালোলাগার বিজনেস কনসেপ্টে ঢেলে দিন – আপনার সফলতা কে ঠেকায়।

Lesson=32…কোন বিজনেস আইডিয়া কিভাবে পিচ করতে হয় ফান্ডের জন্য

আপনার একটি ভালো আইডিয়া আছে কিন্তু বিজনেস করার টাকা নেই। আপনি সেই আইডিয়াকে ইনভেস্টরদের কাছে প্রেজেন্ট করে ও আপনার আইডিয়া সেল করে আপনি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড জোগাড় করতে পারেন। অনেকের অনেক খুব ভালো ভালো আইডিয়া শুধু মাত্র বুঝিয়ে ও গুছিয়ে ভাবে বলতে না পারার কারণে সুপ্ত থেকে যায় বা হারিয়ে যায়। সেজন্য একজন স্বপ্নবাজ মানুষের অবশ্যই জানা উচিৎ কিভাবে আপনার স্বপ্নের আইডিয়া টা পিচ করতে হয়। আপনার মাথায় যখনি কোন আইডিয়া আসে তা অন্যকে বোঝানোর জন্য বা প্রেজেন্ট করার জন্য ৫ টা বিষয় আপনাকে তৈরি করতে হবেঃ ১। সমস্যাঃ প্রথমেই যে সমস্যাটা সমাধান আপনি করতে যাচ্ছেন তা একটা গল্প আকারে ছোট করে বলবেন। ২। সমাধানঃ আপনার আইডিয়াটা কোন একটা সমস্যার সমাধান হতে হবে বা কোন একটা পুরনো সমস্যাকে সহজ করে দিতে পারে অথবা কিছুটা আধুনিকীকরণ করতে হবে – সেই সমাধান টার বাস্তব ভিত্তিক ধারণা বলবেন। ৩। ফান্ডঃ এই আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে কত টাকা লাগবে? আপনি নিজে কোন অংশ ইনভেস্টমেন্ট করবেন কিনা, নাকি পুরোটাই ইনভেস্টরের কাছে চাইবেন, নাকি লোণও লাগবে – তা প্রেজেন্টেশানে থাকতে হবে। ৪। মার্কেট এনালাইসিসঃ যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস টা আপনি বাজারে আনছেন, তা ইতিমধ্যেই মার্কেটে আছে কিনা, থাকলে তাঁরা কেমন করছে? ভালো করলে বা না করলে – কেন ভালো করছে বা করছেনা। আপনার আর কোন কম্পিটিটর আছে কিনা, মার্কেট সেগমেন্ট কি হবে, কারা কাস্টমার হবে? প্রাইস কত হবে? কেন আপনি বেস্ট – এটা নিয়ে তথ্য ও ফিগার থাকতে হবে। ৫। ফিনান্সিয়াল এনালাইসিসঃ মার্কেটে আসা পর্যন্ত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল কত লাগবে, কবে ব্রেক ইভেনে আসবে, Return on Investment (ROI) কত? কবে থেকে সেলস শুরু হবে, মাসিক সেলস ও খরচ কত, ৩ বছরের লাভ ও ক্ষতি – এই সব কিছু নিয়ে তথ্য ও ফিগার থাকতে হবে প্রেজেন্টেশানে। এই আইডিয়া পিচ বানাতে ও প্রেজেন্ট করতে গিয়ে যে ৭ টা বিষয় মাথায় রাখতে হবেঃ ১। প্রেজেন্টেশান টা অবশ্যই আপনি নিজে বানাবেন এবং যেখানে যেখানে অন্যের সাহায্য নিতে হয় নিবেন। ২। আপনি হয়তো সেলসে ভালো কিন্তু ফাইনান্সিয়াল এনালাইসিসে ভাল না, বিষয়টা ভালো করে বুঝে নিবেন। একেবারেই না বুঝলে টীম হিসেবে প্রেজেন্ট করবেন, যদিও সেই সুযোগ আপনি নাও পেতে পারেন। ৩। এই ৫ টা পয়েন্ট বোঝানোর জন্য আপনি ৩-৫ মিনিট সময় পাবেন তাই পুরো বিষয়টি বার বার প্র্যাকটিস করে নিবেন। এবং সময়ের দিকে লক্ষ্য রাখবেন ও সময় মতো শেষ করবেন। ৪। বিদেশিরা কেউ না থাকলে ইংরেজিতে প্রেজেন্ট করতেই হবে এমন কোন কথা নয়, আপনি বাংলাতেও বলতে পারেন। আমাদের “৩০ দিনের কথা বলার জড়তা কাটানো” সেশান এক্ষেত্রে ব্যাপক কাজে লাগবে। ৫। সারাক্ষণ আপনার পিঠ দেখিয়ে স্লাইডের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন না। তাতে আপনাকে খুব কনফিডেন্ট মনে হবে না। যাদের উদ্দেশ্যে প্রেজেন্ট করবেন, তাঁদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন। ৬। একটা পাঞ্চ লাইন দিয়ে ক্লোজিং করার চেষ্টা করবেন, যাতে আপনার আদর্শ, সততা, দর্শন ও কনফিড্যান্স ফুটে উঠে। ৭। প্রেজেন্টেশান শেষে জাজ বা ইনভেস্টরের যদি কোন প্রশ্ন থাকে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে তার উত্তর দিবেন যাতে তাঁদের মনে হয় আপনি আপনার স্বপ্নের আইডিয়া নিয়ে যথেষ্ট হোম ওয়ার্ক করেছেন।

Lesson=33…এই রকম কারো সাথে হয়েছে যে Life is bed of Roses? কারো জীবনে কোন সমস্যা নাই ?

এটা অসম্ভব। সমস্যা থাকবে এবং মানতে হবে সমাধানও আছে। শুধু সময়ের ব্যাপার। জীবনে নানান রকম সমস্যার মধ্য দিয়ে আপনি যান – পারিবারিক সমস্যা, ব্যবসায়িক সমস্যা, অফিসের বস বা সহকর্মীর সাথে সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা, বন্ধু-বান্ধব সম্পর্কিত সমস্যা, প্রেম ঘটিত সমস্যা, অসফলতা ইত্যাদি। এইসব সমস্যার কারনে ২টা ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি – ১। আপনি ভেঙে পরতে পারেন অথবা ২। সমস্যা মোকাবেলা করে আপনি আরো শক্তিশালি হতে পারেন। সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে, সমস্যা থেকে পালিয়ে বেড়ালে কোনদিন সমাধানের দরজা খুলবে না। কোন বিষয়ে দ্রুত রিয়েক্ট না করে একটু সময় নেয়া যেতে পারে। এবং সমাধান আপনার কাছেই। কোন কোন সমস্যা সমাধান করা লাগে না, একটু সময় নিলে, কিছু সময় গেলে এমনিতেই সমাধান হয়ে যায়। আর একজন উদ্যোক্তা দক্ষ লিডার হিসেবে তখনই সফল, যিনি তাঁর বুদ্ধিমত্তা, ত্যাগ, কখনো কিছুটা কঠোর হয়ে, তাঁর ব্যাক্তিত্ব দিয়ে এবং বিনয় ও ভালোবাসা দিয়ে সমস্যার সমাধান করেন। সবসময় জিততে হবে, ভাল থাকতে হবে এই মানসিকতা আপনাকে অসুস্থ করে তুলবে। হেরেও জয়ী হওয়া যায় কখনো কখনো। আবার কোন কোন হার নতুন পথ দেখায়। সময় নিন… সময় দিন… সময় বদলাবে… সময়ই সব ঠিক করে দিবে…

Lesson=34…একটা প্রপোজাল বানাতে হবে

আপনাদেরকে ব্যাংক বা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বা যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লোণ বা ফান্ড নিতে হলে বা পার্টনার নিতে হলে আপনার স্বপ্নের প্রোজেক্ট বা বিজনেস বা আইডিয়ার একটা প্রপোজাল বানাতে হবে। কি কি থাকবে Project Proposal বা বিজনেস প্রপোজাল এ? – Name of a Company – Mission & Vision – Product & Services of the Company – What is the Strengths & Weakness? – Project Cost – Sources of Fund – Shareholding & Partners – Market Study – Marketing plan – What is the Product/Service Cost? – Soucing of Products/Raw Materials – Assets & liability Projection for next 3 years – Projected Revenue & expenses for next 3 years – Human resources – Working Capital till Break Even Point – Timeline to start & finish the job – Return on Investment (ROI) এছারাও যারা professionally বানাতে চান, Cash Flow Statement ইত্যাদি যুক্ত করে এটাকে আরো রিচ করতে পারেন। I will make it simple যাতে যারা BBA/MBA পড়ে নাই তারাও বুঝতে পারে ও তৈরি করতে পারে। উপরের কাজ গুলো করে যদি আপনি বিজনেস শুরু করেন, তবে বিজনেসে সফল হবার সম্ভাবনা বেশী।

Lesson=35…ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বা ফান্ডিং

আপনার বিজনেস আইডিয়াতে মূলধন দেবার জন্য বেশ কয়েকটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম কাজ করছে। বাংলাদেশে পরিচিত ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মধ্যে আছেঃ বিডি ভেঞ্চার, ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বিডি ভেঞ্চার লিমিটেড, মসলিন ক্যাপিটাল লিমিটেড, ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লি, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড, লংকা বাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, এথেনা ভেঞ্চার এবং ইকুইটি লিমিটেড। (এদের সম্পর্কে জানতে ও কিভাবে ফান্ড পাওয়া যাবে তা জানতে এদের ওয়েব সাইট গুলো ভিজিট করুন) ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বা কোম্পানি এই তহবিল ব্যবস্থাপনা করে। বিনিময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ফি পায়। ভেঞ্চার ফান্ডের মেয়াদ দীর্ঘ। ৫ থেকে ১৫ বছর। ভেঞ্চার ফান্ডে যারা বিনিয়োগ করে তাদের লিমিটেড পার্টনার বা এলপি বলে। আর যারা এই ফান্ড ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ করে তাদের জেনারেল পার্টনার বা জিপি বলে। জেনারেল পার্টনাররা টাকার সাথে সাথে নিজেরা তহবিল ব্যবস্থাপনায় জড়িত থাকেন। স্টার্ট আপ বাছাই করেন, নিরীক্ষা বা ডিউ ডেলিজেন্স করেন। বিনিয়োগের পর বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠান দেখভাল করেন, তাদের পর্ষদে পরিচালক হিসাবে বসেন। ভেঞ্চার ফান্ড থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়। ভেঞ্চার ফার্ম বা কোম্পানি এই বিনিয়োগের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বিনিয়োগ দীর্ঘ মেয়াদের। তিন থেকে আট বছর পর্যন্ত। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল একটি উদ্যোগের বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থায়ন করেঃ (১) সিড বা বীজ, অর্থাৎ ব্যবসা যখন উদ্যোক্তার মনে আইডিয়া আকারে থাকে (২) উদ্যোক্তা ব্যবসা শুরুর জন্য কাজ শুরু করেছে কিন্তু বিক্রয় শুরু হয়নি, (৩) ভালো আয় আসছে, ব্রেক ইভেন হয়েছে বা কাছাকাছি। শুধু দুস্প্রাপ্যতা বা প্রাপ্তির জটিলতা নয়, নতুন উদ্যোক্তার জন্য ব্যাংক ঋণ, প্রকৃতিগতভাবে, অসুবিধাজনক। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পর থেকেই সুদ আরোপ শুরু হয়। অথচ ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায়ে লোকসান হওয়া স্বাভাবিক। ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে বলা হয় স্মার্ট মানি। এখানে শুধু অর্থ নয়, তারও অধিক কিছু মিলে। বুদ্ধি পরামর্শ, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি। ঋণীকে একগাদা আইনি কাগজপত্রে সাক্ষর দিতে হয়। পক্ষান্তরে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বিনিয়োজিত কোম্পানির লাভ লোকসানের ভাগিদার। উক্ত কোম্পানির লোকসান মানে তার লোকসান। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আপনার পার্টনার, মজার ব্যপার হচ্ছে প্রাধান্য আপনারই বেশি থাকবে যাকে ইংরেজিতে মেজরিটি বলে থাকি। মানে বেশীরভাগ শেয়ার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে যায়না ব্যবসায়ের বেশীরভাগ শেয়ার এবং কতৃত্ব উদ্যোক্তারই থাকে। তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল চাইবে আপনাকে কীভাবে সফলতায় নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক তার উল্টো আপনি কিভাবে ব্যবসা করেছেন বা কিভাবে লাভ লস করেছেন সেটা আপনার ব্যাপার আপনি ঋনের টাকা ও সুদ পরিশোধ করতেই হবে। ব্যাংক সাধারণত নতুন উদ্যোক্তাদের ফাইন্যান্স করেনা কিন্তু এখানে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম একটা ভরসার জায়গা৷ তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ব্যবসায়িক আইডিয়া শেয়ার করতে হবে তাদের সাথে।

Lesson=36…১ ওভার এ আপনার ৬ টা বল

– আপনি আউট হয়ে যেতে পারেন, – আপনি কোন রান ছাড়া কোন ভাবে বেঁচে থাকতে পারেন, – আপনি ১ রান করতে পারেন, – বা ২-৩-৪ বা ৫ রান ও করতে পারেন, – আবার প্রতি বলে ১ রান নিয়ে আপনি ৬ রান ও করতে পারেন, – আপনি ১ টা ছক্কা ও একটা 8 মেরে ১০ রান করতে পারেন, – আবার ৬ ৬ ৬ ৬ মেরে ২৪ রান ও করতে পারেন – ৩৬ রানও সম্ভব…… আপনিই ঠিক করুন আপনি কি চান এবং নিজেকে কোথায় দেখতে চান… একবার বা দুইবার না পারা মানে এটাই জীবনের শেষ হয়ে যাওয়া বা হেরে যাওয়া নয়, ভাবুন ৫০ ওভারের মধ্যে প্রথম ওভারের ২য় বল টা আপনি মিস করেছেন…আপনার জীবনে খেলার জন্য আরও ২৯৮ টা বল আছে…… যে জিতবে সে বার বার পরবে, আবার উঠে দাঁড়াবে – বলবে, আমি খেলবো

Lesson=37…চাকরীকে না বলার আগে ব্যবসাটা নিশ্চিত করুন

দেশে এবং বিদেশে যারা বর্তমানে চাকরীতে আছেন, একটা ব্যবসা বা উদ্যোগ শুরু না করে হুট করে চাকরী ছেড়ে দেয়াটা বোকামি। আমি অসংখ্য বার বলেছি, যারা চাকরী করছেন তারা চাকরীর পাশাপাশি একটা পার্ট টাইম বিজনেস ছোট করে বা অল্প কয়েকজন পার্টনার নিয়ে শুরু করেন এবং ব্যবসাটা শিখে আস্তে আস্তে বড় করেন। যখন দেখবেন, আপনার বিজনেস আপনাকে ফুল টাইম ডিমান্ড করছে এবং আপনার বাজার ধরার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে, তখন ৩-৬ মাস আপনার হাত খরচ চালানোর টাকা বেতনের চেয়ে কম হলেও, আপনি চাকরী ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যারা এখন বিদেশে থাকেন, তারা বাংলাদেশে ব্যবসা বা উদ্যোগ রেডি করে তারপর দেশে আসার সিদ্ধান্ত নিবেন। কোন কিছু রেডি না করে করে হুট করে চলে আসবেন না। তাতে ব্যবসা শুরু করতে ১ বছর লাগলে, এই ১ বছর জমানো টাকা ভেঙ্গে মাসের খরচ চালাতে হবে এবং আপনার মূলধন নষ্ট হবে। আমি তো বলবো, ওখানে বসেই দেশের সাথে বা বিদেশের সাথে পার্ট টাইম ব্যবসার হাতে খড়ি নেন, দেশের থেকে প্রোডাক্ট ইম্পপোর্ট করেন এবং আপনার ঐদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করেন। তখন চাইলেই আপনি যখন তখন দেশে আসতে পারবেন। তবে বড় কিছু করতে হলে রিস্ক নিতেই হবে কিন্তু রিস্কটা যেন ক্যালকুলেটিভ হয়। জীবনে বড় কোন স্বপ্ন পূরণ করতে হলে সেটা ব্যবসা করেই অর্জন করতে হবে। আবারও তাড়াহুড়া নয়, জানুন, শিখুন, ছোট ছোট রিস্ক নিন, একদিন বড় রিস্ক নেয়াটা সহজ হয়ে যাবে।

Lesson=38…“বলা যত সহজ করা তত কঠিন”

এই কথাটি প্রায়ই আপনার সামনে ছুঁড়ে দেয়া হয় যাতে আপনি শুরুতেই ভয় পেয়ে যান এবং শুরু না করতেই ছেড়ে দেন। এটা দুর্বলদের কথা। যে নিজে কিছু জানে না ও পারে না সে আপনাকেও কিছু জানতে বা করতে দিবে না – এটাই এখানে নিয়ম। যে কোন কিছু অর্জন করা সহজ – এটা কে বলেছে? অবশ্যই কঠিন, কঠিনকে জয় করাই হল আসল চ্যালেঞ্জ। যে কোন উদ্যোগই শুরু করাটাই সবচেয়ে বেশী চেলেঞ্জিং। শুরু করে দিতে পারলে একটার পর একটা রাস্তা খুলতে থাকে। তখন শুধু বেঁছে নেয়া এবং লেগে থাকা। ৬৪ জেলা থাকে মাত্র ১৬৪ জনকে নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিলাম যে অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালা – ১ম ব্যাচ, ২য়, ৩য়…১৩তম ব্যাচ করে সাড়ে ৩ বছর লেগেছে আজকের জায়গায় আসতে। শুরুটা যতটা কঠিন ছিল এখন তার চেয়েও কঠিন কাজকেও সহজ মনে হয়। যেটা সহজে পাওয়া যায় তাকে অর্জন বলে না এবং সেই অর্জন ধরে রাখার বা রক্ষা করারও কোন তাগিদ থাকে না। কষ্ট করে অর্জন করার প্রতিটি ক্ষণের সুখ আপনি অনুভব করতে পারবেন। আপনি যখন সফল অবশ্যই তখন তা বলা খুব সহজ। সমালোচনা করছে, করতে দিন। ভাবা শুরু করুন আপনার জীবনের পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে, যা আপনি দেখার আগে তারা দেখে ফেলেছে। এবার শুধুই এগিয়ে যাবার পালা। লেগে থাকুন, জয় হবেই।

Lesson=39…বিক্রয়ে সফলতার জন্য দরকার শুধু নেটওয়ার্ক বাড়ানো

শুরু করার পর ৭ দিনেও যদি কোন সেল না হয়, হতাশ হবেন না। প্রয়োজনে ৭ মাস লেগে থাকুন, কাস্টমার পাবেনই, যদি প্রোডাক্ট মানসম্পন্ন হয় এবং সেই পণ্যের বাজারে চাহিদা থাকে। অনেক বড় বড় কোম্পানি শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও প্রথম যখন বাজারে আসে, প্রথম ১০ দিন তাদের ছিল জিরো সেল। আমার কোম্পানির সেল শুরু হয় কোম্পানি শুরু করার প্রায় ৯০ দিন পর, তাও খুবই পুওর সেল! আমাদের বেশীর ভাগ উদ্যোগ ৯০% পর্যন্ত শেষ হবার পর অর্থাৎ ১০০ দিনের মধ্যে ৯০ দিন টিকে থাকার পর আর পারবে না বা আর সম্ভব না ভেবে ছেড়ে দেয়া হয় (Give up)। অথচ আর ১০ দিন যদি টিকে থাকতে পারতো, তবে সেই উদ্যোক্তাটা বা সেই বড় সেলটা করে ফেলতে পারতো ! কাস্টমারের কাছে পোঁছানোর জন্য নাম্বার বাড়ান, দিনে ১০ জনের কাছে গিয়ে যদি ১ টাও সেল না হয় তবে একদিনে ২০ জনের কাছে পোঁছান, প্রয়োজনে ২০০ জনের কাছে যান… সেল হবেই। মনে রাখবেন, আপনি তখনই জিতবেন যখন দেখবেন আপনার পণ্য বা সার্ভিস কিনে কাস্টমার জিতেছে এবং একটা স্মাইল দিয়েছে।

Lesson=40…মার্কেটিং কিভাবে করবেন

১। সবার আগে যেটা দরকার টা হলে আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে মার্কেটে এসেছেন তা আপনার কাস্টমার গ্রুপ/ সেগমেন্ট কে জানানো। ২। এটা এখন মুলত নেটওয়ার্কিং ও ব্রান্ডিংয়ের সময় – যার নেটওয়ার্কিং ও ব্রান্ডিং যত ভাল বা যত বেশী, তাঁর সেল তত বেশী। ৩। কোয়ালিটি ভিজিট – এটা হল ডোর টু ডোর মার্কেটিং। কেউ একটা ভিজিট করে একটা কাস্টমার পায়, কেউ ১০ টা ভিজিট করে ১ সেল পায়। যদি ১০ টাতে না হয় তখন ১১, ২৫……১০০ জনকে নক করতে হবে……কিন্তু হবেই। ৪। লিফলেট, বিল বোর্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার যথেষ্ট কাজে দেয়। এখানেও প্রয়োজনে সেল বাড়ানোর জন্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। ৫। ফেসবুক এখন বেশ জনপ্রিয় মার্কেটিং টুলস – আপনার বিজনেসের অবশ্যই একটা ফেসবুক পেইজ থাকা দরকার। ডিজিটাল মার্কেটিং সারা দেশে আপনার বিক্রয় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এটা খুব কাজে দিবে। ৬। একটু বড় চিন্তা করলে একটা ওয়েবসাইট থাকা দরকার। ৭। যেই প্রোডাক্টই বিক্রি করেন না কেন, আপনার কাস্টমারের একটা তালিকা বা ডাটাবেজ সংরক্ষন করবেন। নতুন যেই প্রোডাক্টই আপনি আনবেন তা পুরনো কাস্টমারকে জানাবেন। সেল বাড়বে। ৮। কাস্টমারের প্রতি যত্ন, সম্মান ও ভালো ব্যাবহার – নিশ্চিত ভাবে আপনার বিক্রি বাড়াবে এবং রিপিট কাস্টমার বাড়বে। ৯। কোয়ালিটি প্রোডাক্ট দেয়া অর্থাৎ কোন অবস্থাতেই খারাপ পণ্য না দেয়া, বাজার মূল্যের চেয়ে দাম বেশী না রাখা – তাতে কাস্টমারের আপনার প্রতি আস্থা বাড়বে এবং সে আরও ১০ জনকে আপনার কথা বলবে, বিক্রি বাড়বেই। ১০। বিক্রয়ের স্থান, শোরুম বা অফিস যতটা সম্ভব সুন্দর, আকর্ষণীয় ও পরিষ্কার রাখা, যাতে কাস্টমার এসে একটা ভাল পরিবেশ পায় – তাতে আপনার জায়গায় কাস্টমারের ভিড় বাড়বে। ১১। নিজেকে একজন ভালো সেলসম্যান হিসাবে তৈরি করা। খুব বেশী দরকার নেই, এই ১১ টা ফলো করেন, আপনার বিক্রি নিশ্চিতভাবে বাড়বেই।

Lesson=41…বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল

শুধু পণ্য নয়, আমরা কিনি বিশ্বাস… ! আপনি যখন কাউকে বা কারো ব্র্যান্ড ভ্যালুকে বিশ্বাস করেন, তখন পণ্য বা সার্ভিস কেনার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যবসা করতে হলে সবার আগে সম্পর্ক এবং বিশ্বাস অর্জনে কাজ করুন। তবেই বিক্রয় বাড়বে। ওয়ান টাইম বিক্রয় করে অনেক লাভ করে ফেলার চিন্তা করবেন না, তাহলে ঐ কাস্টমার, ঐ নেটওয়ার্ক চিরতরে হারাবেন এবং তার মাধ্যমে আরো অসংখ্য কাস্টমার হারাবেন। আপনি যদি কোন কাস্টমারের অভিযোগ গুরুত্বের সাথে নিয়ে কিছুটা লস দিয়ে হলেও ঐ কাস্টমারটা ধরে রাখতে পারেন, ঐ কাস্টমার আপনার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে কোন মার্কেটিং খরচ ছাড়া, আপনার সেল বাড়বে। কত বিক্রয় হয়েছে বা কত লাভ হয়েছে, এই হিসাব এতো বেশী না করে, কত গুলো কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বারবার কিনেছে অর্থাৎ রিপিট কাস্টমার কত – এটার হিসাব রাখুন। রিপিট কাস্টমার বাড়ান, আপনার বিজনেস বাড়বেই।

Lesson=42…প্রবাসী ও বাংলাদেশীরা মিলে বায়ার ও সেলার

এক সময় এমনকি এখনও আমরা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতাম এবং এখনো যাই প্রোডাক্ট খুঁজতে বা বায়ার খুঁজতে ! এখন কি তার আর আমাদের দরকার আছে? আছে আমাদের বিশাল নেটওয়ার্ক। আমাদের “নিজের বলার মতো একটা গল্প” ও “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক” প্লাটফর্মের দেশের সদস্যরা প্রবাসীদের বায়ার ও সেলার, আবার প্রবাসীরা আমাদের দেশের সদস্যদের বায়ার ও সেলার হতে পারেন সহজেই। ধরুন কোন একটা পণ্য বা মেশিন বা যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আপনার সিঙ্গাপুর, চায়না, কোরিয়া বা ইতালি যাওয়া দরকার। আপনি খুব সহজেই এই অর্ডারটা আমাদের ওখানকার মেম্বারদের দিতে পারেন এবং দাম ঠিক করে উনি সেটা আপনাকে এক্সপোর্ট করতে পারেন। আবার আপনি আমাদের দেশের কোন পণ্য ইউরোপ, চায়না বা মধ্যপ্রাচ্যে সেল করতে চান, আপনি সহজেই আমাদের ঐ দেশের ভাইদের সাথে সেল ডিল করে এক্সপোর্ট করতে পারেন। প্রবাসীরা অফিস শেষে বা ছুটির দিনে বিভিন্ন মার্কেটে বা ফেয়ারে যাবেন। যেমন সিঙ্গাপুর বা চীন বা ইউরোপ বা মধ্য প্রাচ্যের কোন মার্কেট বা মেলা থেকে আপনি এমন একটা প্রোডাক্ট পছন্দ করলেন যেটা বাংলাদেশে ব্যাপক চলতে পারে… ছবি তুলুন, প্রাইস দিন, পণ্যের বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ লিখে গ্রুপে পোস্ট দিন,, দেখবেন বাংলাদেশ থেকে কেউ না কেউ অর্ডার দিচ্ছে। আপনারা সবাই সবার ক্রেতা এবং একই সাথে বিক্রেতা হতে পারেন ও বাজার মূল্যে লেনদেন করতে পারেন, তার জন্য পার্টনারশিপেরও করার প্রয়োজন নেই – সলিড ও খোলা মন নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কই যথেষ্ট। দুই পক্ষেরই বিজনেস হবে। তবে সম্পর্কটা যাচাই করে নিবেন। পুরো পৃথিবী এখন আপনার হাতের মুঠোয় – শুরু করুন !

Lesson=43…আপনার পণ্যের বিক্রির বাজারটা অনেক বড় করতে হলে করনীয়

আপনি যে বিজনেসই করেন না কেন আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের একটা ফেসবুক পেইজ এবং সম্ভব হলে ওয়েব সাইট করবেন – এতে আপনার পণ্যের বিক্রির বাজারটা অনেক বড় হবে। এফ-কমার্স বা ফেসবুক পেজ খুলে ব্যবসার কিছু নিয়মঃ ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার পছন্দসই কোন ব্যবসা করা যায়।এটাকে বলতে পারেন ফেসবুকভিত্তিক ইকমার্স ব্যবসা। হোক টিয়েন্স হেলথ ফুড সাপ্লিমেন্টস বা সেটা কোন বুটিক বা ক্রাফট শপ বা হোমমেড ফুড বা সুপার শপ যেকোনো ব্যবসা যেটি আপনি ভালভাবে করতে পারবেন বলে মনে করেন। এই ব্যবসায় পুঁজি লাগে খুবই কম লাগে। ১. একটু ভালভাবে জেনে আপনিও কর্মসংস্থানের ভাল একটা উপায় বের করে নিন। ২. আমাদের দেশে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় ৪ কোটি যেখানে ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ১ লাখ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এখানে আপনার ক্রেতার অভাব নাই, অভাব আছে শুধু বিশ্বস্ত এফ– কমার্স উদ্যোক্তার। ৩. এই ব্যবসায় আসতে হলে আপনাকে ব্যবসায়িক ধারণাটা খুবই ভাল রাখতে হবে। এই জন্য ব্যবসায় নামার আগে যত পারেন এই ব্যাপারে জানার চেষ্টা করুন। ৪. মনে রাখবেন এইখানে অর্থগত ইনভেস্টমেন্টের চেয়ে জ্ঞানগত ও বুদ্ধিগত ইনভেস্টমেন্ট বেশি দরকার। ৫. যেভাবে পেজ খুলবেন: এই পেজ যে কোন বয়সের যে কেউ খুলতে পারবেন। এর জন্য আলাদা কোন পেপারস লাগবে না।শুধু লাগবে আপনার ফেসবুক আইডি। ৬. প্রথমে আপনার ফেসবুক আইডি থেকে নিচের ঠিকানাটি আপনার আইডির সার্চ অপশানে লিখে এন্টারচাপুন: http://www.facebook.com/pages/create অথবা কোন একটা পেজে গিয়েও create page অপশান পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। ৭. এরপর যে উইন্ডো ওপেন হবে সেখানে নিচের কিছু ক্যাটাগরি পাবেন। – Local business or Place – Company, Organization or Institution – Brand or Product – Artist, Band or Public Figure – Entertainment – Cause or Community আপনি যেটা করতে চান সেই ক্যাটাগরিতে ক্লিক করার পর এক বা একাধিক অপশান আসবে। সেগুলোতেপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে Get Started বাটনে ক্লিক করুন। এর পর যে অপশান গুলো আসবে তা পুরন করেফেলুন। ৮. এরপর পোফাইল পিক আপলোড দিয়ে Basic Info এর ঘর গুলো পুরন করুন। About অংশে আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা দিন। এরপর Continue বাটনে ক্লিক করুন। এইবার আপনার পেজ তৈরি হয়ে গেল। ৯. আপনার পেজে কোন পরিবর্তন করতে চাইলে Edit Page অপশান থেকে যে কোন সময় এডিট করতেপারবেন। আপনিও চাইলে খুব দ্রুত শুরু করে দিতে পারেন এফ–কমার্স ব্যবসা। একটু চোখ কান খোলা রেখে মার্কেটের খোঁজ খবর নিয়ে শুরু করে দিন এখনই। যেকোন প্রয়োজনে পাশে আছে “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক টিম”।

Lesson=44…সার্টিফিকেট বানানোর শিক্ষা নয়, দরকার কাজ শেখার শিক্ষা, দরকার দক্ষতা

একটা সময়ে স্কুলে অলিখিত একটা নিয়ম ছিল, যারা ভালো ছাত্র (মেধাবী) তারা সবাই বিজ্ঞান বিভাগে পড়বে অর্থাৎ তারা ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হবে। যারা গড়ে ৪০-৫০ নম্বর পেতেন ও ইংরেজিতে ফেল করতেন তারা বাণিজ্য বিভাগে পড়বে অর্থাৎ তারা ব্যাংক/অফিসের হিসাবনিকাশের চাকরি করবে। আর যাদের একমাত্র আশা ভরসা ও স্বপ্ন ৩৩ নম্বর, তারা মানবিক বিভাগে পড়বে অর্থাৎ সরকারী চাকরি করবে বা স্কুল বা কলেজে মাস্টারি করবে। বলে দেয়ার কেউ ছিল না যে তাদের আসলে কি করা উচিৎ বা কি পড়া উচিৎ। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং ধীরে ধীরে টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের প্রসারের কারণে এই ধারণা বদলেছে। এখন মেধাবিরা শুধু ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার নয়, তারা চার্টার্ড অ্যান্ড কষ্ট একাউনট্যাঁনট, এমবিএ, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি পড়ছে। তরুণরা এখন নিজেরাই নানান রকম তথ্য এনালাইসিস করতে পারছে কোথায় তাদের পড়া উচিৎ। তবুও এখনো বাবা-মা রা তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন সন্তানদের উপর যে তারা কি হবে বা কি বিষয়ে পড়বে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে সবাই হুজুগে দৌড়ায়। এক একবার একেকটা জোয়ার আসে তো সবাই সেটাতে গা ভাসিয়ে দেয়। শিক্ষা বাণিজ্যিকরাও সেই সুযোগটা লুফে নেন। ২-৪ টা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি বাদ দিলে বাকি ইউনিভার্সিটি গুলোর মান নিয়ে কথা নাই বা বললাম। এত বিবিএ এমবিএ দিয়ে কি হবে? কারা চাকরী দিবে, কোথায় চাকরী পাবে আমাদের তরুণরা? যে ছেলেটা বা মেয়েটা ক্রিকেট খেলবে, গান করবে, অভিনয় করবে, ফটোগ্রাফার হবে, বড় সেফ হবে, ডিজাইনের কাজ করবে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করবে, হোটেলে কাজ করবে, আউটসোরসিং এর কাজ করবে, ফাস্ট ফুডের বিজনেস করবে, মেডিক্যাল ল্যাব এর কাজ করবে, মার্চেন্ডাইজিং এর কাজ করবে, আধুনিক কৃষি ভিত্তিক কাজ করবে – সে কেন বিবিএ এমবিএ বা ভূগোল পড়বে! খেলা, গান, ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, মার্চেন্ডাইজিং সহ এই সকল বিষয়ের উপর তারা গ্রাজুয়েসান করবে প্রয়োজনে মাষ্টারস করবে। দরকার এসএসসির পর থেকেই কারিগরি শিক্ষা। যারা গত ১৫-২০ বছরে শত শত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি বানিয়ে এমবিএ ও বিবিএ সার্টিফিকেট বিক্রি করেছেন এবং আমাদের তরুণরা সবাই সেই সনদ দিয়ে কোন চাকরী বা উদ্যোত্তাও হতে পারেনি, তাদের অনুরোধ করবো আপনারা এবার কিছু আধুনিক কারিগরি কলেজ/ইউনিভার্সিটি বানান যাতে আমাদের মেধাবী ও কর্মঠ তরুণরা এসএসসির পর থেকেই হাতে কলমে কাজ শিখতে পারে ও ঐসকল বিষয়ে প্রয়োজনে ডিগ্রি নিতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন ও নতুন নীতিমালা দরকার। যদিও আমাদের দেশে বেশ কিছু পলিটেকনিক ইন্সিটিউট আছে, ঐগুলোর মান এবং সিলেবাস বর্তমান সময়ে একেবারেই অচল। যদি ঐগুলোকে ব্যাবহার করেও আমাদের লাখ লাখ দেশ প্রেমিক শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানো যেত, তবে তারা এখনকার চেয়ে ২-৩ গুন বেশী আয় করতে পারতো। আমাদের তরুণরা বিদেশের হোটেলের রুম সার্ভিসের কাজ না করে ম্যানেজার হতো। গ্র্যাজুয়েশান শেষ করেই মাস্টার্স পড়তে যাবেন না। আগে কিছু দিন কাজ করুন তারপর নিজের টাকায় মাস্টার্স করবেন। গ্র্যাজুয়েশান করে তারপর মাস্টার্স শেষ করে তারপর সিভি বানিয়ে চাকরীর জন্য আবেদন করবেন, সেই দিন শেষ ! শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে এখন আর চাকরী বা ব্যবসা হবে না, সাথে লাগবে দক্ষতা। ২-৩ বছর চাকরী বা ব্যবসা করার পর প্রয়োজন হলে মাস্টার্স করবেন নাইট শিফটে। সার্টিফিকেট বানানোর শিক্ষা নয়, দরকার কাজ শেখার শিক্ষা এবং বিজনেস ও উদ্যোক্তা মনন শিক্ষা।

Lesson=45…আপনাদের প্রতিটি সফলতা আমি ভিডিও, লাইভ ও পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরছি

৪ বছর আগে, আমি যখন আপনাদের মত তরুন-তরুণীদেরকে নিয়ে বিশেষ করে ৬৪ জেলা নিয়ে এই রকম বিশাল ও লম্বা উদ্যোক্তা তৈরির প্রশিক্ষণ কর্মশালার কথা ভাবছিলাম, স্বপ্ন দেখছিলাম এবং কয়েক জনের সাথে আলাপ করছিলাম, সবাই বলেছে – এটা অসম্ভব! বিশেষ করে টানা ৯০ দিন এই কর্মশালা চালানো, এটাতো অবাস্তব কল্পনা, আমার ধৈর্য থাকবে না। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি, লেগে ছিলাম ব্যাপক ভাবে অনেকটা নিজের সাথে সংগ্রাম করে। নিজের পরিবার থেকে কিছু সময়, অফিস থেকে কিছু সময়, আড্ডা ও টিভি দেখা থেকে কিছু সময় এবং ঘুম থেকে কিছু সময় নিয়ে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ করতে থাকলাম। এক সময়ে আপনাদের শিখার আগ্রহ দেখে ও আপনাদের ব্যাপক ঘুরে দাঁড়ানো ও আপনাদেরকে সফলতার পথে দেখে কাজটার প্রেমে পড়ে গেলাম। দেখতে দেখতে প্রায় ৪ বছর হয়ে গেলো। ১৬টি ব্যাচ শেষ করে টানা ১৭তম ব্যাচের শেষ পর্যায় চলছে। একেই বলে কোন কাজে লেগে থাকা। আপনাদের প্রতিটি সফলতা আমি ভিডিও, লাইভ ও পোস্টের মাধমে তুলে ধরছি প্রতিনিয়ত। সবাইকে জানাবো ৫০০০ জন ঘুরে দাঁড়ানো উদ্যোক্তাদের গল্প Utv Live এর মাধ্যমে। আপনাদের হাসি ও খুশী আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দিবে। আমি খুশী আমরা এই বিশাল ৫৪৪,০০০ শিক্ষার্থী ও ৩০৮,০০০ আজীবন মেম্বারদের পরিবারের সবাই ভালোমানুষ হতে পেরেছি এবং ভালোমানুষ হয়ে থাকবো আজীবন – যত বাধাই আসুক। তবে ভালোমানুষ হয়ে থাকার ব্যাপারে নিজেকে ফাঁকি দেবেন না কখনো। মনে রাখবেন আপনার জবাবদিহিতা আপনার কাছে। আর আমার একটা মেসেজ দেবার ছিল বর্তমান সমাজকে – রাজনীতি করা ছাড়া, স্বার্থ ছাড়াও সমাজের জন্য, দেশের জন্য, তরুণদের জন্য কাজ করতে পারে এমন কিছু কিছু মানুষ এই বাংলাদেশে এখনও আছে। নিঃস্বার্থভাবে সমাজকে ও দেশকে কিছু দেবার জন্য সময় তাদের আছে। একটু পাগলামো ছাড়া কোন ভালো ও মহৎ কাজ হয় না, হয়নি কখনো। এই শিক্ষা আপনার যদি আপনাদের আগামী দিন গুলোতে কাজে লাগাতে পারেন এবং মেনে চলেন, তবে আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আপনাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। শুধু স্বপ্নের পিছনে লেগে থাকতে হবে। আপনারা অনেক ভালো থাকবেন, জীবনে সফল হবেন, ভালোমানুষ হবেন – এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

Lesson=46…অনলাইনে বিক্রয় বৃদ্ধির উপায়

আপনার প্রোডাক্ট/সার্ভিসকে পরিচিত করান, ব্র্যান্ডিং করুন, কাস্টমার তৈরি করুন। যাদের সেল হচ্ছে না তাঁদের কে বলবো, যাদের সেল হচ্ছে তাঁদেরকে ফলো করেন। তাঁরা কিভাবে নিজেদেরকে ব্র্যান্ড করেছে এই প্লাটফর্মে এবং কত সময় দিয়েছেন এই প্লাটফর্মে? আপনিও নিজেকে ব্র্যান্ড বা অনেক বেশী পরিচিত করুন, তাতে আপনার বিশ্বাস যোগ্যতা বাড়বে। আর এই বিশ্বাস আপনাকে সেল দিতে থাকবে, যা আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে ! লেগে থাকুন ! যাদের এখনো সেল হয়নি, মন খারাপ করবেন না, সবে তো শুরু !! প্রতি হাটে কোটি টাকা সেল হওয়া সময়ের ব্যাপার, সেখানে আপনারও ভুমিকা থাকবে। যত পারেন ব্রান্ডিং করুন, কোন স্টল লাগছে না অর্থাৎ টাকা লাগছে না, মার্কেটিং খরচ নাই… শুধুই লেগে থাকা। বাংলাদেশে এই প্রথম ৬৪ জেলা নিয়ে “নিজের বলার মতো একটা গল্প” প্লাটফর্মের “সাপ্তাহিক অনলাইন হাট” – প্রতি মঙ্গলবার, সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা – টানা ১২ ঘণ্টা। গ্রামীণ আদলে এই ডিজিটাল হাট একই সঙ্গে সুযোগ করে দিল আমাদের লাখো শিক্ষার্থীদের তথা ক্রেতাদের জন্য অনলাইনে কেনাকাটার। “আমরাই ক্রেতা আমরাই বিক্রেতা” এই স্লোগানে বেশ জমে উঠেছে সাপ্তাহিক এই অনলাইন হাট।

Lesson=47…আপনাদের সবার মা-বাবা কে আমার সালাম !

প্রতিদিন আপনার মা-বাবাকে সালাম করবেন তারপর মা ও বাবাকে জরিয়ে ধরে বলবেন “মা/বাবা আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি”। এখনি করুন। যারা বাবা-মা থেকে দূরে থাকেন ফোন করে বলুন। প্রথমে একটু লজ্জা লজ্জা লাগবে, কারো কারো অনেকদিন বলা হয় না, কিন্ত এই লজ্জা ভাঙ্গতে হবে… বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরে আপনি একটা শিহরণ পাবেন এটা আপনাকে ব্যাপক শক্তি ও সাহস দিবে এগিয়ে যাবার জন্য। মা-বাবাকে জড়িয়ে ধরার পর কার কি অনুভুতি হয়েছে, লিখে জানাবেন বাবা-মায়ের অনুভুতি সহ। যাদের বাবা/মা বেঁচে নেই, তাঁদের জন্য ২ রাকাত নফল নামাজ পরে দোয়া করুন। যাদের মা-বাবা বেঁচে আছেন, তাঁরা পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। আপনার প্রতিদিনের কাজের জন্য এই দোয়া হবে একটা পাওয়ার। এক সময় এই অতিরিক্ত ভালোবাসা আপনার অভ্যাসে পরিনত হবে। তখন আপনার সাথে ঘটতে থাকবে একের পর এক ম্যাজিক, চমক ও সৌভাগ্য !

Lesson=48…১৪টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া:

ব্যবসা? পুঁজি লাগবে না? না, এই অনলাইনের যুগে একটি কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকেন পুঁজি ছাড়াই আজ থেকেই আপনি ব্যবসায় নামতে পারেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন ১৪টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া। ০১. এসইও কনসালটেন্ট : আপনি কি সার্চ ইঞ্জিনের বিষয়ে অভিজ্ঞ? মানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে জানেন; কিন্তু কোথাও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। প্রতিষ্ঠানের আশায় বসে না থেকে অনলাইনেই শুরু করুন এসইও সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া। অনেক প্রতিষ্ঠান পাবেন যারা আপনার পরামর্শ নেওয়ার জন্য বসে আছে। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স সাইটে এমন কাজ পাবেন। না হলে সোজা গুগল সার্চ দিন। ০২. বিজনেস প্রশিক্ষণ : আপনার ব্যবসা সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতেই পারে। কিন্তু পয়সার অভাবে নিজের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন না। আপনার এই অভিজ্ঞতা বসে বসে নষ্ট করার কোন মানে নেই। অনলাইনে এমন অনেককে পাবেন যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইছে। লিংকডইনে যান, সেখানে আপনি ব্যবসা সংক্রান্ত আর্টক্যাল লিখতে পারবেন। এর দ্বারা সেখানে আপনি অনেক ক্লায়েন্ট পাবেন। তাদের সদুপদেশ দিয়ে নিজের মেধা এবং অভিজ্ঞতা ঝালিয়ে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে টু-পাইস ইনকাম তো আছেই। ০৩. স্পেশালাইজড রিটেইলার : বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন দেশের সব বড় শহরগুলোতেই স্পেশালাইজড শপ বা সুপারশপ আছে। এদের মধ্যে অনেক ছোট বড় প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনলাইনে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রচার এবং বিজনেস শুরু করতে ইচ্ছুক। সেই সব প্রতিষ্ঠানের কোন একটির সঙ্গে চুক্তি করে আপনি তাদের পণ্যসম্ভার দিয়ে একটি অনলাইন শপ চালু করে ফেলতে পারেন। ঘরে বসে হয়ে যান রিটেইলার শপার। ০৪. সোশ্যাল মিডিয়া পরামর্শক : তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সোশ্যাল সাইটগুলো চরম উত্কর্ষ অর্জন করেছে। জীবনের সব সমস্যার সমাধান যেন হয়ে উঠছে ফেসবুকের মত মাধ্যমগুলো। নিত্য নতুন ফিচারের পাশাপাশি বাড়ছে সোশ্যাল সাইট হ্যাক করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করার মত ঘটনা। আপনার যদি সোশ্যাল সাইটগুলোর ব্যবহারবিধি, নিরাপত্তাসহ ফ্রেন্ড-ফলোয়ার বৃদ্ধির বিভিন্ন ট্রিকস জানা থাকে হবে আপনি হয়ে যেতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া কনসাল্টেন্ট। এমনটা করলে অনেক ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাজ পেতে পারেন। ০৫. ওয়েব ডিজাইন : বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিজনেস এটা। এখন একটি ছোটখাট প্রতিষ্ঠানও চিন্তা করে তাদের একটা ওয়েবসাইট থাকা দরকার। আপনার যদি ওয়েব ডিজাইন জানা থাকে তবে বসে থাকার কোন মানে নেই। ফ্রিল্যান্স সাইটগুলোতে নিজের পোর্টফোলিও পোস্ট করুন। একটি নমুনা ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে রাখুন। বাজারদর বিবেচনা করে সাশ্রয়ী পারিশ্রমিক ঘোষণা করুন। আপনাকে আর ঠেকায় কে? ০৬. আবেদনপত্র/কভার লেটার লেখা : আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে অনেক শিক্ষিত মানুষ সুন্দর করে একটি চাকরির আবেদনপত্র লিখতে জানে না। কিন্তু চাকরিক্ষেত্রে একটি সুন্দর গ্রহণযোগ্য আবেদনপত্র কিংবা কভার লেটার অন্যদের সঙ্গে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আপনার এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকলে লিংকডইন কিংবা সোশ্যাল সাইটগুলোয় এই বিষয়ে ক্লায়েন্ট খুঁজতে পারেন। ক্লায়েন্ট যে পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। ০৭. টাস্ক ম্যানেজার/সহকারী : আপনার যদি ভাল অর্গানাইজিং দক্ষতা থাকে তবে আপনি এই ব্যবসার উপযুক্ত। আপনি কি অনলাইনের বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধান দিতে পারেন? তবে আপনার এই দক্ষতা একজন ব্যাক্তিগত সহকারী কিংবা অনলাইন টাস্ক ম্যানেজার হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। TaskRabbit কিংবা Zirtual এর মত কোম্পানীগুলো টাকার বিনিময়ে আপনার মত মানুষকেই খুঁজে থাকে। এসব সাইটে আপনি ডাটা রিসার্চ, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট সহ বিভিন্ন কাজে সহকারীর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ০৮. প্রফেশনাল ফ্রিল্যন্সার : ফ্রিল্যান্সিং বলতে সাধারণত অবসর সময়ের কাজকেই আমরা বুঝে থাকি। কিন্তু সময়ের পাশাপাশি ধারণাও পাল্টে গেছে। এখন প্রচুর বেকার তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিংকে মূল পেশা হিসেবে গ্রহণ করছেন। আপনি চাইলে পার্টটাইম কাজও করতে পারেন। বেকার বসে না থেকে আজই যুক্ত হোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে। ০৯. অনলাইন মার্কেটিং : আপনি যদি আমাজানের মত সাইটগুলোতে পণ্যের রিভিউ লেখায় অভ্যস্ত থাকেন তবে এখনই তা বন্ধ করুন। কারণ বিনামূল্যে কেন আপনি কোন পণ্যের মার্কেটিং করবেন? ওয়ার্ড অব মাউথ-এর মত অনেক কোম্পানী আছে যারা নিজেদের প্রোডাক্ট অনলাইনে প্রমোট করার জন্য আপনাকে পয়সা দেবে। আপনার যদি প্রচুর ফলোয়ার সমৃদ্ধ সাইট কিংবা সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট থাকে তবে তো সোনায় সোহাগা। আজই লেগে যান কাজে। ১০. ই-বুক লেখক : আপনার লেখালেখির হাত, ভাষার দক্ষতা এবং টাইপিং স্পীড যদি ভাল থাকে তবে আপনি অনায়াসে একজন ই-বুক রাইটার হতে পারেন। এটি অনেক সহজ একটা কাজ। ই-বুকের চাহিদা এত পরিমাণে বাড়ছে যে ই-বুক রাইটার খুঁজতে পাবলিকেশন্সগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। অনলাইনে এমন গ্রাহক খুঁজে নিতে পারেন সহজেই। ১১. প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান : অনেক ছোটখাট কোম্পানী আছে যাদের কোন আইটি স্পেশালিস্ট নেই। তাদের প্রযুক্তিগত কোন সমস্যা হলে বাইরের লোক ডাকতে হয়। আপনি এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বসেই শুরু করতে পারেন প্রযুক্তগত পরামর্শ প্রদান। সমস্যা হলে তারা আপনাকে জানাবে এবং আপনি ঘরে বসেই সমাধান দিয়ে দেবেন। আর কী চাই? ১২. ভার্চুয়াল চালান : শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এই কাজটি আপনি নিজেই অহরহ করে থাকেন ব্যাংক কিংবা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে সেখানে গুগল চেকআউটের মত ট্রানজেকশন হ্যান্ডল করতে পারেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের অনলাইন চালানসমূহ অর্গানাইজ করার জন্য আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনি তাদের সাইট থেকে পণ্যের ছবি বিবরণ কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে আনুন। তারপর নির্দিষ্ট আর্থিক চুক্তির বিনিময়ে নেমে পড়ুন পণ্য বিক্রয়ে। ১৩. হস্তশিল্প বিক্রেতা : অটোমেটিক মেশিনের যুগে হস্তশিল্পের কদর মোটেই কমেনি। বরং প্রচারের অভাবে এই প্রাচীণ শিল্প মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। আপনি এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন। তাদের পণ্য আপনি অনলাইনে বিক্রি করবেন। গ্রাহকের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সার্ভিস চার্জ নিয়ে আপনি কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দিতে পারেন তাদের কাছে। ১৪. অ্যাপ ডেভলপার : স্মার্টফোনের যুগে অ্যাপের ছড়াছড়ি। মানুষ এখন কম্পিউটারে বসে সাইট ব্রাউজ করার চাইতে স্মার্টফোন অ্যাপেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন অ্যাপ ডেভলপিংয়ে আগ্রহী। আপনি যদি কোডিং সম্পর্কে ভাল জেনে থাকেন তবে লেগে পড়ুন অ্যাপ ডেভলপিংয়ে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন সফওয়্যার ডেভলপার কোম্পানীও অনলাইনে ডেভলপার চায়। প্রথমে নিজে একটি আকর্ষণীয় অ্যাপ তৈরি করে নমুনা হিসেবে দেখান এবং যৌক্তিক পারিশ্রমিক দাবি করুন। আপনার কাজ পাওয়া নিশ্চিত।

Lesson=49…কারোরই সাহস নেই এটা ঘোষণা দিয়ে বলা যে “আমি একজন খারাপ মানুষ” !

যে অনেক খারাপ ও ভয়ংকর, সেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খারাপ কাজটা করে গোপনে বা রাতের অন্ধকারে। এবং দিনের বেলা সেই খারাপ মানুষটা নিজেকে ভালোমানুষ বোঝানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে সবাইকে। এক সময় সবাই তা বুঝতে পারে যে উনি কতটা গরীব ও অসহায় এবং একা! পৃথিবীতে কোন মন্দ কাজই লুকিয়ে রাখা যায় না, যায়নি কখনো। তারপরও মানুষ মানুষকে মেরে ফেলে, আঘাত করে, কষ্ট দেয়, অপমান করে, হিংসা করে। এগুলো করে কেউ ভালো নেই, একজনও না। আপনার আশেপাশে ২–১ জন মানুষ আছে যারা অকারণে প্রতিনিয়ত আপনাকে ছোট বা অপমান করার চেষ্টা করবে। এরা সারাক্ষণ সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কখন খোঁচাটা মারবে – তাতে নিজে কি বড় হতে পারে? না, এরা আরও ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যায়, এক সময় ভয়ানক একা হয়ে যায়। এটাকে মানসিক রোগও বলা যেতে পারে কারণ সে কারো কোন কিছুতেই পজিটিভ কিছু খুঁজে পায় না। এরা পৃথিবীর কাউকে বিশ্বাস করে না। সুখী হবার চেষ্টা করে কিন্তু সুখ পায় না – বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তার খোঁচা মারার স্বভাব। আপনি যদি এর ভুক্তভুগি হয়ে থাকেন, এদেরকে এড়িয়ে চলুন এবং এদের থেকে বহু দূরে থাকুন। দেখবেন আপনার কাজের সময় বেড়ে গেছে। নিজেকে খুব ফুরফুরে লাগছে, আপনার লাইফে অযাচিত পেইন কমে গেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে খারাপ কাজ করার জন্য অনেক অর্থ, মেধা (কুবুদ্ধি) ও সময় দিতে হয়, কিন্তু ভালো কাজ করার জন্য এত কিছুর প্রয়োজন হয় না। এটি শুধু একটি ইচ্ছা।

Lesson=50…সেল পোস্ট

লাক্স সাবান এতো সেল হয় তবুও প্রতিদিন বিজ্ঞাপন কেন দেয়? জানান দেয়ার জন্য যে তারা মার্কেটে আছে, জেগে আছে, সরব আছে… ! আপনারা যারা এখানে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হয়েছেন, তারা আপনার ফেসবুক পেইজে বা আমাদের “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক” পেইজে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২ টা সেল পোস্ট দিবেন। এতে আপনার পরিচিতি যেমন বাড়বে তেমনি সেলও বাড়বে। ১৫ দিনে একবার বা মাসে একটা সেল পোস্ট দিলে আপনার প্রোডাক্ট কেউ চিনবে না। তবে সেল পোস্ট এর পাশাপাশি আপনি যদি আমাদের প্লাটফর্মের মিটআপ ও সামাজিক কাজ, অন্যদের পোস্টে কমেন্ট করা সহ সকল কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ না করেন আপনার অন্যদের সাথে সম্পর্ক ও বিশ্বাস তৈরি হবে না। নিজের ব্র্যান্ডিং হবে না। তাই এইসবে যুক্ত না থেকে যতই সেল পোস্ট দেন, সেল বাড়বে না। যত বিশ্বাস তত বেশী সেল। আর চলতি ব্যাচের কেউ সেল পোস্ট দিবেন না, আপনারা আগে ৯০ দিনের প্রশিক্ষণটা শেষ করুন এবং শিখুন তারপর থেকে সেল পোস্ট দিবেন। আমরা শেখাটাকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেই। তবে কোন বিক্রেতা যদি মানহীন ও খারাপ পণ্য দেন ও লেনদেনে ঝামেলা করেন – এই বিশাল বাজার তথা প্লাটফর্ম হারাবেন। মার্কেটিং এর জন্য কোন টাকা খরচ না করে আপনার পণ্য ও সার্ভিসকে দেশের ৬৪ জেলায় ও ৫০ টি দেশে পরিচিতি করানো ও পৌঁছানোর এর চেয়ে সহজ কোন উপায় আর কোথাও নেই। নিজেকে ব্র্যান্ডিং করুন এখানে প্রতিদিন।

Lesson=51…আপনার জীবনে যে সিদ্ধান্ত গুলো নেন তা কি নিজে নেন

ধরে নিন আপনার উপর কারো কোন প্রভাব নেই, তাও কি আপনি আপনার নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারেন? যাকে বলে “দিলকো সুনো”। তবুও আপনি চারিদিকে তাকাবেন, কে কি বলবে? কেউ তাকাচ্ছে কি না? উনি কি ভাববেন? সে কি মনে করবে? পারবো তো? না পারলে আমার কি হবে? প্রতি মুহূর্তে নিজেকে ডিপ্রাইভড করছেন। তখন আর কোন কিছু শুরুই করা হয় না ! আসলে আমাদের মনের মাঝে ২ টা মানুষ বাস করে, একটা আপনি নিজে আরেকটা অন্যদের মতামত বা অন্যদের ভাবনা যা আপনি আপনার মত করে নিজের মধ্যে সাজিয়ে রেখেছেন, নিজেকে আটকানোর জন্যে বা সান্ত্বনা দেবার জন্যে। আপনি নিজে ভাবছেন, অন্য কেউ আপনাকে নিয়ে কিছু বলছে, আসলে কি বলছে? আর বললেই বা আপনার কি আসে যায়? তাঁরা কি আপনার বাসা ভাড়া দেয়, না আপনার বাজার করে দেয় তাঁরা। তাঁদের বলতে দিন, জবাব দেয়ার দরকার নাই। আপনি আপনার কাজ করে যান, একদিন আপনার কাজই সব জবাব দিয়ে দিবে। অন্যের মতামত আপনি অবশ্যই শুনবেন কিন্তু সিদ্ধান্তটা নিবেন নিজে। ভুল হলে আপনি নিজেই তা আবার ঠিক করবেন। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ফলাফলের জন্য আপনি অন্যকে দায়ী করতে পারেন, কিন্তু তাতে আপনার জীবনটা বদলাবে? বদলাবে না। জীবনটা আপনার সিদ্ধান্তও আপনার।

Lesson=52…আপনার জীবনে যে সিদ্ধান্ত গুলো নেন তা কি নিজে নেন

প্রেম করার নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলে, দিনের পর দিন ডেটিং না করে ক্যারিয়ার এ মনোযোগ দিন। প্রেম কে ইন্সপিরেসান হিসাবে না নিয়ে বাকবাকুম বাকবাকুম করতে থাকলে জীবনের ক্যারিয়ার শেষ … শুধুই চোখের পানি। প্রেম কে প্রায়োরিটি দিতে গিয়ে আপনি মূল্যবান ক্যারিয়ারটা হারাবেন বা কম সফল হবেন, কারন প্রতিদিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটু একটু যোগ করার জন্য। আর যে প্রেম টিকিয়ে রাখার জন্য যদি আপনাকে প্রতিনিয়ত গিফট দিতে হয়, সেই প্রেম আপনার দরকার নাই। ঐ প্রেম কোনদিন টিকবে না, অন্য কেউ আরও দামী কোন গিফট দিলে সে আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে। পুরাটাই সময় ও অর্থ নষ্ট ! ভালোবাসাকে যে জীবনের ইন্সপিরেসান হিসাবে নিতে হবে যাতে একদিন বলতে পারবেন এই ভালোবাসার মানুষটির জন্য আপনার জীবনটা পাল্টে গেছে, এতো সুন্দর হয়েছে এবং আপনিও ততটাই তাকে ভালবেসেছেন, যত্ন করেছেন – সেটাই সত্যিকারের আনকন্ডিসানাল ভালোবাসা। জীবন পাল্টে দেয়া ভালোবাসা – যা আপনাকে দায়িত্ব নিতে শেখায়, যা আপনাকে প্রতিদিন বাঁচতে শেখায়, যা আপনাকে ভালো থাকার ও বড় হবার অনুপ্রেরনা দেয়। ৫ টি বছর ৯-৫ টা ভুলে গিয়ে প্রতিদিন ১২-১৪ ঘণ্টা শিখে ও কাজ করে নিজে একটু এগিয়ে নিয়ে যান নিজেকে, প্রেম আপনাকে খুজবে !

Lesson=53…নিজেকে সিইও বলবেন না অন্তত প্রথম ২ বছর

সফল উদ্যোক্তা হতে হলে অন্তত প্রথম ২ বছর নিজেকে সিইও ভাববেন না, কর্মী হয়ে যান। টিম মেম্বার হয়ে যান, তাঁদের সঙ্গে কাজ করুন, তাদের চেয়ে বেশী কাজ করুন। এটা শুধু বেশী সময় দেয়া নয়, দক্ষতার সাথে কাজ করে একটু বেশী এগিয়ে নেয়া। যেদিন থেকে আপনার উদ্যোগে লাভের মুখ দেখা শুরু করবে, সেদিন থেকে আস্তে আস্তে আপনি ভাবতে শুরু করবেন যে, আপনি একটা টিম লিড দিতে পারেন। প্রতিদিন তাদের আগে অফিসে যাবেন এবং তাদের পরে অফিস থেকে বের হবেন। তখন আপনার সহকর্মীদের মধ্যে কাজের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যাবে। আপনার সহকর্মীদের অর্ডার দিয়ে যতটা আউটপুট বের করতে পারবেন, মাথায় বা কাঁধে হাত রেখে বললে তার চেয়ে দ্বিগুণ–তিনগুন বেশী কাজ করবে। সহকর্মীদের প্রতি মানবিক হবেন তাতে তাদের আপনার কোম্পানির প্রতি ডেডিকেশান বাড়বে এবং কাজটাকে নিজের মনে করবে। মনে রাখবেন, যে ক্রাইসিসের সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে গড়ে তোলে, সেইই ট্রু লিডার !

Lesson=54…যে কথা গুলো আপনার স্বপ্নকে ঘুমাতে দিবে না …

১। যে জিতবে সে বারবার পড়বে, আবার উঠে দাঁড়াবে – বলবে আমি খেলবো। যে পরার পর উঠে দাড়ানোর চেষ্টা করবে না, সে কোন দিন জিতবে না। ২। খেলাটা (কাজ) মজা লাগতে হবে তাহলে আর খেলা থেকে বের হতে ইচ্ছে করবে না। ৩। ৭-৮ বার চেষ্টা করেও যখন পারছেন না – তখন নিজেকে বলবেন “আমি তো এখনো শুরুই করেন নি” ৪। কখনো শুধু টাকার জন্য কাজ করবেন না, কাজটাকে ভালবেসে করে যাবেন, ওটা এমনিতেই আসবে। ৫। কেউ যদি আপনাকে হিংসা বা ঈর্ষা করে – ধরে নেন আপনার উন্নতি শুরু হয়ে গেছে। ৬। ঘুমানোর আনন্দ আর ভোর দেখার আনন্দ একসাথে হয় না, সুতরাং কিছুদিন শুধু ভোর দেখেন, ঘুমানোর অনেক সময় পাওয়া যাবে। ৭। এক্সট্রা পরিশ্রম না করলে এক্সট্রা মাইলেজ পাবেন না। ৮। কোন সমস্যা যখন দেখবেন, তাঁর অন্তত ৩ টা সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবেন – পেয়ে যেতে পারেন কোন বিজনেস আইডিয়া। ৯। জীবনে শুধু ১ টা চাকরী বা ১টা কাজ করার জন্য আপনার জন্ম হয়নি, আপনার ভিতরে অনেক সম্ভাবনা ঘুমিয়ে আছে সেই গুলোকে জাগিয়ে তুলুন ! ১০। তাঁদের সাথে মিশুন ও সময় কাটান, যা আপনি হতে চান, এক সময় আপনি তাঁদের ছাড়িয়ে যেতে পারেন ! স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং “লেগে থাকুন”…… সাফল্য আসবেই ।

Lesson=55…রাগ করে নেয়া বেশীর ভাগ সিদ্ধান্তই ভুল হয় কিন্তু জিদ করে নেয়া সিদ্ধান্ত সফল হয় বেশী

রাগ হয় অন্যের সাথে আর জিদ হয় নিজের সাথে। রাগের মাথায় যেমন কোন সিদ্ধান্ত হুট করে নিয়ে ফেলবেন না, তেমনি যখন খুব খুশী থাকবেন অতি আবেগে কাউকে কোন কমিটমেন্ট করে ফেলবেন না – দুটোই অপরিণামদর্শী! বেশিরভাগ সময় এই সিদ্ধান্ত গুলো ভুল হয়ে যায়। কেউ যদি একবার বুঝে যে আপনাকে খুব সহজেই রাগিয়ে দেয়া যায় এবং তাতে রাগ করে আপনি সব ছেঁড়ে দিয়ে চলে যাবেন বা ঐ কাজ করা বন্ধ করে দিবেন বা নিজেকে গুটিয়ে নিবেন – তাহলে তো সে সেই কাজই বারবার আপনার সাথে করবে। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। জবাবটা জমিয়ে রাখুন ভবিষ্যতের জন্য, মোক্ষম জবাব দিতে পারে আপনার কাজ। জিদ করে শিখে ফেলুন অনেক কিছু, তাতে লাভ শুধু আপনারই হবে – আপনার আশেপাশে মানুষ গুলোও ভালো থাকবে। উদ্যোক্তা হওয়া – এটা শুধুমাত্র একটা ইচ্ছা এবং না হতে পারা পর্যন্ত লেগে থাকা।

Lesson=56…নিজের সাথে কথা বলছেন তো প্রতিদিন?

এই অভ্যাস টানা ৬ মাস করুন, আপনার বদলে যাওয়া নিজের চোখেই দেখতে পাবেন। নিজের সাথে কথা বলতে হবে, নিজেকে সময় দিতে হবে, নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে : আমি কে? কি করতে চাই? কেন করবো? কিভাবে করবো? প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আয়নার দিকে তাকাবেন, আয়নায় নিজের চোখের দিকে তাকাবেন, তারপর নিজেকে বলবেন “আজ আমি কি করেছি?” যদি কোন উত্তর না পান, আপনার ভিতরে কষ্ট লাগা শুরু হবে… প্রতিদিন অন্তত একটু যোগ করা দরকার উত্তরের জন্য… এই কষ্ট আপনাকে প্রতিদিন একটু একটু বদলে দিতে সাহায্য করবে! শুরু করুন এবং প্রতিদিন করুন – দেখবেন ফলাফল ভয়াবহ ! যত বেশী নিজের সাথে কথা বলবেন তত বেশী নিজেকে চিনবেন, ভুল কম করবেন, বারে বারে নিজেকে সংশোধন করবেন, সিদ্ধান্ত গ্রহন সহজ ও বেশী সঠিক হবে। অবশ্য আশেপাশের মানুষ একটু পাগল বলবে – যখন পাগল বলা শুরু করবে, ভাববেন আপনি সঠিক পথেই এগুচ্ছেন। আমরা অনেক সময় নিজেরাই নিজের প্রশংসা করতে পারি না বা ভেবে দেখার অবকাশ পাই না যে, আপনার মধ্যে কত কত ভালো গুণ ও পজিটিভ বিষয় আছে। আপনি আপনার ভাল গুণ গুলো যখন নিজের হাতে লিখবেন, ঐ নিজের হাতে লিখার কারণে ওটা আপনার বুকে ও মাথায় গেঁথে যাবে এবং যখনই আপনার সামনে খারাপ কিছু আসবে, বারে বারে আপনাকে রিমাইন্ড করবে আপনার ভাল দিক গুলো। আপনি চাইলেও আপনার ভাল দিক গুলোকে বিসর্জন দিতে পারবেন না, আপনার বিবেক বাঁধা দিবে।

Lesson=57…ভালোবাসা, স্নেহ ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক ও নেটওয়ার্কিং

কেউ একজন কোথাও না কোথাও, কোন এক জায়গায়, হয়তো অন্য কোন প্রান্তে আপনার জন্য ফান্ড নিয়ে, আইডিয়া নিয়ে কিংবা বিশাল ক্রেতা হিসাবে অপেক্ষা করছে… তাঁকে খুঁজে বের করার নিরন্তর সব প্রচেষ্টার নাম নেটওয়ার্কিং। হয়তো বা এই গ্রুপের কেউ একজন বা তাদের কোন আত্মীয় বা বন্ধু, হয়তো আপনার পাশে চেয়ারের কেউ যার সাথে বাসে, ট্রেনে, প্লেনে বা হেঁটে যেতে আপনি লজ্জায়, ভয়ে বা সংকোচে কথা বলেন নি। হয়তো বা ৮৯ জনের সাথে কথা বলেছেন কিন্তু হতাশ হয়ে বা পাত্তা না পেয়ে ৯০ তম জনের দিকে ফিরে তাকান নি। অথচ ঐ ৯০ তম জনই হয়তো বা হতে পারে আপনার টারনিং পয়েন্ট, যাকে আপনার দরকার ছিল। সেও হয়তো আপনাকেই খুঁজছিল। তবে সম্পর্ক গুলোকে গেঁথে রাখতে হবে সততা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, উইন উইন বজায় রেখে। ওটাই হবে আপনাকে মনে রাখার কারণ। কেউ একজন অপেক্ষা করছে আপনার জন্য… খুঁজতে হবে প্রতিনিয়ত এবং যুক্ত করতে হবে হাজারো মানুষকে এই বন্ধনে। নিজেকে প্রশ্ন করেন, আমাদের এই লাখো লাখো আজীবন মেম্বেরদের মধ্যে কতজনকে আপনি চিনেন বা আপনার সাথে সম্পর্ক হয়েছে? এই সম্পর্ক যত বেশী বাড়াতে পারবেন তত বেশী আপনার নেটওয়ার্ক বাড়বে। তবে এই বন্ধনের ভিত্তি হতে হবে সততা ও বিশ্বস্ততার। আমরা শুধু উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য এই নেটওয়ার্ক তৈরি করিনি, আমরা একটা পরিবার তৈরি করেছি – যেখানে সবাই সবাইকে ভালবাসে, স্নেহ করে ও সম্মান করে। আমরা একটা সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছি এবং করেছি। সম্পর্ক যদি অসাধারণ হয়, যে কোন কাজ সহজ হয়ে যায়।

Lesson=58…আপনার মন খারাপ?

হতেই পারে। প্রতিটা দিন মন ভালো থাকবে এমনটা অসম্ভব এবং অবাস্তব। কিন্তু মন খারাপটা সংক্রামক ব্যাধির মতো। একবার হলে তা আমরা পুষতে পছন্দ করি মনের অজান্তে, দূর করতে চাই না। ছুটি বাড়ানোর মত মন খারাপের দিনও বাড়তে থাকে। আমরা মন খারাপ দাম দিয়ে কিনতেও পছন্দ করি। অকারণে ও সামান্য কারণেও মন খারাপ হয় আমাদের। মন খারাপ হলে যেটা করতে হবে, মন খারাপের ডিউরেসানটা কমাতে হবে। মন খারাপ হলে নিজেকে কয়েকটা প্রশ্ন করবেনঃ – আমার কেন মন খারাপ? – কারণটা কি? – কার জন্য মন খারাপ? – তার গুরুত্ব আমার জীবনে কতটুকু? এইখানেই কিন্তু ৫০% মন খারাপের ফুল স্টপ দেয়া যায়। তারপর আরও কিছু প্রশ্ন নিজে করতে পারেন – এই মন খারাপের জন্য আমি কত টুকু দায়ী? – মন খারাপ হলে শরীরও খারাপ করতে পারে, আমি কি এটা হতে দিব? – মন খারাপ হলে কোন কাজ করা যায় না, আমি কি ১টি দিন হারাবো? – মন ভালো করার জন্য কি কি করা যেতে পারে? সিদ্ধান্তটা কে নিবে? আপনি। – জীবনের সব চেয়ে খারাপ সময়/দিনটার সাথে তুলনা করুন। বিষয়টা যদি এর চেয়েও ভয়াবহ হয়, কয়েক দিন মন খারাপ করে থাকাই ভাল। আপনার জীবনে তেমন গুরুত্ব বহন করে না, তাদের কারণে মন খারাপ হলে তাদের থেকে দূরে থাকুন। কারণ সে আপনার জীবনে কোন স্মাইল দিতে পারবে না। প্রিয় কোন গান শুনুন, মজার কোন সিনেমা বা নাটক দেখুন বা বই পড়ুন বা বেড়াতে যান। আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর সাথে কথা বলুন বা সময় কাটান এবং নামাজ/প্রার্থনা করুন। নামাজ পড়লে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। আপনার অপরিচিত কারো কোন একটা উপকার করুন (একটা গরীব বৃদ্ধ বা শিশুকে বাসায় এনে নিজের টেবিলে খাওয়ালেন বা কোন উপহার দিলেন যা সে আজ পাবার কথা কল্পনাও করেনি, তার মুখের হাসি ও খুশি দেখে, আপনার মন ভালো হয়ে যাবে । তবে না পাওয়ার জন্য আজকের দিনটিই শেষ দিন নয়… জীবনে হতাশা আসবে এটাই স্বাভাবিক! ক্যারিয়ারে হতাশা, পরীক্ষার রেজাল্টে হতাশা, বিজনেসে হতাশা, প্রেমে হতাশা, সংসারে হতাশা থাকবেই। কিন্তু আপনি হতাশ থাকবেন, না নাকি কেন হতাশ হলেন তার কারণ বের করে, ওটা নিয়ে কাজ করে বা শিক্ষা নিয়ে হতাশা থেকে দ্রুত বের হয়ে আসবেন – এটা আপনার সিদ্ধান্ত। আমিও কখনো কখনো কোন কোন ব্যাপারে হতাশ হই, কিন্তু আমাকে কখনো দেখেছেন হতাশা নিয়ে বা কোন নেগেটিভিটি নিয়ে কখনো কোন পোস্ট দিতে বা কথা বলতে। না, এটা আমি করি না, এটা আমাকে হতাশ না হতে বা হতাশা থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করে। এগিয়ে যেতে হলে আপনার মনটা ভালো থাকা খুবই জরুরী, না হয় কাজের গতি কমে যাবে। আজকের জন্য ভালো থাকুন, আগামীকালটা আরও ভালো যাবে।

Lesson=59…আপনার রোজগারে শুধুমাত্র আপনার ও আপনার পরিবারেরই হক নেই, কিছু হক আছে এমন কিছু মানুষের যাদেরকে আপনি চেনেনই না

কেউ একা বড় হতে পারে না। একা বড় হয়ে কোন গল্প তৈরি হয় না। জীবনে বলার মত একটা গল্প তখনই হয় যখন আপনি অন্তত একজন মানুষের জন্য জীবনে বলার মত কিছু করেছেন। কাউকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন বা কারো লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন, কারো মাথাগোঁজার জন্য একটা ঘর তৈরিতে সাহায্য করেছেন বা কাউকে জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছেন… আমি গত ৬ বছর যাবত প্রায় ১২০টি নলেজ ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামে তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছি এবং ছুটে গিয়েছি ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ও শহরের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও অডিটোরিয়াম মঞ্চে। এই পুরো কাজটি করেছি কোন পারিশ্রমিক ছাড়া অর্থাৎ কোন টাকা নেইনি কারো কাছ থেকে। যেহেতু এটা আমার একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা। আর এখন “নিজের বলার মতো একটা গল্প” প্লাটফর্ম নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। ইনশাল্লাহ করে যাবো, যতদিন বেঁচে থাকবো… আমাদের নিজেদের এগিয়ে যাওয়া ছাড়াও আমাদের গ্রামের প্রতি, আমাদের সমাজের প্রতি ও আমাদের দেশের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা আছে – এটা আমাদের সবার মাথায় রাখতে হবে। কাউকে একটা ভালো পরামর্শ দিয়ে বা উপকার করে তাঁর জীবনটা বদলে দিয়েছেন বা কাউকে রক্ত দিয়ে জীবন বাচিঁয়েছেন বা কারো জমিতে অন্তত ১ টা গাছ লাগিয়ে উপহার দিয়েছেন… যে গাছ একদিন বড় হয়ে তাঁর একটা ঘর বানাতে সাহায্য করবে… এটাই নিজের বলার মত একটা গল্প!

Lesson=60…আপনার ফেসবুক Intro ও নিজের হৃদয়ে লিখুন “ আমি একজন ভালোমানুষ” এবং এটা বুকে ধারণ করুন প্রতিদিন।

এটা লিখার একটা ইমপ্যাক্ট আপনার মনের উপর পড়বে। আগামী দিনগুলোতে দিনে দিনে আপনার জীবনে কি ঘটে যাবে, আপনি তা কল্পনাও করতে পারবেন না – ব্যাপক বদলে যাবে আপনার জীবন! আপনি চাইলেও আর মিথ্যা বলতে পারবেন না, সুতরাং কখন কি বলেছেন তা আর আপনাকে মনে রাখতে হবে না। ১০ বছর পরও আপনার জীবনের কোন কথা বললে, আপনি একই সত্য বলবেন। বুক ফুলিয়ে চলবেন সব সময়। আপনি চাইলেও কথার মাঝখানে কাউকে গালি বা বাজে কথা বলতে পারবেন না বা মনে কষ্ট দিয়ে কিছু বলতে পারবেন না, বাজে চ্যাটিং ও নেগেটিভ কমেন্ট করতে আপনার মন সায় দিবে না। আপনার ভালমানুষ ইমেজ আপনাকে তা করতে বাঁধা দেবে। আপনার মুখে হাসি থাকবে সব সময়। আপনি চাইলেও কাউকে মারা/আঘাত তো দুরের কথা, একটা থাপ্পড়ও দিতে পারবেন না। আপনার মধ্যে একটা ক্ষমা মানসিকতা কাজ করবে এবং আপনার মহত্ত্ব ইমেজ তৈরি হবে। আপনি চাইলেও অসৎ কোন কাজ করতে পারবেন না, কারণ ভালোমানুষের বিবেক সবসময় জাগ্রত থাকে। চলবেন বুক ফুলিয়ে সব সময়। আপনি চাইলেও কাউকে ঠকাতে পারবেন না, কারণ ওটা যে “পুরোপুরি নিজেকে ঠকানো” তা আপনি শিখে যাবেন। কাউকে কথা দিলে কথা রাখতে হবে, এই দৃঢ়তা আপনার অভ্যাসে পরিনত হবে। আপনি চাইলেও কারো বদনাম বা পরচর্চা করতে পারবেন না, কারণ তখন এটা আপনার সময় নষ্ট মনে হবে। আর এসব কাজ করার জন্য আপনার জন্ম হয়নি। আপনি হয়ে উঠবেন একজন সম্পূর্ণ পজিটিভ মানুষ। কোন নেগেটিভ বিষয় আপনাকে আর স্পর্শ করবে না, কারণ ততদিনে আপনি শিখে যাবেন কিভাবে নেগেটিভ বিষয়গুলোকে পরিহার করতে হয়। আপনি ফুরফরে থাকবেন সব সময়। তখন আপনি অন্যের উপকার করার রোগে আক্রান্ত হবেন। কারো দুঃখ কষ্ট দেখলেই নিজের অজান্তে আপনার মন অস্থির হয়ে উঠবে, ঝাঁপিয়ে পড়বেন নিজের সাধ্যমত পাশে দাঁড়াবার। আপনার মন ভালো থাকবে সব সময়। পরিবার হয়ে উঠবে আপনার সবচেয়ে নির্ভরতার জায়গায়। পরিবারকে বাদ দিয়ে বা সময় না দিয়ে কেউ হয়তো সফল হতে পারবেন কিন্তু সুখী হতে পারবেন না। আর সর্বোপরি, এই ম্যাজিক ঘটাবে আপনার মা-বাবার দোয়া। তাঁদের কষ্ট দিয়ে ভাল থাকা অসম্ভব। তখন আপনি চাইবেন সব সময় ভিন্ন কিছু করতে যা আপনাকে অন্যের থেকে আলাদা করবে, করবে ব্যতিক্রমি। বাড়বে সামাজিক দায়বদ্ধতা। আপনার এই ইমেজের কারণে আপনি চাইলেও আপনার সফলতা ও সন্তুষ্টি থামিয়ে রাখতে পারবেন না। আপনি যত বড় হবেন, তত বিনয়ী ও তত মানবিক হবেন এ আলো ছড়িয়ে যাবে আপনার আশেপাশে। আর এটাই হল প্রতিদিন বেঁচে থাকা ! আর এটাই নিজেকে ভালোবাসা ও অন্যকে ভালোবাসা এবং দেশকে ভালোবাসা !

Lesson=61…অকারণে বা ছোট ছোট বিষয়ে সমালোচনা করা – একটি রোগ

এর শুরু নিজেকে ছোট ভাবা থেকে কারণ তিনি ভেবেই নেন যে তিনি ঐরকম হতে পারবেন না। কোন কারণে সে নিজে খুশি বা সুখী না, তাই আর কাউকে খুশি বা সুখী দেখতে তার ভালো লাগে না। ইসপিস করে কখন খোঁচাটা মারবে! যিনি এই প্রতিনিয়ত কাজটা করেন, ব্যায়াম ও ডায়েট ছাড়া নিশ্চিত ভাবে তার ওজন কমবে! আবার কেউ কেউ অন্যের ভালো দেখে জ্বলে উঠেন, নিজেকে বদলাতে নয়, নিজের সময় নষ্ট করে অন্যের সমালোচনা করতে। নিজের সময় নষ্ট মানে নিজেরই ক্ষতি। খারাপ কথা বলার ও বাজে মন্তব্য করার লোকের কোন অভাব নাই। দুর্গন্ধময় ময়লা- আবর্জনা দেখলে আমরা যেমন নাকে হাত দিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে দ্রুত চলে যাই – এ ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। এই রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় অন্যের ভালো দেখে খুশি হতে শেখা যেটা একদিন তারও হবে। তাকাবেন না, ইগনোর করুন ও নিজের কাজ করে যান। পারলে জ্বলে উঠুন নিজেকে বদলাতে! আজকে খুশি থাকুন, কালকেও আপনার জন্য খুশি অপেক্ষা করছে। তারপর খুশি থাকা অভ্যাসে পরিনত হবে। দুঃখ যদি আসে আসুক, দুঃখ-কষ্টকে জয় করা সহজ হয়ে যাবে। তখন আপনি শুধু নিজের দিকে তাকাবেন, কারো দিকে তাকানোর প্রয়োজন হবে না। নিজেকে ঐ জায়গায় নিয়ে যান এবং বলার মতো নিজের একটা গল্প তৈরি করুন।

Lesson=62…এই প্লাটফর্মে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৪ মিনিট সময় (কোয়ালিটি টাইম) আপনার জীবন বদলে দেবে।

আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, যারা প্রতিদিনের ১৪৪০ মিনিট থেকে মাত্র ১৪ মিনিট (২৪ ঘণ্টার মাত্র ১% সময়), আবারও বলছি প্রতিদিন মাত্র ১৪ মিনিট সময় এখানে ব্যয় করবেন, উদ্যোক্তা হউন আর অন্য যাই কিছু হউন ১। আপনার জীবন বদলাবে ২। আপনার মধ্যে মানবিকতা বেড়ে যাবে ৩। আপনার জীবন সুন্দর হবে ৪। আপনি নিজেকে এবং অন্যকে ভালবাসতে শিখবেন ৫। আপনি একজন পজিটিভ মানুষ হবেন ৬। আপনার মুখ দিয়ে সহজে বাজে কথা আসবে না ৭। আপনি আপনার মা-বাবাকে আগের চেয়ে অনেক বেশী ভালবাসবেন। ৮। আপনার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাবে ৯। আপনি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হবার সকল কলা-কৌশল শিখে ফেলবেন। ১০। আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে নিজের পায়ে দাঁড়াবার ১১। আপনি ১১ টা স্কিলস শিখে ফেলতে পারবেন যা আপনি উদ্যোক্তা হউন বা চাকরী করুন আপনার কাজে লাগবেই ১২। আপনি একটা পরিবার পাবেন এবং আপনাকে ভালোবাসার মানুষের সংখ্যা বেঁড়ে যাবে। ১৩। একজন ভালোমানুষ হয়ে বেঁচে থাকার আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে আপনার মাঝে। সারা দিনের মাত্র ১% সময় কিছুই না কিন্তু পাওয়াটা অনেক বেশী, তবে লেগে থাকতে হবে এবং চর্চা করতে হবে প্রতিদিন। মাশাল্লাহ আপনারা এগিয়ে যাচ্ছেন, পরিবর্তন হচ্ছেন এবং আপনারা ভালোমানুষ – এটাই আমার পাওয়া।

Lesson=63…পার্টনারশিপে বিজনেস কিভাবে করবেন?

বিজনেস পার্টনার নেয়ার জন্য বা খোঁজার জন্য পোস্ট বা বিজ্ঞাপন নয়, আগে তার সাথে ৬ মাস মেলামেশা করুন। এখানে আপনারা হাজার হাজার হবু উদ্যোক্তা একে অন্যের পার্টনার/ইনভেস্টর হতে পারেন। কিন্তু যে কারো সাথে পার্টনার হবার আগে বা টাকা দেবার আগে যে বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়ে নিবেনঃ ১। একে অন্যকে পার্সোনালি ভিজিট করবেন, বসে মিটিং করবেন, নিজেদের প্লান ও আইডিয়া নিয়ে আলাপ করবেন, আগে অন্তত ৬ মাস তার সাথে মিশে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন। ২। নিজেদের বাড়ি (এবং অফিস) ভিজিট করবেন ৩। নিজেদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা যাচাই করে নিবেন ৪। কতটা কর্মঠ ও কাজের প্রতি সিরিয়াস তা বুঝে নিবেন ৫। পার্টনারশিপ ডিড করে নেবেন ষ্ট্যাম্প পেপারে এবং তা নিবন্ধন করে নিবেন ৬। যার যার শেয়ারের অংশ ও দায়িত্ব লিখিত করে নিবেন ঐ ডিডে। ৭। সব লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করবেন। ৮। পার্টনার ২ জন বা ততধিক জন হলে কমপক্ষে ২-৩ জন ব্যাংকের চেক সিগনেটরি হবেন। ৯। সবার প্রাথমিক মূলধন ব্যাংকে জমা হবার পর বিজনেসের কাজ শুরু করবেন। ১০। বিজনেস প্লানটা ভালো ভাবে করে নিবেন এবং বিজনেস শুরু করার পর পরবর্তী ১ বছর বা লাভে না আসা পর্যন্ত অফিস চালাতে নগদ টাকার জোগানে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করে নিবেন। ১১। তবে ১৫-২০ জনের অধিক একত্রে কোন কিছু করতে গেলে অনেক সময় নেতৃত্ব ও ফান্ড নিয়ে ঝামেলা হয়, ওটা মাথায় রাখবেন। শুধু মাত্র এগ্রিমেন্টের বিপরীতে কাউকে কোন টাকা বিনিয়োগ বা মূলধন হিসেবে দিবেন না। মূলধন হিসাবে কারো হাতে কোন টাকা দিবেন না, এটা জমা করবেন কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে। আপনি নিজেও একজন চেকের সিগ্নেটরি থাকবেন। আপনি বিনিয়োগ করবেন কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে, কোন বাক্তির সাথে নয়। কি বিজনেস কি প্রোডাক্ট, কিভাবে সেল হবে সব আগে বুঝে নিবেন। আপনি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন, তার বিপরীতে আপনার ঐ কোম্পানি/বিজনেসে শেয়ার কত আগেই ঠিক করে নিবেন। ঐ প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজ বা দায়িত্ব কি তা আগে বুঝে নিবেন। বিশ্বাস করবেন কিন্তু একটু যাচাই করে।

Lesson=64…পার্টনারশিপ

পার্টনারশিপে ব্যবসা করার জন্য ৫-৬ জন মানুষ জীবনের একটা বড় সিদ্ধান্তের বিষয়ে একটা মত হতে পারা – এটা বিরাট একটা অর্জন ! পার্টনারশিপ করার জন্য আপনারা একে অন্যকে জানা, চেনা ও বোঝার জন্য অন্তত ৬ মাস সময় নিন। মনে রাখবেন, জীবনে কোন কিছু করতে হলে নিয়তটাই আসল। পার্টনারশিপের মূল বিউটি হল – একজনকে নেতা মানতে হবে এবং ঐ নেতাকে আবার সবার সাথে পরামর্শ করে কাজ করতে হবে এবং নেতাকেই সবার চেয়ে বেশী কাজ করতে হবে। কে কি কি কাজ করবে তা নির্দিষ্ট থাকতে হবে এবং যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এমন যেন না হয়, শুরু করার পর কেউ কেউ কোন কাজই করছে না। ব্যবসার ক্ষেত্রে কিনতে লাভ করতে হবে অর্থাৎ যত কম মূল্যে ভালো জিনিষটা কেনা যায়। যাতে কম দামে বিক্রি করলেও লস না হয়। লাভ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং আগে আপনার পণ্যের বাজার তৈরি করতে হবে। প্রথম ১-২ বছর লাভের টাকা তোলা যাবে না, আবার বিনিয়োগ করতে হবে। বিশ্বাস, ভালবাসা এবং সততা নিয়ে এগিয়ে যান, ইনশাল্লাহ ভালো কিছু হবে।

Lesson=65…কি কি লাগবে একটা কোম্পানি বা অফিস করতে

1. You need a sound & unique name & to take the Name Clearance from RJSC 2. Registration of Company/Proprietorship/Partnership 3. Office address (rent/own), if rent then need deed of rent 4. Logo 5. Domain, Company email ID & Contact numbers 6. Trade license 7. VAT/BIN & eTIN 8. IRC (if you import) 9. Website & Facebook Page 10. Office Set up & Recruitment আপনারা যেই বিজনেসই করুন না কেন, ওটাকে ই-কমার্স/এফ-কমার্স এ নিয়ে আসবেন। তাতে আপনাদের পণ্যের বাজার বাড়বে ও অর্ডার বাড়বে। ছড়িয়ে দিতে পারবেন সারা বাংলাদেশে। এমনকি দেশের বাইরেও। কারণ এখন আপনি আর একা নন, আপনাকে সাহায্য করার জন্য বা আপনার সাথে বিজনেস করার জন্য সারা বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে আমাদের প্লাটফর্মের ৩০০,০০০+ আপনার বন্ধু আছে। এই বন্ধুত্বের সুত্র একটাই – বিশ্বাস করা ও বিশ্বাস রাখা এবং স্বচ্চতা। যা আপনাদের সবার আছে। নিজের আপাতত ক্ষতি হলেও কমিটমেন্ট রাখতেই হবে, শেষ পর্যন্ত আপনিই জিতবেন। এবং একটা সময় আসবে, যখন শুধুমাত্র “নিজের বলার মত একটা গল্প” ও “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক” এর সাথে থাকার জন্য সমাজে আপনার একটা আলাদা ইমেজ ও পরিচিতি তৈরি হবে, কারণ সারা বাংলাদেশ জানবে – এরা সবাই ভালোমানুষ।

Lesson=66…অন্য কে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালবাসুন, অনেক বেশী ভালবাসুন

যে নিজেকে ভালোবাসে তার জীবন সুন্দর হবেই, আর তার আশেপাশে মানুষগুলোর জীবনও সুন্দর হবে। তখন অন্যরাও আপনাকে ভালবাসতে শুরু করবে। নিজেকে ভালোবাসা মানে নিজেকে ভাল রাখা ও সুন্দর রাখা, সুতরাং তার পক্ষে অসুন্দর কোন কাজ করা সম্ভবই না। যে নিজেকে ভালবাসে সে সবাই নিয়ে থাকতে পছন্দ করে, কখনো একা হতে চায় না। ভালোবাসা বাড়ানোতেই আনন্দ ও শক্তি। কারো ক্ষতি করলে বা কারো সম্পর্কে খারাপ কিছু করলে/বললে যে সে নিজেই অসুন্দর হয়ে যাবে – তাহলে তো আর নিজেকে ভালোবাসা হল না। আপনি যখন নিজেকে ভালবাসতে শুরু করবেন, তখন আপনার দ্বারা কোন বাজে কাজ করা আর সম্ভব হবে না। এবং তখন আর আপনার এগিয়ে যাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। যে নিজেকে ভালবাসে না, সে পৃথিবীর আর কাউকে ভালবাসতে পারে না !

Lesson=67…কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন – বিজনেস শুরু করতে গিয়ে?

বিশ্বাস করেন, আপনাকে কেউ সাহায্য করবে না, যতক্ষণ না আপনি নিজে নিজেকে সাহায্য করেন। খুব ছোট করে শুরু করেন। আমি ৫০,০০০ টাকা দিয়ে যে বিজনেস শুরু করেছিলাম, ১৮ বছরে তার মূল্য বর্তমানে অনেক টাকা। অথচ এই বিজনেস বন্ধ হয়ে যাবার কথা ছিল ১৫ বছর আগে। শুধু লেগে থাকার ও ভালোবাসা ঢেলে দেবার ফলাফল এটা। বিয়ে করার জন্য যেভাবে টাকা জোগাড় হয়, বড় কোন বিপদে পড়লে যেভাবে টাকার সংস্থান হয়, ঠিক একই দৃঢ়তা, পরিকল্পনা, আইডিয়া ও ধৈর্য নিয়ে চেষ্টা করলে নিজের বিজনেসের টাকাও জোগাড় হয়ে যাবে। কিন্তু লেগে থাকতে হবে প্রতিদিন। ডেইলি সেভিংসের ৭ টা টিপস ও পার্ট টাইম কাজের কথা মাথায় রেখে টাকা জমান যাতে পরিবার থেকে এখন কিছু ধার নিলেও ১ বছর পর শোধ করে দিতে পারেন। বাবা-মার কাছ থেকে অল্প কিছু টাকা নিন, না হলে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কে আপনার বিজনেসের পার্টনার করুন। যারা একটু বড় করে করতে চান তারা পার্টনার/ ইনভেস্টর নিন, বিজনেসটা একটু শিখে। আপনার আইডিয়া আপনাকে মুলধন দিবে, আপনার সততা ও কমিটমেন্ট হচ্ছে আপনার সবচেয়ে বড় মুলধন। স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং লেগে থাকুন…… কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না।

Lesson=68…নিজে মালিক হওয়া যায় এরকম বিজনেস করুন (টিয়েন্স ব্যবসা এক্ষেত্রে অনেক সুবিধা যুক্ত)…

নিজের কষ্টের টাকা ব্যবসা করার নামে কারো হাতে তুলে দিবেন না। প্রোপ্রাইটাশিপ বা পার্টনারশিপ বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি করে নিজে ওখানে একটা সুনির্দিষ্ট কাজ করুন। যাতে ঐ প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনের কাজকর্মে আপনার একটা ভুমিকা ও নজরদারি থাকে। আপনার থেকে টাকা নিয়ে অন্য কেউ ব্যবসা করে আপনাকে লাভ দিবে এটা বোকাদের আশা। তা একেবারে যে নেই তা নয়, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিরাশ হতে হয়। আপনি পার্টনার নিবেন যাতে করে মূল বিজনেসে আপনার পাশাপাশি তিনিও ভ্যালু অ্যাড করতে পারেন এবং ব্যবসাটিকে বড় করতে পারেন।

Lesson=69…অনেকেই কেন যেন পাওয়ারের পিছনে ছুটে… নিজের আলোয় আলোকিত হতে চায় না !…

পাওয়ার না দেখিয়ে কেউ কেউ কথাই বলতে পারে না, অনেকই নিজের নাম বলার আগেই বলে তার মামা জয়েন্ট সেক্রেটারি, অমুকের চাচাতো বোনের ভাসুর থানার ওসি, তালতো ভাইয়ের খালু মন্ত্রীর পিএস, মামাতো বোনের ননাসের দেবর র‍্যাবে আছেন, ভায়রার ছোট ভাইয়ের শ্বশুর আর্মির অফিসার… কিন্তু আপনি কে? আর রাজনৈতিক পরিচয়ের কথা নাই বা বললাম ! আমি একবার গ্রামে গেছি, বাজারে একজন আমাকে পরিচয় দিচ্ছে আমি অমুক দলের থানা কমিটির সহ সম্পাদক – ঐ যে দেখেন রাস্তায় ব্যানার, ঐটা আমি !!! একটা মানুষের পরিচয় দেয়ার জন্য কেন লতাপাতা লাগবে? শেকড়টা মজবুত হলে আর কিছুই লাগে না। এই শেকড় মজবুত করে জ্ঞান, দক্ষতা, মানুষের সাথে মেলামেশা এবং নিজে একজন ভালোমানুষ হওয়া। নিজের ভিতর এতো পাওয়ারের আলো থাকতে আমরা কেন অন্যের পাওয়ার খুঁজি? আলিবাবা খ্যাত জ্যাক মা চীনের কোন মন্ত্রী বা এমপি নন, কিন্তু তার পাওয়ার একবার কল্পনা করেন! তাঁকে আমি বলতে শুনেছি “আমি সরকারের কাছে যাই না, সরকার তার প্রয়োজনে আমার কাছে আসে”। অথচ এই মানুষটা টার অতীত খুবই সাধারণ একজন মানুষের মতো ছিল। তিনি পাওয়ার খুঁজতে যাননি, নিজের ভিতর এবং চারিপাশে অনেক আলো তৈরি করেছেন, যা যে কোন পাওয়ারকে ছাড়িয়ে গেছে ! এরকম আরও অনেক উদাহরণ দেয়া যায় বাংলাদেশে এবং সারা পৃথিবীতে। শুধুমাত্র টাকা দিয়েও পাওয়ার তৈরি হয় না, পাওয়ার তৈরি হয় তার জ্ঞান, দক্ষতা, সততা ও মানবিক গুণাবলী দিয়ে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ আমাদের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার – একজন আলোকিত মানুষ। এ রকম আরও অনেকেই আছেন আমাদের দেশে যারা নিজেই নিজের পাওয়ার তৈরি করেছেন। জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি আপনার সবচেয়ে বড় পাওয়ার “আপনি একজন ভালোমানুষ” !

Lesson=70…দুঃখ আছে বলেই সুখ গুলো এতো আনন্দময় হয়……

আমরা বেশীর ভাগ সময় ভালো থাকি, সুখে থাকি কিংবা অতটা খেয়াল করিনা কিভাবে কেটে যাচ্ছে – তার মানে নিশ্চিতভাবে দুঃখে বা কষ্টে থাকি না, কম বা বেশী ভালো থাকি। কিন্তু অল্প একটু দুঃখ বা কষ্ট পেলেই তা আমরা অনেক বড় করে দেখি। মনে হয় এই বুঝি সব শেষ হয়ে গেলো ! রাগ কষ্ট দুঃখ অভিমান এগুলো থাকবেই জীবনে কিন্তু কতদিন পুষে রাখবেন এটা আপনার সিদ্ধান্ত ! আজকের দিনটা আর কোনদিনই ফিরে আসবে না… কখনই না ! তবে না পাওয়ার জন্য আজকের দিনটিই শেষ দিন নয়… রাতের অন্ধকার শেষে যেমন সকাল হয়, দুঃখ-কষ্ট ও খারাপ সময়ও সব সময় থাকে না, আসে অল্প সময়ের জন্য। অনেক সময় তুলনা করতে গিয়ে অকারণে নিজের কষ্ট বাড়িয়ে ফেলেন, যার যা আছে তাই নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করা উচিৎ। আমরা যেন সব সময় একটু নীচের দিকে তাকাই, যে কত হাজারো মানুষ আমাদের চেয়ে কত খারাপ অবস্থায় আছে, কষ্টে আছে দুঃখে আছে! মনে রাখবেন আপনার এমন কিছু গুন, যোগ্যতা ও দক্ষতা আছে যা অন্যের নেই। আপনি একজন ভালো মানুষ – এটাই দিন শেষে অনেক বড় যোগ্যতা। শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না, সাহস করে শুরু করে দিতে হবে। যেখানে আটকে যাবেন, সেটা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকুন। দেখবেন একটা পর একটা জানালা খুলতে শুরু করেছে। কাজ করে যেতে হবে সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে, ছাড়তে হবে শেষ দেখে। আপাতত ফলাফল যদি নাও আসে শেখা হয়ে যাবে অনেক কিছু। নিজেকে অ্যাপ্রিসিয়েট করতে শেখা দরকার। মাঝে মাঝে নিজের কোন ভাল কাজকে নিজেই হাততালি দিন – আনেক আনন্দ লাগবে। প্রতিটি শেখা একটু একটু করে এগিয়ে দিবে আপনাকে প্রতিদিন, যেখানে তাড়াহুড়ার কোন সুযোগ নেই। জীবনে ভাল থাকার জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন নেই, দরকার একটুখানি। এই একটুখানিতে হাসিমুখে জড়িয়ে থাকার নাম জীবন।

Lesson=71…বিক্রয় বৃদ্ধির এক অনন্য উপায় রিপিট কাস্টমার তৈরি করা

বিজনেস কোন একদিন, এক সপ্তাহ, এক মাস বা ১ বছরের কোন বিষয় নয়, এটা একটা প্রতিষ্ঠান, যা যুগ যুগ ধরে চলবে এই ব্রত নিয়ে শুরু করা উচিৎ। প্রোডাক্ট বা সার্ভিস পরিবর্তন হতে পারে, আধুনিকায়ন হতে পারে, হাত বদল হতে পারে, হতে পারে দায়িত্ব বদল কিন্তু প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে হবে – সেই প্রত্যয়, ভিশন ও পলিসি নিয়ে ব্যবসার পরিকল্পনা করতে হবে। বিজনেসে শর্ট কাট বলে কিছু নেই, এটা একটা লম্বা রেস, দ্রুত দৌড়ে দম শেষ করে ফেলা যাবে না। কয়েকজন কাস্টমারের কাছে অতি মুনাফায় কিছু বিক্রি করে ১-২ মাস পর অন্য বিজনেস করবো – এটা ব্যবসা নয়, এই ব্যবসা টিকবে না, দাঁড়াবে না, হারিয়ে যাবে। কম সংখ্যক কাস্টমারের কাছে স্বল্প সময়ের জন্য অতি লাভে প্রোডাক্ট বিক্রি না করে, বেশী সংখ্যক কাস্টমারের কাছে কম লাভে বিক্রি করে অনেক বেশী মুনাফা অর্জন করা যায় এবং তা দীর্ঘদিন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যায় – এই শিক্ষাটা আমাদের অর্জন করতে হবে। বেশী লাভে বিক্রয় করলে ঐ একই কাস্টমার আপনি চিরতরে হারাবেন, সে কোনদিন আর আপনার কাছে আসবে না। তাই নজর দিতে একই কাস্টমারের কাছে কিভাবে বারে বারে বিক্রয় করা যায় অর্থাৎ রিপিট কাস্টমার বাড়াতে হবে। এক একজন রিপিট কাস্টমার এবং এক একজন হ্যাপি কাস্টমার আপনার কোম্পানির এক একজন সেলসম্যান, এক একজন এম্বাসেডর। তাঁকে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনে কিছু লস দিন, যেটাকে আপনি আপনার মার্কেটিং এক্সপেন্স মনে করতে পারেন। সেই কাস্টমার আজীবন আপনার থাকবে এবং আরও ১০ জনের কাছে গিয়ে আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বলবে, এতে আপনার সেলস বাড়বে। রিপিট কাস্টমার আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াবে, পরবর্তীতে আপনি যে নতুন বিজনেস বা প্রোডাক্ট বা সার্ভিসই অ্যাড করেন না কেন, আপনার কাস্টমার রেডি থাকবে। মাস শেষে কত টাকা লাভ হয়েছে এটা হিসাব করার আগে, হিসাব করুন একই কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কতবার কিনেছে বা ব্যাবহার করেছে। রিপিট কাস্টমার বাড়ানোতে মনোযোগ দিন, ব্যবসা অটোমেটিক বাড়বে।

Lesson=72…জীবনটা সহজ, সরল ও পজিটিভ ভাবে কাঁটিয়ে দেয়া যায় – ইহা শুধু একটি ইচ্ছা !

কখনো কখনো হয়তো ঠকবেন কিন্তু ঠকেও জেতা যায়। কেউ আপনার বিশাল পৃথিবীকে হয়তো একটু খানি ঠকাতে পারবে কিন্তু সে পুরাই ঠকে যাবে তার ছোট্ট পৃথিবী নিয়ে। আমিও জীবনে অনেক ঠকেছি কিন্তু নিজের প্রতি ও মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারাইনি। তবে যে ঠকিয়েছে তার প্রতি করুণা হয়েছে। আমার কখনো মনে হয়নি আমি এতটুকু হেরে গেছি। তাৎক্ষনিক হেরে যাওয়া বা জিতে যাওয়া নয়, দেখতে হবে দুরের জিত – যেটা টিকে থাকবে। না হেরে কখনো জেতার আনন্দ পাবেন না ! আমরা প্রতিটি কথার পিঠে কথায় জিততে চাই, এটা ভুল চিন্তা! কাউকে জবাব দেবার আগে ১ মিনিট সময় নিন, দেখবেন হয় জবাবটা বদলে গেছে অথবা আর জবাব দিতে ইচ্ছে করবে না। অনেক সময় জবাব দেয়ার চেয়ে জবাব না দেয়াটা অনেক বেশী শক্তিশালী! তারপর ৩-৪ বছর সময় নিন, জবাবটা দিন আপনার কাজ দিয়ে ও নিজেকে বদলে দিয়ে এবং নিজেকে তার থেকে একটু এগিয়ে গিয়ে আপনার সফলতা ও বিনয় দিয়ে।

Lesson=73…বাংলাদেশের ৩০ লাখ গ্র্যাজুয়েট বেকার তরুণদের উদ্দেশ্যে দুটো কথা

আসুন ২ মিনিট নিজের সাথে একটু কথা বলি… গত ৪ বছরে পড়াশুনা ছাড়া আর কি কি করেছেন? সময় পাননি? সময় কিন্তু ছিল নাকি ব্যবহার করতে পারেননি? এক দিনের হিসাবটা বের করেন তো পড়াশুনার বাইরে বাকী সময়টা কি কি করেছেন? খুব সহজেই প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা সময় বের করা যায়, সেই ৩-৪ ঘণ্টা কি করেছেন গত ৪ বছরে, যা ৫৮৪০ ঘণ্টা (২৪৩ দিন) ১। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছেন নাকি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড,এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্ট শিখেছেন? ২। অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করে সময় নষ্ট করেছেন নাকি ইংরেজিটা কিভাবে আরেকটু ভালো লিখতে ও বলতে পারা যায় তার শিখেছেন? ৩। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকিং করে অন্যকে লাইক দিয়েছেন নাকি নিজে লাইক পাওয়া যায় এমন কোন ভলান্টিয়ারিং কাজ করেছেন? ৪। প্রেম করার নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলেছেন, ডেটিং করেছেন নাকি রেস্টুরেন্টে, ফাস্টফুডে, বই মেলায়, বাণিজ্য মেলায় বা কোন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম বা অন্য কোথাও পার্টটাইম কাজ করেছেন? ৫। বই মেলায়, বাণিজ্য মেলায় বা রেস্টুরেন্টে ইত্যাদিতে গিয়ে শুধু ঘুরে ঘুরে দেখেছেন বা খেয়েছেন নাকি খন্ডকালীন একটা বিজনেস কিভাবে করতে হয় তা শেখার চেষ্টা করেছেন? ৬। রাজনীতির নামে আপনাকে ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন, নাকি সামাজিক কোন কাজ করে একটু অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন। ৭। কোথাও কোন একটা সমস্যা দেখলে “এই দেশে আর কিছু হবে না বা দেশটার সবকিছু নষ্ট হয়ে গেল” এটা ভেবেছেন নাকি ঐ সমস্যাকে কিভাবে সমাধান করে একটা বিজনেস আইডিয়া বের করা যায় তা নিয়ে রিসার্চ করেছেন? পড়াশুনার পাশাপাশি গত ৪ বছরে আপনি যদি প্রতিদিন ঐ ৩-৪ ঘণ্টা করে, প্রথম ২ বছর স্কিলস ডেভেলাপমেন্ট ও বাকী ২ বছর কোন পার্ট টাইম কাজ বা উদ্যোগের সাথে জড়িত থাকতেন – আপনার বেকার থাকা অসম্ভব এবং প্রশ্নই উঠে না। ৪ বছরের এই অভিজ্ঞতা যদি থাকে, আপনার পড়াশুনা শেষ হওয়া মাত্রই আপনি কোন চাকরী পেয়ে যাবেন অথবা ব্যবসায়ের কোন একটা উদ্যোগ শুরু করে দিতে পারবেন। কেউ আপনাকে বলতে পারবে না, আপনার কাজের কোন অভিজ্ঞতা নেই। আর কাজের মানুষটাকেই সবাই খোঁজে। তারপরও প্রশ্ন উঠতে পারে, এতো চাকরী কোথায় পাবে। পড়াশুনা করা মানেই বিসিএস বা সরকারী চাকরী নয় বা বেসরকারি চাকরী করা নয়। বিদেশে একটি যুবক যেখানে ২৪ বছর বয়সে কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার বা ডিরেক্টর হয়ে যায়, সেখানে আমরা দাবী করছি চাকরীতে ঢোকার বয়স সীমা ৩৫ করতে। কেন আপনি শুধু চাকরী করবেন, আপনি তো চাকরী সৃষ্টিও করতে পারেন। হাঁ আপনি পারেন, এই বিশ্বাস আপনার মধ্যে তৈরি করতে হবে এবং শুরু করতে হবে। আমরা শুরুই করছিই অনেক দেরিতে। কেন ১৮-২০ বছর বয়স থেকেই কোন পার্টটাইম কাজ বা উদ্যোগের পিছনে ছুটে চলা নয়? সমস্যা হচ্ছে আমরা কাজকে ছোট বড় বা জাত ইত্যাদিতে বিভাজন করে ফেলি। ছোট বড় বলে কিছু নেই, সবই কাজ এবং শুরুটা যে কোন কাজ দিয়ে হতে পারে। ধরুন শুধু চাকরীর চেষ্টা না করে ছাত্র জীবন থেকে এই ৩০ লাখ জন তরুণ থেকে মাত্র দেড় লাখ (৫%) জন যদি উদ্যোক্তা হতে পারে, গড়ে ২০ জনের (কেউ ৫ জন বা ১০ জন বা ৫০ জন) চাকরীর ব্যবস্থা করতে পারে তবে ৩০ লাখ চাকরী সৃষ্টি করা সম্ভব, অন্তত ২০ লাখ তো সম্ভব। সাথে সরকারকে একটু এগিয়ে আসতে হবে প্রশিক্ষণ এবং বিজনেস ফান্ড নিয়ে। ধরেন কেউ আপনার জন্য কিছু করবেনা, তাই বলে কি আপনি বসে থাকবেন! আপনি নিজে কিছু করে দেখাতে পারলে, আপনার জন্য এগিয়ে আসার মানুষের অভাব হবে না। যারা গত ৪ বছরকে এভাবে ব্যাবহার করে নিজেকে তৈরি করতে পারেননি বলে, সব শেষ হয়ে গেছে তা কিন্তু নয়। আজই শুরু করুন। আর যারা গ্রাজুয়েশান প্রথম বর্ষে আছেন তারা আজই নেমে পড়ুন উপরের ৭টা কাজে। শুধু পড়াশুনা বা ডিগ্রি দিয়ে এখন আর চাকরী বা উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব নয়, পাশাপাশি দরকার অন্তত ২-৩ টা স্কিলস। তাহলে আপনাকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। কাজ আপনাকে খুঁজবে !

Lesson=74…আপনি আপনার মা-বাবা ও কারো না কারো দোয়ায় আছেন তো…

কখনো কখনো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় উপর থেকে ইটের টুকরাটা মাথায় না পড়ে ৩ ইঞ্চি সামনে পড়ে বা ঠিক পিছনের মানুষটার মাথার উপর পড়ে… রাস্তায় গাড়িতে যাবার সময় কয়েক মিলি সেকেন্ডের ব্যবধানে যে এক্সিডেন্ট থেকে আমরা বেঁচে যাই বা চোখের সামনেই আরেকটা গাড়ি এক্সিডেন্ট করে যেটা নিজেরটাও হতে পারত… ট্রাফিক জ্যামের কারণে বা মায়ের/বাচ্চার হটাৎ অসুস্থতার কারণে যে ফ্লাইটটা মিস করলেন, মর্মান্তিকভাবে হয়তো ঐ বিমানটাই দুর্ঘটনায় পতিত হয়…… চকবাজারের ঐ রেস্টুরেন্টে একটু আগেই হয়তো নানরুটি ও বটি কাবাব খেয়ে বের হলেন, গরম চা টা আরেকটু ঠাণ্ডা করে খেলেই হয়তো সেদিন পুড়ে কাবাব হয়ে যেতে হতো… সেদিন বিদেশে আমাদের সোনার ছেলে ক্রিকেটাররা ৩-৪ মিনিট দেরী না করলে/হলে, পুরো বাংলাদেশ শোকে স্তব্দ হয়ে যেত……। ভাগ্যক্রমে এই বেঁচে যাওয়া নিয়ে কি আমরা ভাবি… ! একটুখানি ভাবলেই হয়তো জীবনে এতো চালাকি, অসততা ও দাপটের আর দরকার হতো না। হয়তো ভাবা হয় কিছুক্ষন, তারপর… মুহূর্তের জন্য এই বেঁচে যাওয়ার পিছনে থাকে অনেক মানুষের দোয়া বিশেষ করে মা-বাবার দোয়া ও আল্লার রহমত। শুধু বেঁচে থাকার নাম জীবন নয়, জীবন হচ্ছে কারো জন্য একটু খানি হলেও কিছু করে মরে গিয়েও বেঁচে থাকা।

Lesson=75…এই কথাগুলো প্রতিদিন একবার পড়বেন এবং ধারণ করবেন

– আপনার স্বপ্ন ও সাহস হারাবে না কখনো এবং যে স্বপ্ন আপনাকে ঘুমাতে দিবে না কখনো ! ১। জীবনে বলার মতো একটা গল্প থাকা দরকার। ২। স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন…… সাফল্য আসবেই। ৩। জীবনের অন্তত ৫টি বছর ৯–৫টা ভুলে গিয়ে কাজটাকে ভালবাসুন, আপনার এগিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার। ৪। সফলতা হচ্ছে ৪ “স” – সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সম্পদ। ৫। জীবনে বড়, সফল ও সুখী হবার জন্য পজিটিভিটির কোন বিকল্প নাই। ৬। সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে সততা ও কমিটমেন্ট। ৭। সময় নিন, সময় দিন, সময় বদলাবে, সময়ই সব ঠিক করে দিবে…। ৮। সমস্যা থেকে বের হয়ে আসবে নতুন কোন বিজনেস আইডিয়া। ৯। বৃষ্টি সবার জন্যই পড়ে তবে ভিজে কেউ কেউ। ১০। সবসময় জিততেই হবে এই মানসিকতা আপনাকে অসুস্থ করে তুলবে। কোন কোন হার নতুন পথ দেখায়। ১১। কিছু স্কিলস শিখে শুরু করতে হবে তাড়াতাড়ি তবেই পড়াশুনা শেষ হবার আগেই আপনার জন্য রেডি চাকরী বা কোন উদ্যোগ। ১২। যে নিজেকে ভাল রাখে এবং অন্যকেও ভাল রাখে – তিনিই একজন ভালোমানুষ ! শুধু ভালমানুষ হবার প্রতিযোগিতা হউক। ১৩। জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে একজন ভালো মানুষ হওয়া। ১৪। আপনার জীবনে এগিয়ে যাবার কোন চমক দিতে পারে শুধুমাত্র মা-বাবার দোয়ায়। ১৫। মানুষের জন্য কাজ করলে, জীবিকার জন্য কাজের অভাব হয় না

Lesson=76…উদ্যোক্তা হতে হলে কিছু স্কিলস আপনাকে অবশ্যই শিখতে হবে এবং জানতে হবে

১। বাংলায় সুন্দর করে কথা বলতে পারা এবং লিখতে পারা অর্থাৎ কথা বলার জড়তা কাটানো – প্রেজেন্টেশান স্কিলস। ২। ইংরেজিতে কথা বলতে পারা ও লিখতে পারা ৩। কম্পিউটার জানা অন্তত মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্ট ৪। বিজনেস ইমেইল লিখতে জানা, সময় মতো রিপ্লাই দেয়া এবং ইমেল ফোল্ডারিং ও ফলোয়াপ ৫। লিডারশীপ কোয়ালিটি অর্জন করা এবং ভাল ম্যানেজমেন্ট জানা এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে জানা ৬। নেটওয়ার্কিং করা প্রতিনিয়ত এবং এক্সিলেন্স ইন কাস্টমার সার্ভিস ৭। বিক্রয় দক্ষতা অর্জন করা উপরের ৭ টি স্কিলসের মধ্যে আপনার কয়টি স্কিলস আছে? যেগুলো জানা নেই সেগুলো আগামী ৩ মাসের মধ্যে শিখে ফেলুন কারণ এই সব গুলো স্কিলস আমরা আমাদের ৯০ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শেখাই।

Lesson=77…নিজের পরিচয় হচ্ছে শুধুমাত্র ‘নিজের কাজ’

কারো বৌ, কারো জামাই, কারো ছেলে, কারো মেয়ে, কারো ভাই, কারো বোন বা কারো চাচা/মামা – এটা নিজের পরিচয় নয়। মায়ার জালে অথবা হেলা করে নিজের ক্যারিয়ারটাকে কখনো বিসর্জন দিবেন না। ওটাই আপনাকে সম্মান দেবে, সুখ দেবে, দেবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। একজন ব্যস্ত মানুষকে কারো জন্য অপেক্ষা করতে হয় না, সুখের অসুখে ভুগতে হয় না, বিষণ্ণতা তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না, ছোট ছোট অনেক বিষয় ইগ্নোর করে ব্যস্ততার কারণে, জীবন অনেকটা সহজ হয়ে যায়। কখনো যদি পৃথিবীর সবাই আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, ঐ কাজই একমাত্র সঙ্গ দেবে আপনাকে। আর নিজের পরিচয়ে যখন আপনি ঘুরে দাঁড়াবেন, তখন সবাই আপনার দিকে মুখ তুলে তাকাবে, পায়ের মুড়ি উঁচু করে দেখবে ! তখন সময়ও আপনার জন্য অপেক্ষা করবে ! নিজের বলার মতো একটা গল্প থাকা দরকার।

Lesson=78…আমরাই ক্রেতা আমরাই বিক্রেতা

আমাদের “নিজের বলার মত একটা গল্প” ও “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক” প্লাটফর্মের সবাইকে অনুরুধ করছি, আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিষগুলো আমাদেরই গ্রুপের উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনবেন এবং কোন গুরুতর কমপ্লেইন পেলে গ্রুপে জানাবেন। কারণ কাল যখন আপনিও উদ্যোক্তা হবেন, তখন অন্যরাও আপনাকে সাহায্য করবে আপনার বিক্রয় বাড়াতে। আর আমাদের গ্রুপের উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ীদের অনুরুধ করছি, আপনারা আমাদের প্লাটফর্মের যারা আপনাদের পণ্য বা সেবা কিনবে তাঁদেরকে সবসময় ৫-১০% ছাড় দিবেন এবং সবচেয়ে ভাল পণ্য বা সেবাটা দিবেন, যাতে সবাই আপনার প্রশংসা করে। বাংলাদেশে এটা একমাত্র গ্রুপ যেখানে টানা ৯০ দিন ধরে শুধু শেখানো হয় না যে আপনি উদ্যোক্তা হউন ও ভালোমানুষ হউন, সাথে সাথে বিজনেস শুরু করার পর পণ্য বা সেবা বিক্রয় ও বিক্রয় বৃদ্ধিতে একে অন্যকে সহযোগিতা করা হয়। কারণ আমরা শিখে গেছি – কেউ একা বড় হতে পারে না, সবাইকে নিয়ে বড় হতে হয়। আর আমরা সব সময় অন্যের ভালো চাই তাতে আপনার ভালও অন্যজন চাইবে। কারণ আমরা যে ভালোমানুষ ! ১ টা বা ১০ টা পণ্য থেকে বেশী লাভ নয়, হাজারো লাখো পণ্য কম লাভে বিক্রি করে বেশী লাভ করুন !

Lesson=79…অন্য উচ্চতায় নিজেকে এগিয়ে যেতে হলে আপনার এই ৭ টা সফট স্কিল থাকতে হবে

১। কমিউনিকেশন স্কিলস আপনি যেখানেই কথা বলেন না কেন, আপনি কী বলতে চাইছেন সেটা স্পষ্ট করে বলা, কোন টোন-এ বলছেন, কথা বলার সময় আপনার বডি ল্যাংগোয়েজ কেমন হচ্ছে, সময়টা ঠিক আছে কিনা – এসব অনেক কিছুই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই যখন কোনও কিছু নিয়ে কথা বলছেন, সে বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য, তা নিজের কাছে যেন পরিষ্কার থাকে। অনেকে খুব তাড়াতাড়ি কথা বলেন। আবার কারও কারও কণ্ঠস্বর এমনই যে কথা বোঝাই যায় না। ভার্বাল কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে কিন্তু তোমাকে খুব স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে হবে, যাতে অন্যরা বুঝতে পারেন। যা আমরা “কথা বলার জড়তা কাটানো” এর ৩০ দিনের সেশানে শিখাচ্ছি। ২। লিখার দক্ষতা যা ভাবছেন, তা স্পষ্ট করে ভাষায় প্রকাশ করাটাও একটা দক্ষতা। তাই, যে কোনও ক্ষেত্রে যা লিখতে হবে, সে প্রজেক্ট রিপোর্টই হোক, বিজনেস প্রোফাইল বা ক্লাস নোট্স, সব কিছুতেই যেন একটা পরিচ্ছন্নতা থাকে। বিশেষত, চাকরিতে বা বিজনেসে যদি সহকর্মীর জন্য কোনও মেমো বা বস-এর জন্যে কোনও রিপোর্ট তৈরি করতে হয়, তা হলে বুঝতে হবে, কী লিখতে হবে, কতটা লিখতে হবে। কম কথায় সোজাসাপটা ভাষায় কোনও কিছু গুছিয়ে লেখার অভ্যাস করো। একই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে লেখায় গ্রামার, পাংচুয়েশন ও বানান যেন ঠিক থাকে। ৩। শোনার দক্ষতা এটাও একটা বিরাট দক্ষতা। যে কোনও কাজের জায়গাতেই যে অন্যের কথা মন দিয়ে শোনে, অর্থাৎ যে ‘গুড লিসনার’, তার বা তাদের গুরুত্ব অন্য রকম। তাদেরকে কিন্তু প্রোডাকটিভ ওয়ার্কার হিসেবে দেখা হয়। কারণ আপনি যদি চট করে কোনও কথা শুনে বুঝে যান আপনার কাছ থেকে কী চাওয়া হচ্ছে, তা হলে আপনারই কাজের সুবিধে। এতে বস-এর নেকনজরে পড়বে, সহকর্মীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি হবে। ব্যক্তিগত জীবনেও এই অভ্যেস তৈরি করতে পারলে, জীবনে নানান সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং অন্যান্য মানুষকে বোঝার অনেক সুবিধে হয়। তবে সবাই যে গুড লিসনার হয় তা নয়। আবার অনেক সময় যাঁদের মনে করা হয় গুড লিসনার, তাঁরাও এমন আচরণ করেন, দেখে মনে হবে তিনি কোনও মনোযোগই দিচ্ছেন না। যাঁরা মনোযোগ দিয়ে কথা শোনেন তাঁরা দেখবেন কয়েকটা জিনিস করেন। যেমন, চোখে চোখ রেখে কথা বলা। অন্য ব্যক্তি যখন কথা বলেন, তখন তাঁর কথার মধ্যে কথা না বলা। অযথা উসখুস না করা। কথার মাঝে মাথা নাড়া। বক্তার দিকে সামান্য ঝুঁকে বসা। বক্তার কথা শেষ হয়ে গেলে তবেই প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা। ৪। অর্গানাইজেশনাল স্কিল্‌স কিছু মানুষ থাকেন, যাঁরা খুব গুছিয়ে কাজ করতে পারেন। এ ধরনের স্কিল যাঁদের থাকে, তাঁরা দেখবে কোনও হুড়োহুড়ি না করেই যে কোনও কাজ করে ফেলতে পারেন। একাধিক অ্যাসাইনমেন্ট খুব স্বচ্ছন্দে করে ফেলতে পারেন এবং তাদের কাজে ভুলও থাকে নামমাত্র। আমরা অনেকেই গুছিয়ে কাজ করতে পারি না। কিন্তু কয়েকটা জিনিস করলেই এই অভ্যাস তৈরি করে ফেলা যায়। প্রথম কাজই হল কাজের একটা তালিকা তৈরি করা। এ বার কোন কাজটা বেশি গুরুত্বের আর কোন কাজটা কম গুরুত্বের, সেটা ভাগ করে নেয়া। যেমন যেমন কাজ শেষ করছেন, টিক মারতে থাকেন। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা হাতে লেখার নোটবুক— যেটাতে আপনার সুবিধে, এই তালিকা বানিয়ে রাখেন। প্রত্যেকটা কাজের জন্য একটা ডেডলাইন করে রাখেন ক্যালেন্ডারে। দরকারে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখেন। একটা রুটিন ফলো করেন। ৫। থিংকিং স্কিলস অন্যে যা ভাবছে, সেটাকেই সহজে গ্রহণ করবেন না। নিজের ভাবনা-চিন্তা-কল্পনার ওপর জোর দিবেন। এখন চাকরির বা ব্যবসার ক্ষেত্রে যা প্রতিযোগিতা, তাতে নিজের কাজে যে যত সৃষ্টিশীল হতে পারবে, সে তত এগিয়ে যাবে। সমস্যা হলে দেখবে অধিকাংশ মানুষ সেটা নিয়েই মেতে যায়। কিন্তু যে সমস্যা সমাধান করে, সে-ই লিডার হয়। ফলে ঠান্ডা মাথায়, যুক্তি দিয়ে পরিস্থিতির বিচার করে, সমাধানের পথ খোঁজাটা বুদ্ধিমানের কাজ। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একটা বড় দক্ষতা। একটা পরিস্থিতি কী চাইছে, সেটা বুঝে নিয়ে এবং সেই পরিস্থিতির কী কী সমাধান হতে পারে, সেটা ভেবে আপনার যা ঠিক মনে হবে, সেই অনুযায়ী একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেকেই নানা রকম পথ বাতলাতে পারে, কিন্তু কোনও একটা পথ চিহ্নিত করতে বললে, দ্বিধায় পড়ে যায়। সেটা কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারাটা খুব বড় গুণ। ৬। প্রফেশনালিজম কাজের ক্ষেত্রে এই ওপরের শব্দটার গুরুত্ব যথেষ্ট। এর কারণে কাজের জায়গায় আপনার অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। এর জন্য কয়েকটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। এই সূত্রে কয়েকটা উদাহরণ দেওয়াই যায়। কাজের জায়গায় কিংবা মিটিং-এ দেরিতে পৌঁছনো একেবারেই নয়। এতে ধারণা হয়, আপনি কাজকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। একই নিয়ম খাটে লাঞ্চে যাওয়ার সময়েও। খেতে গিয়ে আড্ডায় অনেক ক্ষণ কাটিয়ে দিলে, এমনটা না করাই ভাল। বাড়িতে বা অন্য কোথাও ঝামেলার কারণে যদি মুড খারাপ হয়ে যায়, সেটা কাজের জায়গায় এনো না। জামাকাপড়ের দিকে নজর দিতে হবে। ফর্মাল বা ক্যাজুয়াল, সেটা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। সাধারণত উইকডেজ-এ ফর্মাল পরবেন। আর, উইকেন্ডে ক্যাজুয়াল। অনেকের অভ্যাস থাকে সহকর্মীদের সঙ্গে পরচর্চা করার। অফিসে এ সব না করাই ভাল। কোনও ভুল করলে সেটা নিজের ঘাড়ে নিন। অজুহাত দিয়ে অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিন। হতেই পারে কোনও একটা বিষয়ে আপনার এক রকম মত, তআপনার সহকর্মী বা বস-এর আর এক রকম। যদি তিনি তোমার মতামত গ্রহণ না করে নিজের মতটাই খাটাতে চান, অযথা রেগে যাবেন না বা চিৎকার-চেঁচামেচি করবেন না। তাঁকে বোঝাবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন, আপনি কোন দিক থেকে বিষয়টা দেখেছ। তার পরেও তিনি যদি রাজি না হন, বিষয়টা নিয়ে আর না এগনোই ভাল। ৭। পিপল স্কিলস কাজের ক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত জীবনে কেমন ভাবে লোকের সঙ্গে মিশছেন, সেটাই অন্যের কাছে আপনার সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করে দেয়। আপনার ব্যবহার, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এই সব কিছুই কিন্তু এক জন সফল মানুষ হতে খুব প্রয়োজন। অধিকাংশ মানুষেরই লক্ষ্য থাকে, যেখানে কাজ করছে, সেখানে এক সময় সে নেতৃত্ব দেওয়ার স্তরে পৌঁছবে। এই লিডারশিপ স্কিল তৈরি করতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার। যেমন, দলের মধ্যে একটা মত প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে রাজি করানো একটা বড় ব্যাপার। তার জন্য নিজের চিন্তা এবং অনুভূতিকে ঠিকমত প্রকাশ করতে জানতে হয়। সবাইকে উৎসাহ দিয়ে বুঝিয়ে রাজি করানো এবং নিজের দক্ষতা ও সততার মাধ্যমে অন্যের আস্থা অর্জন করাটাও একটা জরুরি শিক্ষা। টিমওয়ার্ক মানে কিন্তু একটা টিমকে দিয়ে কতটা কাজ করানো গেল তা নয়, একটা টিম নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে কতটা কাজ করল, সেটাই আসল। এই সফট স্কিল গুলো জানা থাকলে আপনাকে অন্যদের থেকে একটু বেশী এগিয়ে রাখবে।

Lesson=80…৫০-১০০ জন থেকে ১০,০০০/১৫,০০০/১০০,০০০ টাকা করে নিয়ে কোন কিছু করার চেষ্টা না করা।

যারা এ রকম অল্প টাকা দিয়ে যারা শেয়ার কিনবেন, তারা কিছুই পাবেন না। আর এই প্লাটফর্মে কেউ কাউকে টাকা ধার দিবেন না। এবং আমাদের সদস্যদেরও বলছি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার নামে বা সারা দেশে ই-কমার্স ব্যবসার নামে এরকম কোন শেয়ার কেনার ফাঁদে পা দেবেন না। অনেক প্রলোভন আসবে। যার ৫ জন এমপ্লয়ী চালানোর অভিজ্ঞতা নেই, তার হাতে কেন আপনার কষ্টের টাকা তুলে দিবেন, হউক ছোট কোন এমাউন্ট। আগে নিজে কিছু করে ব্যবসাটা শিখুন। যারা এ রকম অল্প টাকা দিয়ে যারা শেয়ার কিনবেন, তারা কিছুই পাবেন না। এই কথা গুলো গত কয়েক বছর ধরে আমি অনেক বার বলেছি এই প্লাটফর্মে। কোন ভুল করবেন না। বিজনেস করার শুরুর মুহূর্তে যারা এই রকম শত মানুষের কাছ থেকে টাকা উঠানোর চিন্তা করবেন, নিশ্চিতভাবে ঝামেলায় পড়বেন এবং পুরো মূলধনটাই নষ্ট হবে। যারা টাকা দিবেন, তারা কিছুদিন পর টাকা ফেরত চাইবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না। শুরু হবে ব্যাপক ঝামেলা। ছোট করে আগে বিজনেস করা শিখেন, ছোট ছোট রিস্ক নেন, বিজনেসের হাত পাকা করেন। তারপর বড় কিছু করা যাবে। ২-৫ জন বা ১০ জন মিলে কিছু করেন কিন্তু ৫০/৬৪/১০০ জন নয়। রাতারাতি বড়লোক হবার চিন্তা কেউ করে থাকলে, তাঁদের জন্য “নিজের বলার মত একটি গল্প” “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক” প্লাটফর্ম নয়। ভালোমানুষ গুলো যেন কোন বিপদে না পরে। আমরা আগে বিজনেস শিখি এবং ২-৩ বছরের বিজনেসের অভিজ্ঞতা অর্জন করি। কোন তাড়াহুড়ো নয়, নো শর্টকাটস !

Lesson=81…আপনি উদ্যোক্তা হতে চান?

আমাদের প্লাটফর্মের মুখ্য উদ্দেশ্যঃ উদ্যোক্তা ও দক্ষতা বিষয়ক কাজ শেখানো, উদ্যোক্তা হওয়া, একজন ভালমানুষ ও মানবিক হওয়া, পজিটিভিটি চর্চা করা দক্ষ ও সাহসী মানুষ হওয়া, নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি করা এবং ভলান্টিয়ারিং করা – আর আমার কাজ শুধু শেখানো এবং প্রতিদিন শেখানো। আপনি যে উদ্যোক্তা হতে চান, এগিয়ে যেতে চান কিন্তু আপনি কি করেছেন বা কিভাবে কাটে আপনার প্রতিদিন – নিজেকে একটু প্রশ্ন করুন? ১। প্রতিদিন কাদের সাথে মিশেন? তাঁরা কি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করে? ২। ব্যবসা বিষয়ক কোন বইয়ের আজকে একটা পৃষ্ঠা পরেছেন? ৩। আপনার ব্যবসার কাজে লাগে এমন দক্ষতা উন্নয়নে আজকে ১ টা ভিডিও দেখেছেন? ৪। কতজন উদ্যোক্তার জীবনী পড়েছেন ? ৫। বিজনেস আইডিয়া খোঁজার জন্য কি গুগলে সার্চ করেছেন বা কোথায় কোথায় ভিজিট করেছেন বা কতজন উদ্যোক্তার সাথে কথা বলেছেন? খুব অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় এই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। ৬। আপনার নেটওয়ার্ক কতটা শক্তিশালী? কত জন মানুষকে আপনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন ও সম্পর্ক তৈরি করেছেন? ৭। আপনি নিজে কতটা পরিশ্রমী ও যে কোন কাজে কতটা লেগে থাকতে পারেন? এই ৭ টি প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলে, ধরে নিন আপনি উদ্যোক্তা হওয়ার পথে হাঁটছেন।

Lesson=82…ব্যস্ততা বলে কিছু নেই – It’s all about Priority !

কারো জীবনে প্রতিদিন বা দীর্ঘ দিন ধরে কেউ একজন বা কোন একটা বিষয় সবসময় প্রায়োরিটিতে থাকবে – এটা ভাবা, স্বপ্ন দেখা বা ইচ্ছা প্রকাশ করা ভুল ও অবাস্থব। এতে শুধুই হতাশা বাড়বে এবং অসুখী হয়ে যাবেন। সব কিছু নির্ভর করে মুড ও সময়ের উপর। তবে দেখার বিষয় হল দ্বায়িত্বের জায়গাটা ঠিক আছে কিনা। একটা মানুষের জীবনে অনেকগুলো প্রায়োরিটি থাকে – আপনার মা-বাবা, প্রেমিকা/বউ, প্রেমিক/জামাই, সন্তান, ভাইবোন, আত্মীয় স্বজন। বন্ধু বা কখনো কখনো কাছের বা দুরের কোন আত্মীয়ও কিছু সময়ের জন্য সবচেয়ে প্রায়োরিটি পেতে পারে, প্রয়োজনে বা বিবেকের তাড়নায়। এছাড়াও আপনার অফিস, আপনার কাজ, আপনার দায়বদ্ধতা এই সবই আপনার কাছে সময়ে সময়ে প্রায়োরিটি পাবে। কখনো কখনো আপনার সম্পর্কের চেয়েও আপনার কাজ প্রায়োরিটি পেতে পারে। সম্পর্ক গুলোকে এই বাস্তবতা বুঝতে হবে এবং মেনে নিতে পারলে সব কিছু ধবধবে সাদা। একএক দিন একএক সময় একএক জন প্রায়োরিটিতে চলে আসবে প্রয়োজন, দায়িত্ব ও অবস্থার কারনে। একই জন সবসময় প্রথম প্রায়োরিটিতে থাকতে পারে না, সম্ভব নয়। আর পরিবারের বাইরের প্রায়োরিটি নির্ভর করে আপনার মূল্যবোধ, ভালোমানুষ ও অবস্থানগত পার্থক্যের উপর। আপনি ভালো অবস্থায় আছেন বা বলার মতো কিছু করেছেন, প্রায়োরিটি এমনিতেই বা না চাইতেই আসবে। আর আপনার সময় খারাপ যাচ্ছে বা পড়ে গেছেন তো, কেউ তাকাবে না আপনার দিকে – অনেক সময় আপনজনরাও না। এটা মেনে নিতে হবে। এটাই বাস্তবতা! প্রায়োরিটি পেতে হলে আপনাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আপনি সবসময় প্রায়োরিটি চান – সমস্যা শুরু হয় এখান থেকে। প্রায়োরিটি দিন অটোম্যাটিক প্রায়োরিটি পাবেন। বেশিরভাগ মানুষের প্রিয় হয়ে থাকার একটা বিশাল আনন্দ আছে, হউক গণ্ডি টা ছোট বা বড় …… 🙂 জীবনটা প্রাণবন্ত মনে হয়, এটা প্রতিদিন বেঁচে থাকা ! একটু চেষ্টা করলেই সম্ভব………কম বলা, বেশী শোনা, অপরের ব্যাপারে নেগেটিভ মন্তব্য প্রদানে বিরত থাকা এবং পারলে মানুষের একটু উপকার করা। অন্তত নিজের কাছে প্রিয় থাকা যায়। আপনি কতটা ভালমানুষ অথবা কম ভাল – তা আপনার চেয়ে বেশী আর কেউ জানে না ! প্রথম প্রায়োরিটি হল পরিবার! কখনো কখনো প্রায়োরিটিতে অন্য কোন কাজ চলে আসতে পারে কিন্তু কাজ শেষে পরিবারের কাছেই ফিরে যাতে হবে। কম থাকুক বা বেশী থাকুক, দিন শেষে ওটাই শেষ আশ্রয়স্থল এবং আলটিমেট হ্যাপিনেস!

Lesson=83…“নিজের বলার মতো একটা গল্প” “সহযাত্রী নেটওয়ার্ক” প্লাটফর্ম বাংলাদেশে ভালোমানুষদের একটা ব্র্যান্ড

ভালোমানুষ তাঁকেই বলে… ১। যে নিজেকে সুন্দর রাখে এবং যে অন্যকে ভাল রাখে, অন্যের ভালো দেখলে খুশী হয়। ২। যে সবসময় পজিটিভ চিন্তা করে, নেগেটিভিটি যাকে স্পর্শ করে না। ৩। যে সততার সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে এবং কমিটমেন্ট ঠিক রাখে। ৪। যে কখনো অন্যের বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। যে অন্যদেরকে সম্মানের চোখে দেখে, বিশেষ করে নারীদেরকে। ৫। যে মানুষের উপকার করতে ভালবাসে, উপকার করতে না পারলে নীরব থাকে কিন্তু কখনো কারো ক্ষতি করে না ৬। যে কখনো নিজে একা বড় হবার চিন্তা করে না, সবাইকে নিয়ে একসাথে থাকার যোগ্যতা রাখে। ৭। যার মাঝে পারিবারিক এবং সামাজিক কিছু দায়িত্ববোধ আছে। আসুন নিজের সাথে মিলাই…

Lesson=84…কমিটমেন্ট একটা বিশাল ব্যাপার

এটা রাখতে বুকে সাহস লাগে ও মনে জোর লাগে ! সাধারণরা তো বটেই অনেক বড় বড় মানুষ অনেক বড় বড় কথা বলেন, উপদেশ দেন কিন্তু নিজে কতটা কমিটমেন্ট রাখেন ও তা মানেন !!! এটা ভাবা ভুল ও বোকামি যে কেউ জানছে না বুঝছে না। ভাব নেয়ার দিন শেষ, সবাই সব কিছু বোঝে ও একসময় টের পায়। দিন শেষে শুধু সত্য ও ভালোমানুষকেই সবাই শ্রদ্ধা করে। কমিটমেন্ট আপনাকে বিনিয়োগ দিবে। এটা একটা অসাধরণ পুঁজি নিজের জন্য, বিজনেসের জন্য এবং সমাজের ও দেশের জন্য। অস্থিরতার পরিনাম ভুল ও শেষ হয়ে যাওয়া। নিজের কাজের পাশাপাশি আরও বড় সফলতা পেতে হয়তো কখনো কখনো একটু বেশী সময় লাগবে কিন্তু জীবনে সুখী হবেন, খুশী থাকবেন ও বুক ফুলিয়ে চলবেন। আর জীবনে খুশী থাকা মানেই হল সবচেয়ে বড় সফলতা। কে কি বলল আপনাকে মোটেও ভাববেন না, নিজের মন যেটা বলে করে যান। নিজের বিবেকের কাছে নিজের ভালো থাকাটা সবার আগে। কাজ করে যেতে হবে সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে, ছাড়তে হবে শেষ দেখে। আপাত ফলাফল যদি নাও আসে, শেখা হয়ে যাবে অনেক কিছু। প্রতিটি শেখা একটু একটু করে এগিয়ে দিবে আপনাকে প্রতিদিন, যেখানে তাড়াহুড়ার কোন সুযোগ নেই। একসাথে ৪-৫ টা কাজও করা যায় ফুল ডেডিকেশান নিয়ে – নির্ভর করে ইচ্ছা শক্তি, মেধা ও জব প্লানিং এর উপর। আমি তাই করি। যে কাজ কেউ ২৪ ঘণ্টায় করে, আরেকজন তা ১ ঘণ্টায় করে, ১০ মিনিটে ও সম্ভব – এটাকে বলে স্মার্ট ওয়ার্ক। সময়কে যত্নের সাথে ও পরিকল্পনার সাথে ব্যাবহার করুন, একটি দিন চলে গেল মানে একটি দিন হারিয়ে গেলো – কয়েক বছর পর মনে হবে, আহা জীবনে কিছুই করা হয়নি। রাতের অন্ধকার শেষে সকাল হবেই… আলো আসবেই ! আপনাকে যে ভালো থাকতেই হবে – সুন্দর প্রতিদিনের জন্য।

Lesson=85…উদ্যোক্তা লোণ যেভাবে পাওয়া যায়

একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনা এবং ইন্সুরেন্সের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যই হলো উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। আমাদের দেশে একটি প্রচলিত ধ্যান-ধারণা বিদ্যমান রয়েছে যে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তার পরিবর্তে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি করে। বিষয়টি ঢালাওভাবে কিংবা একতরফাভাবে বলা সমিচীন নয়। উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার জন্য যেমন নিয়মনীতি অনুসরন করতে হয় তেমনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পদ্ধতিগতভাবে নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। অনেক সময় উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাস্তব জ্ঞান এবং ব্যাংকের নিয়মকানুন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারনে অহেতুক অসুবিধার সম্মুখীন হয়। সম্প্রতি দেশের অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান শিল্পোদ্যোক্তা বিশেষ করে এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ ও অর্থায়নের সুবিধা প্রদানের জন্য এসএমই ব্যাংকিং ব্যাবস্থা চালু করেছে। অনেক ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক সেল/ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে। ব্যাংক (Bank) বাংলাদেশের বর্তমান অর্থবাজারে এসএমই খাতে অর্থায়নে যে সমস্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসএমই ব্যাংকিং শুরু করেছে তাদের তালিকা নিম্নরূপঃ (১) ব্র্যাক ব্যাংক (২) বেসিক ব্যাংক (৩) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (৪) ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড (৫) প্রাইম ব্যাংক লিঃ (৬) এবি ব্যাংক (৭) মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (৮) প্রিমিয়ার ব্যাংক (৯) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (১০) সিটি ব্যাংক লিমিটেড (১১) মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ (১২) স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক (১৩) ট্রাষ্ট ব্যাংক লিঃ (১৪) ব্যাংক এশিয়া (১৫) ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ (১৬) সোনালী ব্যাংক লিঃ (১৭) জনতা ব্যাংক লিঃ (১৮) অগ্রনী ব্যাংক লিঃ (১৯) পূবালী ব্যাংক লিঃ (২০) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (২১) আইপিডিসি ফাইনান্স প্রভৃতি। ব্যাংক একাউন্ট খোলা (Opening Bank Account) ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনার পছন্দ মতো ব্যাংক হতে ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দিতে হবে। বিভিন্ন ব্যাংকে এই কাগজপত্রের চাহিদা ভিন্ন রকমের হয়। এছাড়া নিয়মের কিছু কিছু ক্ষেত্রেও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ১.ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত ফরমে ব্যাংক একাউন্ট করার দরখাস্ত। ২.দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ৩.হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স এর সত্যায়িত কপি। ৪.লিমিটেড বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হলে বোর্ড অব ডাইরেক্টরস-এর রেজুলেশন কপি অর্থাৎ ব্যাংক একাউন্ট খোলার সিদ্ধান্তসহ কে কে ব্যাংক একাউন্ট অপারেট করবেন তাদের নাম উল্লেখসহ গৃহীত সিদ্ধান্তের কপি। ৫.সার্টিফাইড Join Stock থেকে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র (Certificate of Incorporation)। ৬. মেম্বার বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সমিতি হতে নেয়া সদস্য সার্টিফিকেট। ৭. ঐ ব্যাংকের অন্য কোন একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক আপনার ছবি ও আবেদন পত্রে স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে এবং তাকে সনাক্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ (ক) প্রতিটি ব্যাংকের উদ্যোক্তা/ ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প দলিল তৈরীর ফরমেট রয়েছে। আপনি যে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে ইচ্ছুক সে ব্যাংকের ফরমেট অনুযায়ী প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজ ও দলিলপত্রাদিসমেত প্রকল্প ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। (খ) একটি উপযুক্ত প্রোজেক্ট প্রোফাইল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে আপনি বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন এবং কনসালটেন্সী ফার্মের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ব্যাপারে এসএমই ফাউন্ডেশনের এডভাইজারী সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শ পেতে পারেন। (গ) যখন কোন ব্যবসায়ী যৌক্তিকভাবে মনে করেন ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য তার ব্যাংক ঋণের প্রয়োজন তখন তিনি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বরাবরে প্রয়োজনীয় বিবরণ সম্বলিত দরখান্ত পেশ করবেন। এতে নিম্নলিখিত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে ১. ব্যাংকের নিজস্ব ফরম সংগ্রহকরন এবং তা যথাযথভাবে পূরন। ২. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি। ৩. ব্যবসায়ের টিন নম্বর। ৪. সম্পত্তির বর্তমান মূল্যের সনদপত্র (যেখানে শিল্পটি বিদ্যমান/ প্রতিষ্ঠা করা হবে)। ৫. সম্পত্তি বন্ধক নেয়া হলে তার বৈধ চুক্তিনামা (যেখানে প্রতিষ্ঠান রয়েছে বা প্রতিষ্ঠা করা হবে)। ৬. ব্যাংকের হিসাব নং এবং জামানত স্থিতি। ৭. পৌরসভার বাসিন্দা হলে কমিশনারের সনদ। স্থানীয় পর্যায়ের হলে চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদ। ৮. লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমেরেন্ডাম এবং আর্টিক্যাল অব এসোসিয়েশনের কপি। অংশীদারী প্রতিষ্ঠান হলে অংশীদারী চুক্তিপত্রের সত্যায়িত কপি। ৯.প্রতিষ্ঠান চালু থাকা অবস্থায় ঋণ গ্রহনে ইচ্ছুক হলে ব্যবসার ১ বছরের লাভ ক্ষতির হিসাব বিবরনী। ১০. প্রতি ব্যাংকের ফর্মে উল্লেখযোগ্য একটি দিক রয়েছে যাকে লেটার অব গেরান্টি বলা হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে দুইজন যোগ্য গেরান্টারের সনদ প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ১১. প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পূর্বে কোন ব্যাংক থেকে ঋণ করে থাকলে তার হিসাবের একটি হালনাগাদ ও যথাযথ বিবরন থাকতে হবে। ১২. এসএমই খাতে কতিপয় ব্যাংক কোলেটারেল ফ্রি (জামানতবিহীন) লোন চালু করেছে। এক্ষেত্রে আগ্রহী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অগ্রাধিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারী করেছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের এডভাইজারী সার্ভিস সেন্টারে এ বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। ১৩. কিছু কিছু ব্যাংকে বর্ণিত বিষয়াদির বহির্ভূত দলিলপত্রাদি প্রয়োজন হতে পারে। এক্যুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যানারশীপ ফান্ড (BBGd) ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু সম্ভাবনাময় শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে সরকারি অর্থায়নে শিল্প উদ্যোক্তাদের নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় এক্যুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যান্যারশীপ ফান্ড ( ইইএফ) এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সম্প্রতি কৃষিভিত্তিক ও খ্যদ্য প্রাক্রিয়াজাতকরন প্রকল্পে ইইএফ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসমস্ত প্রকল্পের অগ্রাধিকার খাতসমূহ উল্লেখ করা হলোঃ ১. কৃষি ঃ (ক) হাইব্রীড বীজ উৎপাদন (ধান, ভূট্রা, সব্জী ও তরমুজ), (খ) বাণিজ্যিকভাবে টিস্যু কালচার প্রযুক্তির মাধ্যমে আলু বীজ উৎপাদন, (গ) বাণিজ্যিকভাবে ফুল, অর্কিড চাষ (রপ্তানি বাজারের জন্য), (ঘ) বাণিজ্যিকভাবে সরু/ সুগুন্ধ চাল (রপ্তানি বাজারের জন্য এবং প্রকৃত রপ্তানিকারক যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে), (ঙ) মাশরুম চাষ প্রকল্প। ২. মৎস্য ঃ মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরনভিত্তিক শিল্প ঃ (ক) IQF Found স্থাপন (Individual Quick Freezing/Fish Processing), (খ) মূল্য সংযোজিত মৎসজাত খাদ্য উৎপাদন ( Value Added Fish Product Development and Marketing), (গ) আধুনিক পদ্ধতিতে শুটকীমাছ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরন ও বাজারজাতকরন (Dehydrated Fish Plant), মৎস্য চাষ ও হ্যাচারী ঃ (ক) বাণিজ্যিকভাবে high value মাছের খামার ও হ্যাচারী স্থাপন। খাদ্য উৎপাদনভিত্তিক শিল্প ঃ মৎস ও পশুজাত গুনগত মানসম্পন্ন (Balance feed) খাদ্য উৎপাদনভিত্তিক শিল্প। ৩. পশুসম্পদ ঃ পশুজাত খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরনভিত্তিক শিল্প স্থাপন ঃ (ক) দুধ, ডিম প্রক্রিয়াজাতকরন প্ল্যান্ট, (খ) মাংস প্রক্রিয়াজাতকরন প্ল্যান্ট (আধুনিক কসাইখানাসহ)। প.স্বাস্থ্য রক্ষা ও ব্যবস্থাপনাভিত্তিক শিল্প স্থাপন ঃ গবাদি পশু/ হাঁস-মুরগীর রোগ নির্ণয়/ চিকিৎসার জন্য ল্যাবরেটরী ও হাসপাতাল স্থাপন। পোল্ট্রি উৎপাদনভিত্তিক শিল্পঃ গ্রেট-গ্র্যান্ট প্যারেন্ট ও প্যারেন্ট স্টক খামার। সুদ নেই। প্রকল্পের অর্জিত লাভ-লোকসান উদ্যোক্তার এবং ইইএফ এর মূলধনের আনুপাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বন্টিত হবে। মোট প্রকল্প ব্যয় সর্বনিম্ন ৫০.০০ লক্ষ টাকা হতে সর্বোচ্চ ১০.০০ কোটি টাকা হতে পারে। বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ এক্যুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যান্যারশীপ ফান্ড ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা-১০০০ ফোনঃ ৭১২৬২৮০-৯৫, ৭১২৬১০১-২০ ওয়েবসাইটঃ http://www.bangladesh-bank.org স্মল এন্টারপ্রাইজ ফান্ড: (ক) বিভিন্ন ব্যাংকে শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ সহায়তার ব্যবস্থা থাকলেও ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ পেতে বেশ প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। ক্ষুদ্র শিল্পকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি বিশেষ ফান্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। আলোচ্য তহবিলের আওতায় ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তারা স্পল্প সুদে এবং অপেক্ষাকৃত সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ পায়। এটি এসইএফ ফান্ড নামে পরিচিত। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের এসইএফ ঋণ সহায়তা প্রদান করে না। নিম্নলিখিত ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সুনির্দিষ্টভাবে এ ঋণ প্রদান করা হয়ঃ (১) ওয়ান ব্যাংক (২) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (৩) প্রাইম ব্যাংক লিঃ (৪) ঢাকা ব্যাংক (৫) এনসিসি ব্যাংক (৬) উত্তরা ব্যাংক (৭) মাইডাস (৮) আইডিএলসি (৯) পিপলস্ লিজিং (১০) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং (১১) প্রিমিয়ার লিজিং। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ঋণ সহায়তা লাভের জন্য উল্লেখিত ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিসমূহের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। ইন্স্যুরেন্স (Insurance) একটি শিল্প কারখানায় দুই ধরনের ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করতে হয়। মূল কারখানা, বিল্ডিং, মেশিন, কাঁচামালের জন্য যে কোন মালিককে ফায়ার ও ফ্লাড (Fire and Flood ) পলিসি গ্রহণ করতে হয়। বিপদকালীন সময় এই Insurance Policy একটি শিল্প কারখানাকে রক্ষা করতে পারে। আর কারখানা চালু হওয়ার পর কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানির জন্য মেশিন পলিসি করতে হয়। আপনি পছন্দসই যে কোন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে বেছে নিতে পারে। রেফারেন্সঃ এসএমই বিজনেস ম্যানুয়াল, ১ম এডিশন., ঢাকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন।

Lesson=86…উদ্যোক্তা হতে গেলে বা বিজনেস করতে গেলে যে ৭ টা ভুল গুলো কখনোই করবেন না

১। না জেনে, না বুঝে ও না শিখে কোন ব্যবসা শুরু করতে যাবেন না। ২। আরেকজন ঐ ব্যবসা করে অনেক টাকা পয়সার মালিক হয়ে গেছে, সুতরাং আপনাকেও একই জিনিষ কপি করে নেমে পড়তে হবে – এটা করবেন না। বিজনেসে আপনার ইউনিকনেস কি তা চিহ্নিত করে কাজ শুরু করবেন। ৩। কাউকে টাকা ধার দিবেন না, দেখা যাবে আপনার বিজনেসে প্রয়োজনের সময় সেই টাকা আর ফেরত পাচ্ছেন না, আপনার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ৪। নিজের বিজনেসের ট্রিক্স কাউকে বলবেন না এবং এমন কিছু প্রটেকশান থাকতে হবে যাতে কেউ সহজেই কপি করতে না পারে। ৫। পার্টনারশিপে বা লিমিটেড কোম্পানি করে বিজনেস শুরু করলেন কিন্তু ঐ কোম্পানিতে আপনার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই – ওখানে ইনভেস্ট করা যাবে না। ৬। বিজনেস করার জন্য মুল্ধনের টাকা কারো হাতে বা কারো ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দিবেন না। টাকা দিবেন কোম্পানির অ্যাকাউন্টে। ৭। ব্যবসা থেকে যখন তখন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে টাকা উঠাবেন না, ব্যবসাকে ব্যক্তিগত খরচ থেকে আলাদা রাখবেন। ব্যবসার শুরুতে সকল কেনাকাটায় সাশ্রয়ী হতে হবে। কোম্পানি শুরুর অপেক্স ও কেপেক্স মিতবেয়ি থাকবেন। এই ভুল গুলো এড়িয়ে চলুন উদ্যোক্তা হবার শুরুতেই হোঁচট খাবেন না কখনো।

Lesson=87…শুধুমাত্র ব্যবহার না জানলে যে কারো জীবনের সমস্ত অর্জন জিরো

সুন্দর চেহারাও বেশিদিন থাকে না কিন্তু চিরদিন আপনাকে আলোকিত করবে সুন্দর মন। ক্ষমতা থাকলে বা টাকা পয়সা হলে অথবা অভাবে থাকলেও অনেকে বিনয়টা ভুলে যায়। অনেকে মনে করে সুন্দর ব্যবহার ও বিনয় এটা শুধু ছোটরা বড়দের করবে – ভুল ! এটা বড়দেরকে বেশী বেশী করতে হবে, তবেই ছোটরা শিখবে ! একই সঙ্গে ছোটদেরও বড়দের কথা শুনতে হবে এবং কোন কিছু অপছন্দ হয়ে বিনয়ের সাথে বলতে হবে। কখনো কখনো কেউ কেউ বিনয়কে দুর্বলতা ভাবে – ভাবুক, আপনি আপনারটা করে যান। নিজের বিবেকের কাছে জেতাটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জয়। কোন পদ বা চেয়ার কখনো ক্ষমতা হতে পারে না বা কাউকে বড় করতে পারে না, তাঁকে বড় করে তাঁর কাজ ও বিনয়। মানুষের দেখানোর যদি কিছু থাকে তা হল বিনয়।

Lesson=88…

আজ আমাদের প্রিয় প্লাটফর্ম “নিজের বলার মতো একটা গল্প” অনলাইন কর্মশালার ১৫০০ তম দিন ! গত ১৩৯২ দিনে এক একটা ব্যাচে টানা ৯০ দিন করে আমরা ১৫ টা ব্যাচ শেষে করেছি, যা একটি ইতিহাস। এটা শুরু হয়েছিল জানুয়ারি ১, ২০১৮ তে মাত্র ১৬৪ জন তরুণদের নিয়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকে, যার শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন ৫০০,০০০ এর বেশী। সম্পূর্ণ বিনা ফি তে এই অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার ১৩৯২ দিনের অর্জন ঃ # আমরা ১৫টা ব্যাচ শেষ করেছি টানা ৯০ দিন করে # বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ৫০০,০০০ এরও বেশী তরুণদের বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি, যার মধ্যে ১০০,০০০ জন নারী # বিশ্বের ৫০ টিরও বেশী দেশের প্রবাসী বাংলাদেশীরা যুক্ত আছে আমাদের এই প্লাটফর্মে। # ৩৬০ জন সফল ও গুণী মানুষকে এনে তাঁদের জন্য অনলাইনে কর্মশালা করেছি। এই কৃতি মানুষগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ। # ৬০,০০০ উদ্যোক্তা তৈরি করেছি, যার মধ্যে ৫,০০০ জন নারী উদ্যোক্তা # বগুড়ার একজন অসহায় গৃহহীনকে ১টা ঘর বানিয়ে দেয়া হয়েছে – ২০১৯ # ২ জন গরীব তরুণকে ৫০,০০০ টাকা ও অন্য ৪ জনকে ২৫,০০০ টাকা করে মূলধন দিয়ে ব্যবসা দাড় করতে সাহায্য করা হয়েছে – ২০১৮। # দেশের ৬৪ জেলায় সবাই মিলে প্রায় ৪৫,০০০ গাছ, ৪০ হাজার ব্যাগ রক্ত ও ২০,০০০ অসহায় শিশু ও বৃদ্ধকে ১ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে ২০১৮-২০২১। # দেশের ৬২ জেলায় সবাই মিলে একযোগে গত রমজানে প্রায় ১৫,০০০ এতিম, অসহায় শিশু ও বৃদ্ধকে ইফতার করানো হয়েছে -২০১৯। # দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা কবলিত ১০ টি পরিবারের মাঝে তাঁদের ভেঙ্গে যাওয়া ঘরের জন্য টিন বিতরণ ও প্রায় ১৫০০ পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে – ২০১৯। # দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতার্তদের মাঝে প্রায় ৮,০০০ কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে – ২০২০-২১। # এই করোনায় ৪০ জেলায় প্রায় ৮০০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে – ২০২০। # বাংলাদেশে প্রথম বারের মোট “সাপ্তাহিক অনলাইন হাট” চালু করেছি, যেখানে প্রতি মাসে গড়ে ১ কোটি টাকার বেশী অর্ডার কেনা বেচা হয়। এই প্লাটফর্মের সদস্যরা তাঁদের ক্রেতা-বিক্রেতা। আমাদের উদ্যোক্তারা আমাদেরই প্লাটফর্ম থেকে তাঁদের মাসিক বিক্রয়ের ৩০%-৯০% সেল পাচ্ছে, কারণ আমাদের ৩০০,০০০+ আজীবন মেম্বারগন তাঁদের ক্রেতা। # এখানে প্রতিদিন গড়ে ১০০,০০০ এরও বেশী কমেন্ট আদান প্রদান হয়, যার ১০০% পজিটিভ চিন্তা। # ৫০০,০০০ পজিটিভ মানুষ ও ভালোমানুষের চর্চা করতে পেরেছি। # সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ও ৫০টি দেশে আমাদের আছে ২৫০০ ভলান্টিয়ার। # প্রতি সপ্তাহে সারা দেশে ও বিদেশে মিটআপের মধ্য দিয়ে চলছে আর অফলাইন কার্যক্রমও, এই পর্যন্ত ৪০০০ মিট আপ (অনলাইন ও অফলাইন) ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। # অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার ইতিহাসে টানা ১০০০ দিন উপলক্ষে সারাদেশের ৬৪ জেলায় ও প্রায় ২৭ টা দেশে দিন টি উদযাপন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী ২ বছরের মধ্যে ৫০০,০০০ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা অন্তত ২০০,০০০ উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্য দিয়ে। “চাকরী করবো না চাকরী দেব” ৯০ দিন ধরে শেখা, পার্টনার পাবার সুযোগ, ব্যবসা করা, কেনাবেচার সুযোগ, ভলান্টিয়ারিং, সামাজিক কাজ এবং ভালোমানুষি চর্চা সব একসাথে একই প্লাটফর্মে, এরকম সুযোগ আমাদের দেশে আর কোথাও নেই !

Lesson=89…

আপনারা যারা ৯০ দিনের কোর্স করে ফেলেছেন তাঁদের কারো কারো মনে হতে পারে আপনি তো শিখে ফেলেছেন তাহলে আর এই প্লাটফর্মে একটিভ থেকে কি লাভ? অনেক লাভ….. ১। আমরা অনেক কিছু শিখি বা জানি কিন্তু সব সময় মনে থাকে না, এই প্লাটফর্ম আপনাকে আপনার জানা বিষয় বার বার মনে করিয়ে দিবে যাতে আপনি তা বাস্তবে এপ্লাই করতে পারেন। ২। আমরা অনেক কিছু জানি কিন্তু চর্চা করতে পারিনা – একই সেশান বারে বারে দেখে ও বুঝে আপনাকে ভালোমানুষ হয়ে থাকার এবং উদ্যোক্তা হবার চর্চা বা অনুশীলন করা সুযোগ করে দিবে। ৩। এছাড়াও প্রতি ব্যাচে নতুন নতুন সেশান, নতুন অতিথি নিয়ে লাইভ এবং নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আপনি নতুন কোন আইডিয়া পেতে পারেন, শিখতে পারেন নতুন কিছু। ৪। ৯০ দিনে অতটা নেটওয়ার্ক তৈরি করার সুযোগ হয় না এবং আমাদের প্লাটফর্মে প্রতি ৯০ দিনে অর্থাৎ প্রতি নতুন ব্যাচে কমপক্ষে ২৫,০০০ করে শিক্ষার্থী বাড়ছে, তাঁদের সাথে বন্ধুত্ব করার সুযোগ পাবেন। প্রতিদিন আপনার ব্যাপক নেটওয়ার্ক বাড়বে। ৫। নিজেকে ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ পাবেন লাখো মানুষের কাছে। ৬। সারা বাংলাদেশ ও সারা পৃথিবীর সাথে আপনি যোগাযোগের সুযোগ পাবেন একটিভ থাকলে। ৭। আপনার প্রোডাক্ট বা সেবার প্রচার ও প্রসার করতে পারবেন এখানে, আপনার কাস্টমার পাবেন এখানে এবং আপনার বিক্রি বাড়বে আমাদের “সাপ্তাহিক অনলাইন হাটে”। আমরা জানি, কারো কারো মাসের ৩০% থেকে ৯০% সেল শুধু আমাদের প্লাটফর্ম থেকেই হয়। এখানকার সবাই আমাদের উদ্যোক্তা/ ব্যবসায়ীদের থেকে পণ্য বা সার্ভিস নিতে বেশী পছন্দ করে। ৮। বিজনেস শুরু করে দেবার পর নানান কারণে অনেকে ঐ ব্যবসাটা আর চালাতে পারেন না, এ ক্ষেত্রে এখানে লেগে থাকলে আপনি ঐ ব্যাপারে নানান পরামর্শ, সহযোগিতা ও বিজনেস আইডিয়া পাবেন। ৯। সারা বছর অনেক সামাজিক কাজ করার সুযোগ পাবেন যারা একটিভ থাকবেন। ১০। আপনার স্বপ্ন কখনো হারাবে না, প্রতিদিন প্রতিটি সেশান আপনাকে জাগিয়ে রাখবে। ইনশাল্লাহ এই কার্যক্রম চলবে, চলবে একটার পর একটা ব্যাচ। ইনশাল্লাহ “নিজের বলার মত একটা গল্প” বেঁচে থাকবে বাংলাদেশের লাখো তরুণদের মাঝে, আপনাদের মাঝে – এটাই আমার পাওয়া।

Lesson=90…

দেখতে দেখতে ৯০ টা দিন অর্থাৎ ৩ মাস চলে গেল আমাদের কর্মশালার। প্রতিদিন আমরা কানেক্টটেড ছিলাম – এটা কিন্তু একটা বিশাল অর্জন। এবং শেষ হল টানা ১৬ টি ব্যাচ ও টানা ১৫০০ দিন। টানা এই ৯০ দিনের লম্বা জার্নি আপনাদের সাথে অসাধারণ ছিল। আমার জীবনে কোনদিন কারো সাথে এত লম্বা সময় ধরে টানা কোন যোগাযোগ রাখতে পারিনি বা করিনি। আমি জানি এই ৯০ দিনের অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অনেকের জীবন বদলে গেছে, অনেকের ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমরা পেয়েছি লাখো ভালোমানুষ ! কোন কিছু শিখেই সবাই কালকেই উদ্যোক্তা হয়ে যেতে পারবে না, এটা যেমন সত্যি তেমনি একটা ভাবনা নিশ্চয়ই তৈরি হয়েছে কিছু একটা করার এবং শিখা হয়েছে কৌশল গুলো কিভাবে করতে হবে। কারো কারো মনে হতে পারে আমি ৯০ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেললাম ৯১ দিনেই তো ব্যবসা শুরু করতে পারলাম না। এই তাড়াহুড়াটা ভুল। আমরা যদি ১৫-১৬ বছর লেখাপড়া করার পর একটা চাকরী বা কাজ করার উপযোগী হই, সেখানে এই ধরনের একটা ৩ মাসের প্রশিক্ষণ করার পর ৬ মাস ১ বছর লাগবেই কোন কিছু শুরু করতে। আর সবাই উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হবে না, কিন্তু যে চাকরী করবে আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি সে চাকরিতেও আগের চেয়ে ভালো করবে। এছাড়া কেউ চাইলে চাকরীর পাশাপাশি পার্ট টাইম বিজনেস করতে পারে – হয়তোবা সেইই একদিন হয়ে যেতে পারে দেশের সেরা উদ্যোক্তা ! এটা যেহেতু অনলাইন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তাই মাঝে মাঝে মিট আপ ও সবার সাথে সবার দেখা হওয়া দরকার, না হলে নেটওয়ার্কিং হবে না এবং বিশ্বাস তৈরি হবে না। দেখা না হলে আপনার পণ্য বিক্রি করবেন কার কাছে? আমাদের মেম্বাররাই আপনার বড় ক্রেতা। কেউ কেউ অনেক কিছু শিখতে না পারলেও অন্তত ১ দিনের সেশানের ১ টা লাইনও যদি আপনাদের জীবনে কোন কাজে লাগে তবুও আমার পরিশ্রম সার্থক। কেউ কেউ অনেক ভালো শিখেছেন এবং কেউ কেউ হয়ত একটু কম কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি, আপনাদের সবার জীবন বদলে গেছে, পরিবর্তন এসেছে ব্যাপক, বদলে গেছে আপনাদের চিন্তা ভাবনা। আপনারা হয়ে উঠেছেন এক একজন দক্ষ মানব সম্পদ। আপনারা এখন সবাই ভালমানুষ ও পজিটিভ মানুষ। এই শিক্ষা আপনার যদি আপনাদের আগামী দিন গুলুতে কাজে লাগাতে পারেন এবং মেনে চলেন, তবে আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আপনাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। শুধু স্বপ্নের পিছনে লেগে থাকতে হবে… এবং লেগে থাকতে হবে। #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প আপনারদের প্লাটফর্ম, আপনাদের পরিবার ও আপনাদের সম্পদ। এই পরিবারকে ধরে রাখার ও এগিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আপনাদের। একদিন এটা একটা বিশাল বিজনেস সংগঠনে রুপ নিবে ইনশাল্লাহ। আপনাদেরকে একটা নতুন দায়িত্ব দিলাম – আজ থেকে আপনার নিজের কাজের পাশাপাশি আরও ১০ জন তরুণকে ভালমানুষ হতে সাহায্য করবেন এবং আপনি যা যা শিখেছেন তার ফলাফল তাঁকে জানাবেন। দেশের প্রতি ও আমাদের বাংলাদেশের দেশের তরুণ-তরুণীদের প্রতি আমার সামাজিক কাজের অংশ হিসেবে আমাদের “নিজের বলার মতো একটা গল্প” প্লাটফর্মের জন্ম ও কাজ করে যাওয়া। আপনাদের কাছে আমার নিজের কোন চাওয়া নাই, আপনাদের উন্নতি, সফল হওয়া ও ভালো থাকাই আমার চাওয়া। কোন একদিন আমার মৃত্যুর পর বাংলাদেশের অথবা পৃথিবীর কোন এক প্রান্ত থেকে আমার মৃত্যুর সংবাদ শুনে কোন এক তরুণ অথবা তরুণীর চোখ থেকে টুপ করে একটু পানি যদি ঝরে পরে এবং যদি বলে আহা এই ইকবাল বাহার নামক শিক্ষকের কারনে তার জীবনটা একটু হলেও বদলে গেছে – এটাই আমার প্রাপ্তি।